Better Life With Steem | The Diary game ,April ,27, 2025।

in Incredible India2 months ago

IMG_0184.jpeg

পর পর দুটো কলিং বেলের শব্দ শুনে ঘুম ভেঙে গেলো। পরমুহূতেই চোখ পরলো ঘড়ির দিকে। সাড়ে ছয়টার মতো বাজে। এতো সকালে কে আসলো এটা ভেবে পাশে চোখ পড়তেই দেখলাম হাবি বিছানায় নেই।

তখন মাথা থেকে চিন্তা ঝেড়ে ফেলে পাশ ফিরে আবার শুয়ে পরলাম। অবশ্য শুয়ে শুয়ে মাথার মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছিলো যে। আসলেই কলিং বেলের শব্দ শুনলাম নাকি স্বপ্ন দেখেছি। বেশি সময় অবশ্য ভাবতে পারি নাই আবারো ঘুমিয়ে পরেছি।
দ্বিতীয়বার ঘুম ভেঙেছে ক্যারামেলের কামড় খেয়ে। এই এক মহা যন্ত্রনা।

IMG_0186.jpeg

ওর নতুন দাঁত উঠতেছে ,যার কারণে কামড়াতে ভালোবাসে। এই একই কাজ সিম্বাও করতো। ওরা অনেকটা মানুষের বাচ্চার মতোই। মানুষের বাচ্চারও যখন নতুন নতুন দাঁত উঠে তখন কামরাকামড়ি করে।
ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে কলিং বেল রহস্য উদঘাটন করার জন্য হাবিকে জিজ্ঞেস করায় সে জানালো যে আমি সত্যিই কলিং বেলের সাউন্ড পেয়েছিলাম । শুক্রবার আমরা আমার ভাসুরের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে দ্রুত বাসায় চলে এসেছিলাম। যার কারণে বরের বাড়ি থেকে আনা মিষ্টি আমাদেরকে দিতে পারে নাই।

IMG_0195.jpeg

তাই পরের দিন আমার ননাসের কাছে মিষ্টি পাঠিয়ে দিয়েছে। দুলাভাই সকালে হাঁটতে বের হয়ে সেই মিষ্টি বাসায় দিয়ে গেছে।
এই দিকে হাবি আজকে কিছুটা অসুস্থ হয়ে পরার কারণে সকালে ব্যাংকে যেতে পারে নাই। তাই নাস্তা কিছুটা লেট্ করেই বানিয়েছি।

ঐদিকে কাজ করতে করতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছি কদিন থেকে। ভাবলাম আজকে রান্নাঘরের কাজ শেষ করে ফেলবো। ক্যাবিনেটে সবকিছু ঢুকানো থেকে শুরু করে হাবিজাবি জিনিস ফেলে দিয়ে সবকিছু নতুন করে গুছিয়ে রাখলাম। এরই মাঝে রান্নার কাজও করে ফেললাম।

IMG_0189.jpeg

এই ঝামেলার মাঝে আমার হাবি একগাদা আমি এনে রেখেছে। আমি সেগুলোকে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রেখেছি। সে কিছুক্ষন পর পর মনে পরলেই ঘ্যানঘ্যান করে আমি আচার কবে বানাব।প্রতিদিনই ভাবি আগামীকাল বানাবো কিন্তু বানানো হচ্ছে না।

সাড়ে চারটার সময় ক্যারামেলের জন্য ভেটের কাছে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেয়া ছিল। তাই ওকে নিয়ে বের হলাম চারটার দিকে। সাথে অবশ্য ছেলেও ছিলো কারণ ওকে একা সামাল দেয়া কঠিন । ওকে মেডিসিন দিয়ে দেয়ার পরে ওকে নিয়ে বাসায় এসে শান্তিতে বসলাম। সারাটা সময় চিৎকার করেছে ভয়ে।

সন্ধ্যার দিকে জামাকাপড় ধোয়ার জন্য মেশিনে ঢুকালাম। এই কাজটা আমি সাধারণত করি না ,আমার দুই ছেলেই করে দেয়। কিন্তু আজকে ওদের পরীক্ষার জন্য ওদের কাউকে বলি নাই। কিন্তু আমাকে করতে দেখে আমাকে সরিয়ে দিয়ে আমার ছেলেই অবশ্য কাজটা শেষ করে দিয়েছে।

IMG_0194.jpeg

আমি ছেলেদের কাছ থেকে বৃদ্ধ বয়সে কিছু আশা করি না। কারণ ওরা কিছু করবে এই আশা নিয়ে ওদের বড়োও করি নাই।
এছাড়া কিছু আশা না করার আরো একটা কারণ হলো ,আশাহত হবার ভয়।
আমি অনেক মানুষকে দেখেছি ছেলে-মেয়েদের কাছ থেকে অনেক কষ্ট পেতে আবার উল্টোটাও দেখেছি। তাই ওদের কাছ থেকে অনেক কিছু পাবো এই আশা করি না।

ভেবে নিয়েছি যদি কিছু পাই সেটা হবে আমার জন্য অনেক বড়ো উপহার। কিন্তু তারপরও যখন হাতের কাজ কেড়ে নিয়ে করে কিংবা আমার সুবিধা -অসুবিধা খেয়াল করতে দেখি তখন এক অসম্ভব ভালো লাগা কাজ করে নিজের মাঝে।

রাতে তেমন কিছু করি নাই ,শুধু ভাত রান্না করেছি।। রান্না শেষ করে ডায়েরি গেম লিখতে বসলাম।

Post Details

CameraiPhone 14
Photographer@sayeedasultana
LocationDhaka,Bangladesh


Thank You So Much For Reading My Blog

HfhigaP72YBd6w1Kgyw9eMoDygDx869D1PKa6jG8D9C9MQ5rA8UuUvaGRermEeDs8YYv1jb4TX4QUAAbRoaAJFmmUaGZUojU1gWvH66zbc...wdYfZe5zwHZgv7fSFyfX5YWvwFGCJXq8EuycKeaUaXARJjpb61mUGxLAjp1XsJ6PQbzF28Bu6LQTgryC3MSekzsBvnPpE3TAcMAMTMQbf9uvFuTHezySGMDKr6.png

Sort:  
Loading...