ঘরোয়া পদ্ধতিতে খুব সহজভাবে পাস্তা- নুডুলস রেসিপি ||০১/০৫/২০২৫

আশা করি আল্লাহর অসীম রহমতে আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও খুব ভালো আছি।আমি খুবই স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ। তাই যখন আমার পরিবারের সদস্যরা এবং আমার ছেলে কিছু খেতে চায়, আমি যতটা সম্ভব বাড়িতে তৈরি করার চেষ্টা করি। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সুস্থ থাকার জন্য আমাদের অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। তাই আমাদের সকলেরই খাদ্য তালিকা সঠিকভাবে তৈরি করা উচিত। মন এবং শরীরের সুস্থতা বজায় রাখতে খাদ্য অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে । তাই আমি আপনাদের আমার নিজের হাতে রান্না করা পাস্তা নুডলসের খুব সহজ রেসিপিটি দেখাতে এসেছি। এই ব্যস্ত সময়েও আপনাদের খুব মনে পড়ছে, তাই ভাবলাম এই রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করি।

প্রথমে আমি রান্নার জন্য আমার সমস্ত উপকরণ প্রস্তুত করলাম। তারপর প্যাকেট থেকে নুডলস বের করলাম। নুডলস এবং পাস্তা সেদ্ধ করলাম। সেদ্ধ হওয়ার পর, ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিলাম যাতে জল ঝরে যায়। তারপর আমি সবজি হালকা করে সেদ্ধ করলাম।

	সেদ্ধ করে রাখা নুডুলস এবং পাস্তা

তারপর আমি প্যানটি ওভেনে রাখলাম এবং তাতে তেল দিলাম। তেল দেওয়ার পর, আমি কুঁচি করা পেঁয়াজ এবংদিলাম। পেঁয়াজ এবং মরিচ হালকা ভাজা হয়ে গেলে, আমি তাদের সাথে দুটি ডিম যোগ করলাম। আমি পেঁয়াজ এবং মরিচ তাদের নির্যাসের মধ্যে রেখে ডিম যোগ করলাম যাতে মরিচ ডিমের সাথে না মিশে।এভাবে ডিম দেওয়ার কারন হচ্ছে আমার ছেলের ডিম খেতে ভালোবাসে তাই আমি মরিচগুলো দূরে রেখে ডিম তেলের মধ্যে দিয়েছি যাতে করে মরিচের সাথে ডিম গুলো না মিশে যায়।

তারপর ভাজা হয়ে গেলে, আমি আগে থেকে সেদ্ধ করা সবজি এবং টমেটো যোগ করি। তেলে তারপর ডিমের মিশ্রণ দিয়ে সবজিগুলো খুব ভালো করে ভাজি। তারপর ম্যাগি মশলাগুলো এবং কিছু জিরা গুঁড়ো দিয়ে দিলাম,তারপরে পরিমাণ মতো লবণ দিয়েছিলাম। সবজিগুলো খুব ভালো করে ভাজতে আমার অনেক সময় লেগেছে। সবজি রান্না করার সময়, আমি চুলার আঁচ খুব কম রেখেছিলাম।

-	-

এরপর আমি সবজিতে পূর্বে সেদ্ধ করা পাস্তা এবং নুডলস যোগ করি। চুলার তাপ খুব কম আঁচে রেখে, আমি সবজি এবং নুডলস খুব ভালোভাবে মিশিয়ে দিই। মিশানোর পরে আমি অনবরত ৫-৬ মিনিট ধরে নুডলসগুলোকে একটি চামচের সাহায্যে পাল্টিয়ে দিচ্ছিলাম যাতে করে সব মসলাগুলো খুব সুন্দরভাবে মিশে যেতে পারে। এরপর আমি কিছু কাঁচা মরিচ এবং শশা যোগ করলাম এবং উপরে সামান্য টমেটো সস দিলাম যাতে খাবারের ঘ্রাণ আরও ভালো হয় এবং সুস্বাদু হয়।

তারপর আমি নুডলগুলো পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত করলাম। আমার ছেলে খুব ভালোবাসে এবং সে রান্না করার সময় বারবার কিচেন রুমে এসে দেখতে লাগল রান্না সম্পন্ন হয়েছে কিনা। আমাকে একটু পরে পরে জিজ্ঞেস করছিল, "আম্মু, রান্না এখনো হয়নি কেন?" আমি তার প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে হাঁপিয়ে গিয়েছিলাম। এর পর আমি প্লেটে খেতে দিয়েছি, সে তো মহা খুশি। একজন সন্তানের হাসি-খুশি চেহারা তার মায়েদের জন্য খুবই অমূল্য সম্পদ।

আমার এই পাস্তা নুডুলস রান্না করার রেসিপিটা আপনাদের কেমন লাগলো, অবশ্যই কমেন্ট করে সবাই জানাবেন। আর এই নুডুলসটিতে আমি সবচেয়ে বেশি করে অ্যাড করেছিলাম, তার কারণ হচ্ছে আমার ছেলেকে খুব সহজে সবজি খাওয়াতে পারি না। এজন্য আমি যখনই নুডুলস বা পাস্তা রান্না করি, আমি সেখানে কিছু সবজি যোগ করে থাকি। আজ এ পর্যন্তই, সবার জন্য দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো।