The April contest #1 by sduttakitchen| Pressure or Pleasure?
![]()
|
---|
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন সুস্থ আছেন এবং আপনাদের প্রত্যেকের আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে ।আজ আমি অংশগ্রহণ করতে চলেছি, কমিউনিটিতে অ্যাডমিন ম্যাম কর্তৃক আয়োজিত সাপ্তাহিক কনটেস্টে, যার বিষয়বস্তু খুব আকর্ষণীয় এবং বরাবরের মতন তা আমাদের প্রত্যেকের জীবনের সাথেও ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
তাই এই বিষয়ে নিজের মতামত শেয়ার করতে আজ হাজির হলাম। ইতিপূর্বে কয়েকজন অংশগ্রহণ করেছেন বটে, তবে এখনও পর্যন্ত অনেকের অংশগ্রহণ চোখে পড়েনি। বিশেষ করে এই কমিউনিটিতে কর্মরত ইউজারদের। তাই কনটেস্টের নিয়মানুযায়ী আমি আমন্ত্রণ জানাই আমার তিনজন বন্ধু @suryati1, @pinki.chak ও @piya3 কে, আশাকরি তারাও বিষয়বস্তু সংক্রান্ত নিজস্ব মতামত অবশ্যই অংশগ্রহণের মাধ্যমে শেয়ার করবেন। চলুন আমার নিজস্ব মতামত শেয়ার করি,-
|
---|
যদিও আমাদের জীবনে প্রতিটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ আমাদের হাতে থাকে না। কখনো কখনো পরিবার ও পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতেও কিছু সিদ্ধান্ত আমাদেরকে গ্রহণ করতে হয়। তবে অবশ্যই চেষ্টা করা উচিত সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় নিজের পছন্দ, নিজের খুশিকে অগ্রাধিকার দেওয়া। কারণ আমরা হয়তো পরিবারের দিকে তাকিয়ে অনেক সময় ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়েও কিছু সিদ্ধান্ত নিই, তবে সেই সিদ্ধান্তে কখনোই আমাদের সম্মতি থাকে না। ফলত সেটি আমাদের নিজেদের উপরেই একটি বোঝা মনে হয়।
যেহেতু সেই সিদ্ধান্তে আমরা মন থেকে খুশি হই না, তাই সেগুলো আমাদের মনের ওপরে একটা আলাদা চাপ তৈরি করে। তখন আমরা সেখান থেকে পিছিয়েও আসতে পারি না এবং যতক্ষণ সেই পরিস্থিতি থেকে আমরা না বেরোতে পারি, একটা অদ্ভুত ধরনের অস্থিরতা নিজের ভিতরে কাজ করে।
এই কারণে অনেক সময় দেখা যায় বাবা মায়ের পছন্দের প্রফেশনটি বেছে নিয়ে যখন ছেলে মেয়েরা সেই কাজে কোন আত্মতৃপ্তি পায় না, তখন যে বিষয়ে তারা পড়াশোনা করেছে সেখান থেকে বেরিয়ে এসে একেবারে উল্টো একটা প্রফেশনে ঢুকে যায়। কারণ সেখানেই তারা আনন্দ খুঁজে পান।
জীবনে আমরা আনন্দের সহিত যে কাজকে বেছে নেবো, সেই কাজে যে কোনো চাপ থাকবে না আমি এমনটা বলছি না। অবশ্যই সেই কাজেও চাপ থাকবে, কিন্তু সেই চাপটাকে আমাদের কখনোই চাপ বলে মনে হবে না, যেহেতু কাজটি আমাদের পছন্দের।
তাই আনন্দের সহিত সেই চাপটা নেওয়ার পরেও সকলে সেই কাজটা করার সম্পূর্ণ চেষ্টা করবে। তাই আমার মনে হয় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গুলিতে অবশ্যই নিজের আনন্দ, খুশি ও পছন্দকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। তাতে মানসিক দিক থেকে অনেক শান্তি পাওয়া যায়।
|
---|
অবশ্যই হ্যাঁ। যদিও এই বিষয়ে কিছুটা আলোচনা আমি উপরের প্রশ্নটির উত্তর দেওয়ার সময় করলাম। আমাদের পছন্দের বিপরীতে গিয়ে যখনই আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিই, তা আমাদের উপরে মানসিক চাপ সৃষ্টি করে এবং যখন আমরা দীর্ঘদিন ধরে সেই সিদ্ধান্তটা টেনে নিয়ে যেতে বাধ্য হই, তখন তা আমাদের মানসিক শান্তি বিঘ্নিত করে, ঠিক যেমনটা আমি উপরে বললাম।
ছেলে মেয়েরা ছোটবেলা থেকে বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণের দায়িত্ব নিয়ে নেয় বা বলা যায় অনেকে নিতে বাধ্য হয়। কারণ ছোট থেকে তাদের মাথায় এটা ঢুকিয়ে দেওয়া হয় বাবা-মা পারেনি তাই সেটা পূরণ করার দায়িত্ব সন্তানের। কিন্তু এটি করতে গিয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সন্তানটিকে মানসিক চাপের মুখোমুখি ঠেলে দেওয়া হয়। অথচ দেখা যায় সন্তানটির সেই বিষয়ে পড়াশোনা করার প্রতি বা সেই সেক্টরে কাজের প্রতি কোনো আগ্রহই নেই।
ফলতো প্রতিদিন বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণের চেষ্টায় সন্তানের উপরে মানসিক চাপ তৈরি হয়, যা একটা সময় তার মানসিক শান্তিকে বিঘ্নিত করে। হয় সেখান থেকে সে বেরিয়ে এসে নিজের পছন্দ মতন কাজ করে, অথবা কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়।
কারণ মানসিক চাপ বা ডিপ্রেশন আমাদেরকে যুক্তি দিয়ে ভাবতে দেয় না। জীবনের কোনো পজেটিভ দিক খুঁজে পেতে দেয় না। আমরা নিয়মিত অন্ধকারে ডুবে যেতে থাকি। আপনজনের কাছ থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে নিই, মনের কথা কারোর সাথে শেয়ার করি না। জীবনে বন্ধু বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনের সংখ্যা কমতে থাকে এবং এই একাকীত্বই একটা সময় আমাদেরকে ভেতরে শেষ করে দেয়।
এই বিষয়গুলো আজকালকার দিনে বাবা মায়েরা কিছুটা হলেও উপলব্ধি করেন, তাই পড়াশোনা করাকালীন সময়ে হোক কিংবা প্রফেশনাল দিকে সবাই এখন সন্তানের পছন্দকেই গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। এমনটা বোধহয় আমাদের সকলেরই করা উচিত।
|
---|
সফলতার পরিভাষা এক এক জনের কাছে এক এক রকম। আমার কাছে মনে হয় সফলতা একটা চলমান প্রক্রিয়া। যেখানে আমরা নিজেরা নিজেদের পছন্দমতো লক্ষ্য তৈরি করি এবং আনন্দ সহকারে সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য পরিশ্রম করি।
সত্যি কথা বলতে অনেকের কাছে সফলতা মানেই অনেক পয়সা উপার্জন করা এমনটা নয়, অনেকেই নিজেদের পছন্দকে প্রাধান্য দিয়ে একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য লড়াই করে। অথচ তাতে যে অনেক বেশি অর্থ উপার্জিত হবে এমনটা নয়। যদি তাই হতো তাহলে অনেক ভালো ভালো ইঞ্জিনিয়ার ও ডাক্তাররা চাকরি ছেড়ে বা চাকরির পাশাপাশি অভিনয়, গানের জগৎ কে বেছে নিতো না।
তাই অবশ্যই আমি মনে করি নিজের মনকে আনন্দ দেয় এমন কার্যক্রমেই আমাদের নিজেদেরকে নিয়োজিত করা উচিত। কারণ সেখানে আমরা সবথেকে বেশি পরিশ্রম দিতে পারি। মানসিক চাপ কম নিয়ে সেই কাজটাকে উপভোগ করতে পারি। সেই কাজে অনেকগুলো বছর ব্যয় করে সফলতার কাছাকাছি পৌঁছাতে পারি এবং এমন ভাবেই চলতে চলতে একটা সময় আমরা অবশ্যই নিজেদের লক্ষ্য পূরণে সক্ষম হতে পারি।
|
---|
যাইহোক এই ছিল আমার নিজস্ব মতামত, যেটা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। তবে ব্যক্তিগতভাবে নিজের দিক থেকে একটা কথা অবশ্যই বলতে চাই, অনেক সময় পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে এমন কিছু জিনিস আমরা জীবনে বয়ে নিয়ে চলি, যা আমাদের প্রতিনিয়ত মানসিক অশান্তি দিয়ে থাকে। তবে সেগুলোকে পরিত্যাগ করা ততটাও সহজ হয় না।কিন্তু দীর্ঘদিনের চেষ্টায় নিজের ভালো লাগাটাকে গুরুত্ব দিতে শিখলে, একটা সময় আমরা মানসিকভাবে কম কষ্ট পাই।
ভালো থাকবেন সকলে।
Terimakasih temanku atas undangannya semoga anda beruntung,dan kalau ada kesempatan dan waktu saya juga akan ikut untuk berpartisipasi bersama teman semuanya
Hola estimada amiga. Gusto en leerte. Ciertamente a veces por complacer a otros podemos estar inconforme con nosotros mismos y eso es un gran error y aunque no podemos tomar todas las decisiones si podemos optar por cosas que nos dan placer y felicidad.
অসংখ্য ধন্যবাদ কনটেস্টে অংশগ্রহণ করে নিজের মতামত শেয়ার করার জন্য। এবং আমিও আপনার সাথে সহমত নিজের মন যেটা বলে সেটাই করা উচিত আমাদের প্রত্যেকটি মানুষের। অনেক সময় আমরা আমাদের পরিবারের সিদ্ধান্তের সম্মতি দিতে হয় নিজেদের ইচ্ছা না থাকলেও। তবে সেই সিদ্ধান্তের উপরে আমরা অনেক সময় খুশি হতে পারি না তাই নিজের সুখ দুঃখ গুলো নিজেকে অনুভব করে সিদ্ধান্ত নেয়াটা আমি মনে করি ভালো। ভালো লাগলো আপনার প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তর দেখে শুভকামনা রইল আপনার জন্য।