"বাসন্তী পূজোর বিসর্জনের কিছু মুহূর্ত"
![]() |
---|
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে। অনেকদিন বাদে গতকাল সন্ধ্যা থেকে আমার নিজের মনটাও বেশ ভালো আছে। আজ এই পোস্টের মাধ্যমে সেই কারণটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হলাম।
বিয়ের পর বাপের বাড়িতে আসতে যে কোনো মেয়েরই খুব ভালো লাগে, তবে আমি বোধহয় ব্যতিক্রম। আমার বাপের বাড়ি এলাকায় আসতে একদমই ভালো লাগেনা। যেহেতু এখন আমাদের বাড়িতে কেউ থাকে না।
তবে এর আগেও বহুবার আপনাদেরকে জানিয়েছে আমার সবথেকে প্রিয় বান্ধবী রাখি, তাদের বাড়িতেই মূলত আমার বেশিরভাগ সময় কাটে। মোটামুটি ও জোর করাতেই বলতে পারেন গতকাল সন্ধ্যাতে আমি বাপের বাড়ি এসেছি।
আমাদের এখানে গত কয়েক বছর ধরে বাসন্তী পূজো শুরু হয়েছে ঠিকই, তবে কোনবারই আমি আসি না। তবে হ্যাঁ প্রত্যেকবারই ও আসার কথা বলে। তবে এইবার এত সময় আমি হসপিটালে কাটিয়েছি যে, নিজেও বাড়িতে ফিরে খুবই বিরক্ত ছিলাম। আর রাখী, পিয়ালী ও সঙ্গীতা অনেকবার আসার জন্য বলছিলো কারণ মাঝে অনেকদিন দেখা হয়নি আমাদের।
তাই প্ল্যান করা হলো পুজোর বিসর্জনের দিন অন্তত সবাই যাতে একসাথে হয়ে কিছুটা সময় কাটাতে পারি। বলতে পারেন খানিক সেই মুহূর্ত উপভোগ করতে পারবো বলেই গতকাল বিকালের দিকে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলাম আমার গ্রামের বাড়িতে আসার উদ্দেশ্যে।
সেখানে প্রথমে রাখিদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। ও আমাদের জন্য গরম গরম চিকেন পকোড়া ভেজে ছিলো। আজ আমার নিরামিষ, তাই গতকাল তাড়াহুড়ের মধ্যে ও ভেবেছিল যাতে অন্তত একসাথে বসে আমারা চিকেন পকোড়া উপভোগ করতে পারি।
ভ্যান থেকে নামতেই পরিচিত সকলের সাথে মোটামুটি দেখা হলো, সবার সাথে একটু একটু করে কথা বলতে অনেকটা সময় অতিবাহিত হলো। ততক্ষণের পিয়ালী ও সঙ্গীতাও চলে এসেছিল।
এরপর সকলে মিলে এক জায়গায় বসে গল্প করতে করতে রাখির তৈরি করা চিকেন পকোড়া উপভোগ করলাম। এরপর আমি কমিউনিটির বেশ কিছু কাজ সম্পন্ন করে নিলাম। তারপর রেডি হয়ে মোটামুটি আটটার দিকে রওনা করলাম বাসন্তী পুজোর জায়গা।
ততক্ষণে ঠাকুরের বরণ শুরু হয়ে গিয়েছে। প্যান্ডেলের দিকে এগোনোর আগেই পরিচিত অনেকের সাথে। একজন কাকিমা বরণ করে ফিরছিলেন, তখন বরণডালার সিঁদুর দিয়ে মোটামুটি আমাদেরকে সিঁদুর পরিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর আমরা পৌঁছলাম মন্ডপে। ততক্ষণ অন্ধকার হয়ে যাওয়াতে স্টেজের লাইটগুলোও জ্বলছিল।
ছোটোর মধ্যে প্যান্ডেলটা বেশ ভালো হয়েছিলো, আর ঠাকুরের মূর্তিটির। আসলে ঠাকুরের সৌন্দর্য্য আলাদা করে বলার অবকাশ লাগে না। তবে হ্যাঁ মা যখন ফিরে যান, তখন মায়ের বিষাদ ভরা মুখটা কিন্তু খুব ভালোভাবেই বোঝা যায়। একে একে অনেকেই ঠাকুর বরণ করতে সেখানে এসেছিলেন। অন্যদিকে স্টেজে ততক্ষণে গান শুরু হয়েছে। পাড়ার সকল ছেলেমেয়েরা একত্রিত হয়ে মোটামুটি নাচের প্রস্তুতি নিচ্ছিলো
অনেক মানুষের সাথে বহু বছর বাদে এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে দেখা হলো। সকলের সাথে কথা বলতে বলতে অনেক সময় পার হলো। ছোটবেলায় প্রতিদিন যে মানুষগুলোর সাথে দেখা হতো, গতকাল যে কত বছর বাদে সামনাসামনি দেখা হয়েছে, তার কোন হিসেব নেই। কিন্তু গতকাল সকলের সাথে দেখা হয়ে বেশ ভালো লেগেছে।
সত্যি কথা বলতে আসার আগেও ভাবিনি সন্ধ্যার পর থেকে মনটা এতটা ভালো থাকবে। বেশ কিছু ব্যক্তিগত কারণে গত কয়েকদিন ধরে অনেক বেশি বিরক্ত ছিলাম। কিন্তু গতকাল থেকে মনটা একটু ভালো হয়েছে। ছোটবেলার চেনা মানুষের সাথে দেখা, কত কথা হলো। আসলে এখন বাবাও এখানে থাকে না, সকলেই বাবার সম্পর্ক জিজ্ঞাসা করছিলো।
এরপর আমরা সকলে নাচের জায়গায় গিয়ে মোটামুটি আনন্দ করলাম। আমি ও সঙ্গীতা যদিও দাঁড়িয়ে ছিলাম, তবে পিয়ালী ও রাখি মোটামুটি নাচ করেছে। আমি ওদের কিছু ভিডিও তুলে দিয়েছিলাম। কিছুক্ষণ বাদে সঙ্গীতার হাজবেন্ড ওকে নিতে আসায়, আমরা আবার ওকে রাস্তা পর্যন্ত এগিয়ে দিলাম।
অবশ্য এরপর আমরাও খুব একটা দেরি করিনি। আরো কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে আমরাও বাড়ির দিকে রওনা করলাম। যেহেতু বাড়ির পাশে পূজা হয়েছিলো তাই বাড়িতে বসে মোটামুটি গান শোনা যাচ্ছিলো।তারপর বাড়িতে এসে, ফ্রেশ হয়ে সকলে শুয়ে পড়লাম।
আমি কয়েকটা পোস্ট ভেরিফাই করলাম। পরের দিন অর্থাৎ আজ আমার নিরামিষ ছিলো, তাই কোনো পিকনিকের আয়োজন করা হলো না। তবে ঠিক হয়েছে পরবর্তীতে একদিন সকলে মিলে চিকেন বিরিয়ানির পিকনিক করবো। এছাড়াও আরও একটা বিষয়ে প্ল্যান হয়েছে, যদি সেটা সফল হয় সেই সম্পর্কে আমি অবশ্যই আপনাদেরকে জানাবো।
যাইহোক গত কালকের কাটানো কিছু মুহূর্ত আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। পড়ে আপনাদের কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন। ভালো থাকবেন সকলে। শুভরাত্রি।
বাসন্তী পূজা যে সময়টাতে আপনারা আপনাদের দেবীকে বিসর্জন দিয়ে থাকেন এই দিনটা আপনার বন্ধুদের সাথে আপনি ঘুরতে বের হয়েছেন জানতে পেরে ভালো লাগলো আসলে বছরের কিছু সময় নিজের স্পেশাল মানুষগুলোর সাথে কাটাতে বেশ ভালই লাগে অসংখ্য ধন্যবাদ বাসন্তী পূজা বিসর্জনের নিজের বান্ধবীদের সাথে কাটানো আনন্দঘন মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন।