Incredible India monthly contest of September #2| Inner peace or outer Joy!
![]()
|
---|
Hello,
Everyone,
কেমন আছেন আপনারা সকলে? আশা করছি সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটি খুব ভালো কেটেছে।
আজ আমি অংশগ্রহণ করতে চলেছি আমাদের কমিউনিটিতে আয়োজিত সেপ্টেম্বর মাসের একেবারে শেষ কনটেস্টে, যার বিষয়বস্তু খুবই আকর্ষণীয়। যারা এখনও পর্যন্ত এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করেননি, তাদের জন্য পোস্ট লিঙ্ক আরো একবার শেয়ার করলাম।
আশাকরছি এইরকম আকর্ষণীয় বিষয়বস্তু সম্পর্কে সকলেই নিজেদের মতামত উপস্থাপন করবেন। যাইহোক চলুন এবার আমি কনটেস্ট এর বিষয়বস্তুর সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত কিছু অনুভূতি এবং মতামত এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করি, -
|
---|
সত্যি কথা বলতে বাহ্যিক আনন্দ এবং আভ্যন্তরীণ শান্তি এই দুটির মধ্যে যে কতখানি পার্থক্য আছে সেটা আজ থেকে কয়েক বছর আগে বোঝার মতন ক্ষমতা ছিল না। তখন মনে হতো নিজের পছন্দের সমস্ত জিনিস পেয়ে গেলে, তার থেকে বেশি শান্তি বোধহয় আর কোনো কিছুতেই নেই।
তবে ধীরে ধীরে বাস্তবতার সম্মুখীন হয়ে এবং জীবনের এতোগুলো বছর পেরিয়ে যতটুকু অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, তার উপরে ভিত্তি করে বলতে পারি মানসিক শান্তির থেকে বড় কিছু পাওনা বোধহয় আর কোনো কিছুই হয় না। অথচ এই মানসিক শান্তি অর্জন করতে হলে যে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয় এমনটাও কিন্তু নয়।
বরং বাহ্যিক আনন্দ উপভোগ করার জন্য যে সকল জিনিসকে আমরা আঁকড়ে ধরি, সেই সমস্ত জিনিস পাওয়ার জন্য, নিজেদের জীবনের ছোট ছোট চাহিদা পূরণের জন্য অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। কারণ সেগুলো পূরণের জন্য সবথেকে যা বেশি প্রয়োজন সেটি হলো অর্থ। আর অর্থ উপার্জন করতে হলে আপনাকে শারীরিক পরিশ্রম অবশ্যই করতে হবে।
তবে মনের শান্তি বা অভ্যন্তরীণ শান্তি পেতে হলে শারীরিক পরিশ্রমের প্রয়োজন হয় না। সেখানে সবথেকে যা প্রয়োজন সেটি হল নিজের মনকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার ক্ষমতা। তাই ব্যক্তিগতভাবে বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে বাহ্যিক আনন্দ এবং আভ্যন্তরের শান্তির মধ্যে থেকে আমি অভ্যন্তরীণ শান্তিকেই বেছে নিতে চাই।
|
---|
হ্যাঁ, আমি বিশ্বাস করি আমরা চাইলেই খুব সহজে বাহ্যিক আনন্দ অর্জন করতে পারি। তবে অভ্যন্তরীণ শান্তির ক্ষেত্রে সেটা সব সময় সম্ভব হয় না। যেমনটা আমি উপরোক্ত প্রশ্নের উত্তরে বললাম বাহ্যিক আনন্দ উপভোগ করার জন্য আমাদের অর্থের প্রয়োজন হয়।
আসলে প্রত্যেক মানুষের ভালোলাগার বিভিন্ন বিষয় থাকে। কেউ ঘুরতে ভালোবাসে, কেউ শপিং করতে ভালোবাসে, কেউ খাবার খেতে ভালোবাসে, কারোর পছন্দ শখের বাগান তৈরি করা, এইরকম ভাবেই বিভিন্ন জিনিসের প্রতি মানুষের আকর্ষণ জন্মায়। আর জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে এই আকর্ষণের বিষয়বস্তু গুলো কিন্তু পরিবর্তিত হতে থাকে।
একটা সময় বন্ধু-বান্ধবের সাথে হাসি আনন্দ মজায় মেতে থাকাতে সকলে সবথেকে বেশি আনন্দ অনুভব করে। তবে সেই সমস্ত কিছু করার জন্য সবথেকে বেশি যা প্রয়োজন সেটা কিন্তু অর্থ। তাই যদি আমরা আমাদের জীবনের এই ইচ্ছে গুলো পূরণ করতে চাই, তাহলে অর্থ উপার্জন করলে তা কিন্তু করা সম্ভব। তবে যদি আসে মানসিক শান্তির কথা, তাহলে কোনো অর্থের বিনিময়েই কিন্তু আপনি এটা কিনতে পারবেন না।
যদি আপনাকে অভ্যন্তরীণ শান্তি পেতে হয় তাহলে এমন কিছু কাজ করতে হবে যা আপনাকে মানসিক প্রশান্তি দেবে। অনেক সময় দেখবেন অনেক দামি কোনো উপহার অন্যকে দেওয়ার পরেও আপনার মনে হয়তো ততখানি প্রশান্তি আসে না, যতখানি রাস্তায় কোনো অসহায় মানুষকে সামান্য অর্থ সাহায্য করলে আপনি অনুভব করেন।
অনেক সময় ট্রেনে যাতায়াত করার সময় বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র বিক্রি হতে দেখি। কখনো নিজের প্রয়োজন অনুসারে কিছু জিনিস কিনেও থাকি। অথচ সেই একই ট্রেনে কোনো অন্ধ মানুষ হয়তো গান গেয়ে ভিক্ষা করছেন। ১০০ টাকার বিনিময়ে কোনো জিনিস কিনে আমার যতখানি আনন্দ হয়, তার থেকে অনেক বেশি ভালো লাগা কাজ করে যখন সেই অন্ধ মানুষের হাতে দশ টাকা তুলে দিতে পারি।
তাই আমার মনে হয় আভ্যন্তরীণ শান্তির অর্থই হলো নিজের বিবেকের কাছে নিজেকে সৎ রাখার প্রচেষ্টা। যদি আপনি এটা করতে সক্ষম হন এর থেকে বড় প্রাপ্য আর কিছুই হয় না।
|
---|
প্রথমে বাহ্যিক আনন্দের বিষয় নিয়ে কথা বলি, যদি হিসেব করে দেখা যায় ছোটবেলায় একটা জিনিসের প্রতি আমাদের যতখানি আকর্ষণ ছিলো, বড় হওয়ার সাথে সাথে সেই আকর্ষণের বিষয়টি পরিবর্তিত হয়েছে। ধরুন ছোটবেলায় কোনো একটা খাবার হয়তো আমার ভীষণ প্রিয় ছিলো তবে বর্তমানে সেই খাবারটি খেতে আমার আর একদমই ভালো লাগে না। সুতরাং সময়ের সাথে সাথে বাহ্যিক আনন্দের কারণ গুলো পরিবর্তন হয়। তাই এটাই আমাদের জীবনে দীর্ঘস্থায়ী হতে পারেনা। এমনটা যে শুধু আমার ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে তেমন নয়, হিসাব করলে প্রত্যেক মানুষেরই এটা একটা সহজাত প্রবৃত্তি থাকে। যেখানে পছন্দের জিনিস সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হয়।
কিন্তু যদি আমি আভ্যন্তরীণ শান্তির কথা বলি তাহলে এই বিষয়টা আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই একটি দীর্ঘস্থায়ী অনুভূতি। ধরুন অনেক আগেই আপনি হয়তো কোনো এক অসহায় মানুষকে সাহায্য করেছেন, কিংবা নিঃস্বার্থভাবে কোনো এক সময় আপনি কারোর খারাপ সময়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সময়ের সাথে সাথে সেই মানুষগুলো হয়তো আপনার করণীয় সমস্ত কাজ ভুলে গেছে, হয়তো আপনি তার পাশে থেকে নিজের কতখানি মূল্যবান সময় তাকে দিয়েছেন সেটাও সে মনে রাখেনি। কিন্তু তবুও সেই বিষয়টি যখন আপনি মনে মনে ভাববেন আপনার মধ্যে কিন্তু এক প্রশান্তি কাজ করবে যে, তার খারাপ সময় আপনি পাশে থেকেছেন।
অনেক ক্ষেত্রে অভিমান বা রাগের বসে আমরা হয়তো তাদের ওপরে নিজের মনে ক্ষোভ জমিয়ে রাখি। তবে সেটা করা একেবারেই উচিত নয়। যদি আপনি এই ক্ষোভ বা অভিমান ত্যাগ করতে পারেন তাহলে কেবলমাত্র আপনি অভ্যন্তরীণ শান্তি অনুভব করবেন। তাই আপনি যদি শুধু আপনার কর্মের হিসাবটুকু যদি রাখেন, সততার সাথে নিজের কাজ করেন এবং আপনার বিবেকের কাছে আপনি পরিষ্কার থাকতে পারেন, অভ্যন্তরীণ শান্তি আপনার সাথে আজীবন থাকবে।
অন্যের কর্মকে অনুসরণ করে কখনোই আভ্যন্তরীণ শান্তি পাওয়া যায় না। সর্বদা মানুষ হিসেবে মানবিক হওয়াটা আপনাকে তা প্রদান করতে পারে। তাই সব সময় আমাদের এমন কাজ করা উচিত, যেটা আমার মনকে আত্মতৃপ্তি দেবে। যদি কোনো কাজ করার পর মনের মধ্যে প্রশ্ন জাগরিত হয়, আমি সেটা ঠিক করলাম না ভুল, তাহলে বুঝতে হবে কোথাও কোনো সমস্যা আছে।
আর এই প্রশ্নের উত্তরের মাঝখানে যদি আপনি আটকে থাকেন, তাহলে মানসিক প্রশান্তি আপনি পাবেন না। তাই সর্বদা এমন কাজ করা উচিত যেখানে আপনার মন থেকে ভালোলাগা কাজ করবে। আর যদি এটা সম্ভব হয়, তাহলে বাহ্যিক ছোট ছোট খুশিও আপনার জীবনকে পরিপূর্ণ করে তুলতে পারবে। কারণ আপনি মন থেকে তখন শান্তি অনুভব করবেন।
|
---|
যাইহোক এই ছিলো আমার নিজস্ব ব্যক্তিগত মতামত, যেটা আমি নিজের মতো করে আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করলাম। আপনাদের আমার পোস্ট পড়ে কেমন লাগলো বিষয়টি অবশ্যই মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। শেষ করার আগে কনটেস্টের নিয়ম অনুসারে আমি আমার তিনজন বন্ধু @mou.sumi, @suryati1 ও @dasudi কে আমন্ত্রণ জানাই এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করে, নিজের নিজের ব্যক্তিগত মতামত শেয়ার শেয়ার করার জন্য। সকলে ভালো থাকবেন।
Penjelasan yang sangat luar biasa, benar seperti yang anda katakan dan saya juga hampir tidak bisa membedakan antara kepuasan lahiriah dan batiniah.
Saya lebih mementingkan kepuasan batin, walaupun lahir juga tidak bisa kita tinggalkan, jika batin kita tenang secara lahiriah kita juga bisa melakukan hal yang bisa menghasilkan dengan bekerja keras.
Memang uang bukan segalanya tapi segala-galanya butuh uang, bahkan tanpa uang kita juga bisa di rendahkan, orang menjauhi kita walaupun sebagian orang tidak seperti itu tapi pada jaman sekarang bukan tidak mungkin hal itu akan terjadi.
Maka bekerjalah mencari uang dengan usaha dan doa, jika kamu banyak uang jangankan musuh,teman, saudara bahkan setan juga akan mengaku jadi temanmu.... begitulah istilahnya.
Ketenangan saya ketika bisa memberikan sesuatu buat orang lain atau membantunya akan menemukan kebahagiaan tersendiri, walaupun sedikit namun iklas dari pada banyak namun di ingat-ingat terus.
Terimakasih temanku atas undangannya semoga anda beruntung ya 🌹
TEAM 8
Congratulations! Your Comment has been upvoted through @steemcurator08. We support good comments anywhere..Terimakasih temanku atas dukungannya 🙏🌹
TEAM 8
Congratulations! Your post has been upvoted through @steemcurator08. Good post here should be..Undoubtedly, the peace of mind rules over all other pleasures in the world and if someone is happy inside, he needs nothing else.