"Incredible India monthly contest of May by @tanay123 | Photography Contest -2"
![]()
|
---|
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটি খুব ভালো কাটেছে। আজ আমি অংশগ্রহণ করতে চলেছি @tanay123 ভাই কর্তৃক আয়োজিত কনটেস্টে, যার বিষয়বস্তু পাখির ফটোগ্রাফি।
কনটেস্টের নিয়ম অনুসারে প্রথমে আমি আমন্ত্রণ জানাই আমার তিনজন বন্ধু @ahp93, @yoyopk @mou.sumi কে, আশাকরছি তারা অবশ্যই এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করে নিজের অনুভূতি এবং নিজের তোলা কিছু পাখির ছবি শেয়ার করবেন।
সত্যি কথা বলতে পাখির ফটোগ্রাফি খুঁজতে গিয়ে আমাকে অনেকটা কষ্ট করতে হয়েছে। তেমনভাবে কখনো পাখির আলাদা করে ফটোগ্রাফি করা হয়নি। অনেক আগে বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম আলিপুর চিড়িয়াখানায় গিয়ে, কিন্তু দুঃখের বিষয় সেই সমস্ত ছবিগুলো আমার ফোন থেকে ডিলিট হয়ে গিয়েছে।
এরপর আর আলাদা করে আর তেমনভাবে পাখির ফটোগ্রাফি করা হয়নি। তবে অনেকেই আছেন, যাদের কাছে বিভিন্ন সময়ে তোলা বিভিন্ন পাখির ছবি আছে। তাদেরকে অনুরোধ করবো অবশ্যই এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য।
যাইহোক চলুন আমি আমার নিজস্ব কিছু অনুভূতি আপনাদের সাথে আগে শেয়ার করি, তারপর আমার তোলা দুই একটি ছবিও শেয়ার করবো, যেগুলো অনেক কষ্টে গ্যালারি খুঁজে পেয়েছি।
|
---|
![]() |
---|
এই পৃথিবীতে প্রকৃতির প্রতিটি সৃষ্টি সুন্দর, পাখিরাও তার মধ্যে অন্যতম। গোটা পৃথিবীর মধ্যে কয়েক হাজার প্রজাতির পাখি রয়েছে, যাদের মধ্যে হয়তো খুব কম সংখ্যক পাখি আমি নিজের চোখে দেখেছি। প্রজাতি যতই আলাদা হোক না কেন, ডানা মেলে আকাশে উড়তে পারাটা পাখিদের অন্যান্য সকল প্রাণীদের থেকে আলাদা করে থাকে। তবে এক্ষেত্রেও ব্যতিক্রমী অনেক পাখি অবশ্যই রয়েছে।
পাখির মতন উড়তে চায় না এমন মানুষ বোধহয় খুব কম আছে। জীবনের জটিলতা গুলো যখন চারিদিক থেকে ঘিরে ধরে, তখন আকাশের দিকে তাকিয়ে উড়ে যাওয়া কোনো পাখি দেখলে নিজেরও ইচ্ছে করে ডানা মেলে উড়ে যেতে। কখনো দলবদ্ধ অবস্থায় তাদেরকে উড়তে দেখলে মনে হয়, নিজের খুব প্রিয় মানুষগুলোর সাথেই এমন করে উড়ে যাই দূর দূরান্তরে।
তবে কিছু মানুষ আছে যারা পাখিকে খাঁচায় বন্দি করে পোষ্য করে রাখেন। তবে তাদের এই ভালোলাগাটা ব্যক্তিগতভাবে আমার একেবারেই ভালো লাগেনা। আমি বলবো না পোষ্য করে রাখাতে কোনো খারাপ লাগা আছে, তবে সব সময় খাঁচায় বন্দি করে রাখাটাও বোধহয় পাখিটির সাথে অন্যায় করা হয়। কথায় আছে ভালোবাসা মানুষকে বন্দি নয় উন্মুক্ত হতে শেখায়। সেক্ষেত্রে উড়ে বেড়ানো যার বৈশিষ্ট্য, তাকে ভালোবেসে কি করে খাঁচায় বন্দী করা যায়? এই বিষয়টাই আমার বোধগম্য হয় না।
মাঝেমধ্যে যখন আমিও সাংসারিক চাপে এমন ভাবেই আটকে থাকি, তখন পাখিদের মতন উড়ে যেতে চাই। তবে সেই সাধ্য নেই বলে আমরা শুধু আফসোস করতে পারি। তবে পাখিদের সেই সাধ্য আছে, তাই আমাদের নিজেদের শখ পূরণ করার জন্য তাদেরকে খাঁচায় আটকে রাখার আমি ঘোর বিরোধী।
|
---|
![]() |
---|
ফটোগ্রাফি করতে আমার বেশ ভালোই লাগে। মাঝেমধ্যে তার করেও থাকি। তবে হ্যাঁ ফটোগ্রাফার হিসেবে আমি খুব ভালো নই এ কথা স্বীকার করতেও আমার কোনো দ্বিধা নেই। কারণ অন্যান্য অনেকেই আছে যারা আমার থেকে অনেক সুন্দর ছবি এই কমিউনিটিতে বিভিন্ন সময় পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। ব্যক্তিগতভাবে আমি তাদের ছবি খুবই পছন্দ করি।
তবে ভালো পারি না বলে নিজের ইচ্ছাটাকে কখনো আটকে রাখিনি। নিজের আনন্দের জন্য আমি মাঝেমধ্যে ফটোগ্রাফি করি। কিছু মুহূর্তকে ধরে রাখার জন্য, সেই মুহূর্তটার ছবি তোলার চেষ্টা করি, সেটা কত ভালো হলো বা মন্দ হলো তা বিচার্য নয়।
হ্যাঁ ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি পাখিদের ছবি তুলতে গেলে বেশ কিছুটা ধৈর্য্য ধারণ করতে হয়। যে ধৈর্য্য প্রকৃতির, আকাশের, বা ফুলের ফটোগ্রাফি করতে গেলে ততটাও দরকার হয় না। যেহেতু পাখি উড়ে বেড়াতে পছন্দ করে, সবসময় এক জায়গা থেকে অন্যত্র উড়ে বেড়ায়।
যখন আমরা ক্যামেরা নিয়ে তার খুব কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করি, তখন তারা আরও বেশি জায়গা পরিবর্তন করে, হয়তো ওরা মনে মনে ভাবে আমরা ওদেরকে ধরতে যাচ্ছি। আর যেহেতু ওরা এত বেশি নড়াচড়া করে, তাই সঠিক ভাবে তাদের ছবি তোলাটা একটু কষ্টকর বলেই আমার মনে হয়।
![]() |
---|
যাইহোক এবার আমি আপনাদের সাথে যে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছি, সেগুলোর সম্পর্কে দু একটি কথা বলতে চাই। কাকের এই ছবিগুলো আমি তুলেছিলাম আমার দিদির ফ্ল্যাটের ছাদ থেকে অনেক আগে। আমার কোনো একটা পোস্টে আমি এই ছবিগুলো আগেও শেয়ার করেছিলাম।
তখন আপনাদেরকে জানিয়েছিলাম এই কাকটি তাকানের বন্ধু। শুধু দিদিরা নয়, দিদিদের ফ্ল্যাটের বেশ কিছু পরিবার আছে যাদের খাবার বেশি হলে, যেমন ধরুন রুটি, ভাত, পাউরুটি, কেক তারা সেগুলো ফেলে দেওয়ার পরিবর্তে ছাদে এনে একটা পাত্রে রেখে দেয়। যেখানে কাকটা প্রতিদিন নিয়ম করে এসে সেই খাবারগুলি খায়।
এখন তো অনেকের এটা অভ্যাস হয়ে গেছে। রুটি বানানোর সময় দিদি এখন একটা রুটি বাড়তি বানায়, পরদিন এই কাকটিকে দেওয়ার জন্য। আর কাকটিকে খাবার দেওয়ার কাজটি তাতান খুব ভালোবেসে করে বলে, ছোটবেলা থেকেই এই কাকটিকে ও নিজের বন্ধু বলে। এটাই ছিলো আমার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলোর পিছনের ছোট্ট গল্প।
|
---|
যাইহোক আমার বিশ্বাস আপনাদের অনেকের কাছেই ফোনের গ্যালারিতে কখনো না কখনো তোলা এরকম ছোটো ছোটো কিছু মুহূর্ত থাকবে, যেগুলোর পিছনে কোনো ভালবাসার গল্প লুকিয়ে আছে। সকলকে অনুরোধ করবো এই কনটেস্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সেই মুহূর্তগুলোর গল্প, পাশাপাশি সেই মুহূর্তগুলোকে ছবির মাধ্যমে আমাদের সাথে শেয়ার করুন। আপনাদের গল্প জানতে আমারও খুব ভালো লাগবে। সবশেষে তনয় ভাইকে আরও একবার ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের লেখা শেষ করছি। প্রত্যেকের সুস্বাস্থ্য কামনা করি।ভালো থাকবেন।
![]() |
---|
Our team is looking for quality posts and comments to reward across the steemit platform. Enhance your experience in creating engaging content
Curated by @mahadisalim
Thank you for your support @mahadisalim. 🙏