"Dow Hill Forest" - এ ঘোরার অভিজ্ঞতা
![]() |
---|
Hello,
Everyone,
গতকালকের পোস্টের শেষে আপনাদের কথা দিয়েছিলাম আজ ঘুরে দেখাবো কার্শিয়ং এর"ডাউ হিল ফরেস্ট"। এটা মূলত একটি পাইন ফরেস্ট, যার ভিতরটাকে একটু রং বেরঙের বাঁশ,কাঠ ও কাপড় সমস্ত কিছু দিয়ে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা হয়েছে। আর বেশ কিছু কঙ্কাল রাখা হয়েছে, যাতে একটু ভুতুড়ে পরিবেশ তৈরি হয়।
![]() |
---|
তবে হ্যাঁ এই জায়গাটি নিয়ে অনেক কাল্পনিক গল্পও শোনা যায়। এখানে ঘুরতে আশা অনেক পর্যটকই এই পাইন বনের মধ্যে হারিয়ে যায় এবং তাদেরকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। এমনকি মাঝে মধ্যে এখানে অলৌকিক কার্যকলাপের গল্পও প্রচলিত আছে। যদিও এর সত্যতা সম্পর্কে আমি অবগত নই। তবে জায়গাটিকে ভুতুড়ে পরিবেশ দেওয়ার জন্য বেশ সুন্দর করে সাজানো রয়েছে। আর এখানে একা ঘোরাটা বেশ ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হবে এ কথাও অস্বীকার করবো না।
![]() |
---|
আমাদের ট্রেন যেহেতু বেশ কিছুটা লেট ছিলো, তারপর হনুমান মন্দির দর্শন করতে গিয়ে কিছুটা সময় অতিবাহিত হয়েছিল, তাই সেখানে পৌঁছাতে আমাদের অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছিলো। সন্ধ্যা ছটা নাগাদ এই ডাউনহিল ফরেস্ট এ এন্ট্রি বন্ধ হয়ে যায়। আমরা মিনিট কুড়ি আগে সেখানে পৌঁছেছিলাম, তাই তাড়াহুড়ো করে টিকিট কেটে ভেতরে গিয়ে অল্প কিছুক্ষণ সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছিলাম।
পাইন বনের মধ্যে দিয়ে যে রাস্তা গেছে সেটা দিয়ে খানিকটা উপরে উঠলে সেখানে একটা মন্দিরও ছিলো শুনেছিলাম। তবে সময়ের অভাবে মন্দিরটি দর্শন করার সুযোগ না হলেও, ভেতরের সাজানো গোছানো জায়গাগুলো সকলে মিলেই ঘুরে দেখেছি, আর ছবিও তুলেছি বেশ কিছু।
![]() |
---|
![]() |
---|
সত্যি কথা বলতে পাইন গাছের সৌন্দর্য্য নিচের থেকেও বেশি যখন আকাশের দিকে তাকানো হয়, তখন আরও বেশি করে উপভোগ করা যায়। আপনারা হয়তো আমার শেয়ার করা উপরোক্ত ছবিটি দেখে সেটা আরো ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।
![]() |
---|
![]() |
---|
যেহেতু এটি একটি পাহাড়ি জায়গা, তাই নিচের থেকে উপরে ওঠার সময় একটু কষ্ট হলে বসে বিশ্রাম করার মতো বেশ কিছু চেয়ার সেখানে তৈরি করা ছিলো। তাই ওঠার ফাঁকে ফাঁকে সেখানে বসে দু'চারটে ছবিও তোলা হয়েছে। হয়তো আলাদাভাবে তেমন কোনো বিশেষত্ব ছিল না এই ফরেস্টটির, কিন্তু পাহাড়ের সৌন্দর্য্যই বোধহয় এমন, যেখানে খুব সাধারণ কিছু জিনিসের মধ্যেও অসাধারণত্ব লুকিয়ে থাকে।
যাইহোক আমি নিজে পাইন গাছ এর পূর্বে দেখলেও পাইনের বাগানের সৌন্দর্য্য, তার গভীরে যাওয়ার অনুভূতি এবং পাইন গাছের ভিতরে মেঘেদের ভেসে বেড়ানো, এই প্রথমবার উপলব্ধি করেছি। তাই আমার কাছে এর সৌন্দর্য্য একেবারেই অসামান্য লেগেছে।
![]() |
---|
![]() |
---|
এমন নিস্তব্ধতা বোধহয় কেবলমাত্র পাহাড়ে গিয়েই উপভোগ করার সুযোগ হয়। অবশ্য আমরা একেবারে শেষ সময়ে গিয়েছিলাম বলে, আর কোনো পর্যটকের তেমন দেখা পাইনি। শুধুমাত্র আমরা ছয় জনই ঘুরে দেখেছিলাম সম্পূর্ণ জায়গাটা, তাই নির্জনতা আরও বেশি করে ধরা দিয়েছিলো আমাদের কাছে।
![]() |
---|
কিছুক্ষণের মধ্যেই সময় শেষ হয়ে যাওয়াতে টিকিট কাউন্টারে থাকা মানুষটি বাঁশি বাজিয়ে জানান দিলো সময় শেষ। তাই আমরাও এক এক করে নিচের দিকে নামতে শুরু করলাম। আসলে আমরা যেহেতু শিটং থেকে দার্জিলিংয়ের দিকে চলে যাবো ঠিক ছিলো, তাই পরবর্তীতে আর সময় করে এই ফরেস্ট ঘুরে দেখার সুযোগ হতো না।
![]() |
---|
![]() |
---|
তাই যতটুকু সময় আমরা পেয়েছিলাম ততটুকু সময় উপভোগ করেছিলাম, পাইন বনের নিস্তব্ধতার মাঝে ভেসে চলা মেঘের সৌন্দর্য্য। যার শীতলতায় শুধু আমাদের শরীর নয়, শীতল হয়ে গিয়েছিল মন ও। এ এক অদ্ভুত অনুভূতি যারা সেখানে গিয়ে উপলব্ধি করেছেন তারা হয়তো আমার লেখার সাথে সহমত পোষণ করবেন। তবে যারা এখনো সুযোগ পাননি, তারা অবশ্যই সুযোগ পেলে একবার ঘুরে দেখবেন এই ডাউ হিল ফরেস্ট।
![]() |
---|
এমন আরও অনেকগুলো পাইন বন ঘুরে দেখার সুযোগ হয়েছিলো পরবর্তী দিনগুলোতে। যার গল্প আস্তে আস্তে আপনাদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করবো। আর পরবর্তী পোস্টে আপনাদেরকে নিয়ে যাবো সেই হোমস্টে তে, যেখানে যাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েই আমাদের গাড়ি ছেড়েছিলো জলপাইগুড়ি থেকে।
সেখানকার পরিবেশ, থাকার রুম, রাতের খাওয়া, পাহাড়ে কাটানো প্রথম রাতের অনুভূতি সবকিছু শেয়ার করবো পরবর্তী পর্বে। অবশ্যই এই পর্বটি পড়ে আপনাদের কেমন লাগলো তা মন্তব্যের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। সকলে খুব ভালো থাকবেন। আজকের দিনটি ভালো কাটুক আপনাদের, এই প্রার্থনা করে আজকের লেখা শেষ করছি।
Thank you for your support @wirngo 🙏.
বনের মধ্য ঘুরতে অবশ্যই অনেক ভালই লেগেছে মনে করি এবং ছবি গুলো দেখেই তো মনে হচ্ছে জায়গাটি অনেক সুন্দর। তবে অনেক সময় এমন ঘটনা আমাদের আশে পাশে অনেক ঘটে থাকে সেটাও হতে পারে এই বনের মধ্য একা ঘোরা ঠিক নয়। আমি সামান্য জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে মাছ ধরতে যাই সেখানে গিয়ে আমার অনেকটা ভয় লাগে মাঝে মধ্যে অবশ্যই এখন আর সেই ভয়টা কাজ করে না। তবে বোনের মধ্য রাস্তা হারিয়ে ফেললে খুবই বিপদ জনক সময় পার করতে হয় তেমনটাই হয়েছিল কোন সময় আমার মনে হয়।