Better life with steem// The Diary Game// 7th May,2025

in Incredible India9 days ago (edited)
IMG_20250508_180710.jpg

Hello,

Everyone,

আজকাল দিনগুলো ভালো কাটছে না। সারা দিনের মধ্যে কতবার যে পিকলুকে মনে করি, ভুল করে ডাকতে যাই, তার হিসেব মিলানো কঠিন। আমি জানি ধীরে ধীরে সবটাই ঠিক হয়ে যাবে। এতো বছরের অভ্যাস দু একদিনে যাবে না, এটা খুবই স্বাভাবিক।

যাইহোক এর আগে যতবার আপনাদের সাথে আমার সারা দিনের কার্যাবলী শেয়ার করেছি পিকলুর কথা বলি আর নাই বলি, সে সবসময় আমার সারাদিনের সঙ্গী ছিলো। তাই আজ সঙ্গীবিহীন একটি দিনের গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হলাম।

গতকালের দিনটি কিভাবে কাটিয়েছিলাম সেটাই আজকে শেয়ার করবে এই পোস্টের মাধ্যমে। চলুন তাহলে শুরু করি,

1672344690977_010726.jpg

"সকালবেলা"

IMG_20250507_154954.jpg

সারাদিন কেমন‌ গরম পড়বে তার আন্দাজ সকালে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বোধহয় আমরা প্রত্যেকেই করতে পারি। গত কয়েকদিন ধরে আকাশে প্রতিদিন মেঘ করে কিন্তু তেমনভাবে বৃষ্টি আর হয়না। যাইহোক গতকালও সকালে ঘুম থেকে উঠেছিলাম নির্দিষ্ট সময়ে।

আজকাল ঘরের দরজা খুলে ছাদের দিকে তাকিয়ে অনেকটা সময় কাটাই। পিকলুকে মিস করি। ভাবি ও থাকলে কি করতো, ছাদে কিভাবে ঘোরাঘুরি করতো, ছাদে পড়ে থাকা পাতা নিয়ে মাঝেমধ্যে খুব খেলা করতো, এইসব ভাবতে ভাবতে কিছুটা সময় কাটে।

ছাদের গাছে এখন সুন্দর ফুল ফোঁটে, সেগুলো দেখলে মনটা অনেকটাই ভালো হয়। যাইহোক তারপর ফ্রেশ হয়ে নিচে এসে রুটিন মাফিক নিজে কাজ শুরু করি।

IMG_20250507_160241.jpg

শুভর সকালের চা দিয়ে এসে ব্রেকফাস্ট বানিয়ে, অফিসে রান্না শেষ করে সময় মত টিফিন গুছিয়ে দেওয়ার কাজ শেষ‌করি। শুভ অফিসে বেরিয়ে যাওয়ার পর আমি কমিউনিটির কাজ নিয়ে বসেছিলাম। শাশুড়ি মা একটু আগে উঠে পড়ছিলেন তাই শ্বশুরমশাইকে উনি খেতে দিয়ে দিয়েছিলেন।আমি শুধু মাঝে সময়মতো সুগার চেক করে ইনসুলিন দিয়ে দিলাম।

IMG_20250507_155439.jpg

আজ একাদশী তাই গতকাল আমার নিরামিষ ছিলো। সকালে ব্রেকফাস্টে আমার অন্য কিছু খেতে ইচ্ছে করছিলো না, তাই নিজেও এক কাপ চা বানিয়ে নিয়ে বেশ কতগুলো বিস্কুট নিয়ে বসে গিয়েছিলাম ব্রেকফাস্ট সারতে।

সকালেই মাছের ঝোল আমি করে রেখেছিলাম। তাই চা বানানোর আগে গ্যাস ভালো করে মুছে নিয়েছিলাম, যাতে শাশুড়ি মা দুপুরে শুধুমাত্র নিরামিষ রান্না করতে পারেন।

1672344690977_010726.jpg

"দুপুরবেলা"

IMG_20250507_160225.jpg

কমিউনিটির কাজ‌ করে ঘরের কাজ‌ কিছুটা গুছিয়ে স্নান করে, পুজো দিয়ে নিলাম। ততক্ষণে শাশুড়ি মা আমাদের রাস্তার দিকে ওনার কিছু কাজ করছিলেন। তাই পুজো শেষে আমি শশুর মশাইকে খেতে দিয়ে দিলাম।‌ এরপর শাশুড়ি মায়ের স্নান হলে আমরা দুজন খেতে বসলাম। খাওয়া দাওয়া শেষ করে আবার কমিউনিটির কাজ নিয়ে বসেছিলাম।

IMG_20250507_160313.jpg

আমি যে রুমটায় থাকি সেখান থেকে বাইরে রোদ্দুর উঠলে যেমন ভালো বোঝা যায়, ঠিক তেমনি রোদ্দুরটা যখন পড়ে যায় বুঝতে পারি আকাশে মেঘ করেছে। আসলে ছাদে কতগুলো আম কেটে রোদ্দুরে দেওয়া ছিলো। তাছাড়া জামা কাপড়ও মেলা ছিলো। তাই জানলার দিকে একটু চোখ রাখতে হয়েছিল বৈকি।

ভাবলাম ছাদ থেকে জামা কাপড়গুলো নিয়ে আসবো, সেই সময় আমার বান্ধবী ফোন করলো। ওর সাথে‌‌ বেশ কিছুক্ষণ কথা বললাম। তারপর ছাদে গিয়ে জামা কাপড় গুলো তুলে, আমগুলো নামিয়ে রেখেছিলাম।

1672344690977_010726.jpg

"সন্ধ্যাবেলা"

IMG_20250507_155509.jpg

বিকেলের দিকে আকাশে মেঘ দেখে ভেবেছিলাম বোধহয় ভালোই বৃষ্টি নামবে। কিন্তু সন্ধ্যার দিকে কেবলমাত্র একটু হাওয়া হলো। দৌড়ে গিয়ে ওপরে জানালা সব বন্ধ করলাম বটে, তবে কিছুক্ষণ বাদে হওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো।

IMG_20250507_155457.jpg

তবে আবহাওয়াটা বেশ কিছুটা ঠান্ডা হয়েছিল হাওয়ার‌ কারনে।কিছুক্ষণ বাদে শুভ অফিস থেকে ফিরলে শরবত বানিয়ে দিয়ে, আমি বুমিং এর কাজ নিয়ে বসলাম। আর শুভ‌ ওষুধ আনার জন্য আবার বাইরে বেরোলো।

1672344690977_010726.jpg

"রাত্রিবেলা"

রাতের দিকে বেশ কিছুক্ষণ ডিসকর্ডে কথা বলেছিলাম সকলে মিলে। তারপর যথাসময়ে শশুর মশাইয়ের সুগার দেখে ওনার খাবার দিলাম। আমি, শুভ ও শাশুড়ি মা গতকাল একটু রাতের দিকেই খেয়েছিলাম। কারণ সন্ধ্যা বেলায় শাশুড়ি মা তরমুজ কেটেছিলেন, সেটাই কিছুটা খেয়েছিলাম তাই খুব বেশি খিদে ছিলো না।

IMG_20250507_160253.jpg

তরমুজ খেলেই পিকলুর কথা মনে পড়ে। যদিও‌ খেতো না, কিন্তু আমরা সকলে খেলে ও সবার সামনে দিয়ে ঘুরে বেড়াতো। কয়েকবার দিয়েছিলাম, ও গন্ধ নিয়ে ফেলে‌ রাখতো। তারপর আর ওটা খেতো না। কিন্তু শাক‌আলু সে বড্ড ভালো ‌খেতো।

এভাবেই কেটেছিল আমার গতকালের দিনটা।‌ জীবনে দায়িত্ব কমেছে অনেকখানি, সাথে‌‌ ব্যস্ততাও। পিকলুকে খেতে দেওয়ার ব্যস্ততা‌ আর নেই,‌‌না‌ আছে‌ নিয়ম মেনে ওষুধ দেওয়ার কাজ। ওকে স্নান‌ করানো‌ নেই, পশম আঁচড়ে দেওয়ার কাজ‌ নেই।‌ বাইরের কুকুর, বিড়াল দেখলে ওর হাঁক ডাক নেই, অচেনা কেউ বাড়িতে ‌এলে চিৎকার নেই, নখের আওয়াজ নেই। সম্পূর্ণ বাড়ি‌টা একেবারে নিশ্চুপ হয়ে গেছে।

9vWp6aU4y8kwSZ9Gw15LFL3aMdhmgmBBFMpDJregpdP328TqCvhjhspw5NBPbWMShaDD4yjYoZFwyWS9XH9YcrMyqTMGHiWpaGrwDGkXYMbDHgxptYZq3ueRpXapEAPkAuu3vPaZSXJ2USdTC.png


1737773973212.gif

Sort:  
Loading...