Better life with steem// The Diary Game// 29th March ,2025

in Incredible India29 days ago
IMG_20250330_213241.jpg
"সারাদিনের কিছু মুহূর্ত"

Hello,

Everyone,

আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটা অনেক সুন্দর ভাবে শুরু হয়েছে। অনেক দিন হয়ে গেলো আপনাদের সাথে দিনযাপনের গল্প শেয়ার করিনি, তাই ভাবলাম আজ এই‌ পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সাথে আমার গতকালকের কার্যক্রম শেয়ার করি। চলুন তাহলে শুরু করি, -

1672344690977_010726.jpg

"সকালবেলা"

IMG_20250329_211025.jpg
"আমাদের গাছের স্থলপদ্মফুল"

শুভ অফিসে যাবে না তাই সকালে ঘুম থেকে ওঠার কোন তাড়া ছিল না। এই কারণে আগের দিন রাতে প্রায় তিনটে নাগাদ ঘুমাতে গিয়েছিলাম। শুভ একটা সিনেমা দেখছিল আর আমিও কনটেস্টে অংশগ্রহণের করার জন্য একটা পোস্ট লিখে, তারপর ঘুমাতে গিয়েছিলাম।

ঘড়িতে তিনটে বাজে দেখে একবার শুভকে বললাম আর ঘুমিয়ে কাজ নেই, সাড়ে পাঁচটা নগদ চলো বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়ি একটু এদিক ওদিক ঘুরে আসি। তারপর না হয় বাড়িতে এসে ঘুমাবো। যাইহোক সেই প্ল্যান আর করা হয়নি। এরপর ঘুমিয়ে পড়েছি যখন ঘুম ভাঙলো ঘড়ির কাটায় ৮.৪৭। বাইরে রোদের তীব্রতা দেখে তখন মনে হল যেন প্রায় দুপুর হয়ে গেছে।

বাড়ি ফিরে দেখেছি আমাদের ছাদ বাগানের গাছের অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। ২২ দিন নেহাৎ কম সময় নয়। শীতকালীন ছোট্ট ছোট্ট যে ফুল গাছ শাশুড়ি মা লাগিয়েছিলেন, তাতে ফুলধরা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এখন মাঝে মধ্যে একটা আধটা করে ফুল‌ ফোঁটে‌। তবে একটা সময় অনেক ফুল ধরছে।

প্রকৃতির নিয়ম কি অদ্ভুত! বছরে দুবার স্থলপদ্ম ফুল ফোঁটে। একটা দুর্গাপুজোর সময়, আর একটা বাসন্তী পূজার সময়।‌ আর কয়েক দিন বাদেই বাসন্তী পুজো, এই কারণেই এখন স্থলপদ্ম আছে অনেক কুঁড়ি এসেছে। ফুল ও ফুঁটতে শুরু করেছে।

IMG_20250329_211309.jpg
"শুভর চা"

ফ্রেশ হয়ে নিতে এসে দেখলাম ততক্ষণে শশুর মশাই ও শাশুড়ি মায়ের চা খাওয়া হয়ে গেছে। শুভ তখনও ঘুম থেকে ওঠেনি বলে আমি ছাদের গাছ থেকে সমস্ত ফুল তুলে আনলাম। অতো সকালেও ফুল তুলতে গিয়ে রোদের কারণে আমাকে অবস্থা খারাপ। নীচে এসে সবার জন্য ব্রেকফাস্টে রুটি বানালাম ঠিকই, তবে নিজের রুটি খেতে একেবারে ইচ্ছে করছিল না বলে, আমি রুটি খাইনি।

1672344690977_010726.jpg

"দুপুরবেলা"

IMG_20250330_211208.jpg
"শীতকালীন এই ফুলগুলো অনেক ফুটত। ছবিটি আগের‌ তোলা"

গতকাল আবার সূর্যগ্রহণ ছিলো। দুপুর দুটোর পর গ্ৰহণ লাগার কথা ছিলো, তাই দুপুরের খাওয়া-দাওয়া গ্ৰহণ লাগার আগেই শেষ করার ইচ্ছে ছিলো। এই কারণে ঘরের কাজকর্ম সেরে, স্নান করে একটু আগেই পুজো দিয়ে নিয়েছিলাম। সেই সময় শাশুড়ি মা রান্নাবান্না সেড়ে নিয়েছিলেন।

IMG_20250329_211347.jpg
"আমার‌ পছন্দের লাঞ্চ‌-ডিমের‌ ঝোল "

এরপর সকলে একটু তাড়াহুড়ো করেই খেতে বসেছিলাম। গতকাল ২.২০ মিনিটের আগে আমরা খাওয়া শেষ করেছিলাম। তারপর পিকলুকে খেতে দিয়েছিলাম। সৌভাগ্যবশত গতকাল সময়ের আগেই আমাদের খাওয়া শেষ হয়েছিলো। কারণ গত বেশ কয়েক বছর ধরে দুপুরের খাওয়া শেষ হতে আমাদের প্রায় চারটে বেজে যাচ্ছিলো, যেটা খুবই অস্বাস্থ্যকর। কারণ তাড়াতাড়ি শেষ হয়েছিল বলে বিশ্রাম করার জন্য একটু সময় পেয়েছিলাম।

শুভ সিনেমা দেখেছিল আর আমি সেই সময় পোস্ট ভেরিফাই করছিলাম। এই গরমে উপরের ঘরে থাকা একেবারেই অসম্ভব, এজন্য নীচের ঘরে শুয়ে ছিলাম। বেশ কিছুক্ষণ বাদে একটু ঘুম আসছিলো, তবে বাইরে তাকিয়ে দেখলাম কিছুক্ষণ বাদে সন্ধ্যা হবে, তাই আর ঘুমালাম না।

1672344690977_010726.jpg

"সন্ধ্যাবেলা"

ফোনে এটা সেটা দেখতে দেখতে সময় পার করে একেবারে সন্ধ্যা দেওয়ার সময় উঠলাম। তারপর ছাদে থেকে জামা কাপড় নামিয়ে সন্ধ্যাপুজো দিয়ে নিলাম। এরপরে ঠিক হলো আমি আর‌ শুভ আমার ননদের বাড়িতে যাবো। যাওয়ার আগে বুমিং এর কাজ করে বেরিয়ে পড়লাম। ননদের বাড়িতে বাড়ির কাজ হচ্ছে সেটা দেখলাম। তার পাশাপাশি শ্বশুরমশাইয়ের চিকিৎসা নিয়েও একটু কথা বলার ছিলো।

IMG_20250329_205148.jpg
"এগ-চিকেন‌ চাউমিন"

ওদের বাড়িতে বসেই বিশেষ কারণে বেশকিছুক্ষন ডিসকর্ডে‌ কথা‌ বললাম। তারপর ননদ চাউমিন আনলো, সেগুলো খেয়ে বেশ‌ কিছুটা সময় কাটিয়ে‌ বাড়িতে ফিরলাম দুজন।

1672344690977_010726.jpg

"রাত্রিবেলা"

চাউমিন খেয়ে পেট এতো‌ ভরে ছিল যে রাতে শুভ আর আমি কিছুই খাইনি। শশুর মশাইকে তিনটে রুটি করে দিয়েছিলাম। এরপর পিকলুকে খাইয়, ওকে সব ওষুধ দিয়ে দিয়েছিলাম। খাওয়ার পর আবার শশুর মশাইয়ের একটা নতুন ইনসুলিন চলছে, ‌সেটা‌ দিয়ে তারপর আমি বসলাম ভেরিফিকেশন করতে।

এরপর ফোন ঘাঁটাঘাঁটি করতে করতে কখন ঘুমিয়েছি তা ঠিক মনে নেই। এইভাবে কেটেছে আমার কালকের সারাদিন। আপনাদের দিনটা কেমন কাটছে অবশ্যই জানাবেন। ভালো থাকবেন সকলে। শুভরাত্রি।


1737773973212.gif

Sort:  
 29 days ago 

সত্যিই সকালবেলায় এত রোদের তাপ বাইরে একদমই বেরোনো যায় না সকালবেলায় রোদের তাপ দেখে মনে হয়। যেন বিকেল হয়ে গেছে। এত রোদে তাপে গাছগুলো সারাদিন সত্যিই খুব ক্লান্ত হয়ে পড়ে। দুবেলা জল না দিলে গাছগুলোর অবস্থা একদমই খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু এ বছরে আমি অবাক হয়েছি আমার বাগানের স্থলপদ্ম গাছ কেটে দেওয়া হয়েছিল কিন্তু এখন দেখছি গাছ ভর্তি কুড়ি এসেছে এমন কি ফুল ফুটতে ও শুরু করেছে। এমনটা আমি কখনোই দেখিনি এই বছরে প্রথমবার দেখলাম। আর স্থল পদ্মফুল আমার ভীষণ প্রিয়। আপনার সারাদিনের কাজকর্ম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Loading...