"Better life with steem//The Diary Game//24 th August,2025- Special Sunday"

in Incredible India3 days ago
IMG_20250824_212823.jpg

Hello,

Everyone,

আজ রবিবার মানেই সাপ্তাহিক ছুটির দিন। সাপ্তাহিক ছুটি অবশ্য তাদের, যারা চাকরি করেন। তবে বাড়ির গৃহিণীদের তেমনভাবে কোনো সাপ্তাহিক ছুটি হয় না। তবে হ্যাঁ প্রতিদিন রুটিন মাফিক জীবন যাপনের ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রম চোখে পড়ে। এই কারণে সপ্তাহের অন্যান্য দিনের থেকে এই দিনের কিছুটা পার্থক্য রয়েছে।

আজ আমি আপনাদের সাথে আমার আজকের সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করবো। গতকাল যারা আমার পোস্ট পড়েছিলেন, তারা হয়তো জানবেন গতকালের দিনটা আমার বেশ খারাপ কেটেছে। শারীরিক অবস্থার সাথে সাথে মানসিক দিক থেকেও বেশ অনেকটাই ডিস্টার্ব ছিলাম। তবে আজ সেই খারাপ লাগাটা অনেকখানি কাটিয়ে উঠতে পেরেছি।

তাই দিনটা সকাল থেকে কিভাবে শুরু করেছিলাম, সেকথা দিয়েই আজকের পোস্ট শুরু করবো,-

1672344690977_010726.jpg

"সকালবেলা"

IMG_20250824_212658.jpg

বহুদিন বাদে গতকাল রাতে বেশ গভীর ঘুমিয়েছি। যদিও ঘুমটা অনেকটা দেরিতেই এসেছিলো, তবে অনেকদিন বাদে এমন ভাবে ঘুমিয়েছিলাম। হয়তো শারীরিকভাবে অনেকখানি দুর্বল ছিলাম বলেই, ঘুমটা এতোটা গভীর হয়েছে।

সকালে যখন আমার ঘুম ভাঙলো, পাশে শুভ নেই দেখে আমি একলাফে উঠে বসলাম।হঠাৎ করে বুঝতে পারছিলাম না কটা বাজে। কারণ এমনটা কখনো হয় না যে, আমি অনেক বেলা পর্যন্ত ঘুমাচ্ছি এবং শুভ উঠে পড়েছে। ফোনটা হাতে নিয়ে দেখলাম খুব বেশি সময় হয়নি, মাত্র আটটা কুড়ি বাজে।

বিছানা ছাড়তেই শুভ বললো চা হয়ে গেছে ফ্রেশ হয়ে নাও। আমি তো অবাক ! এই অসম্ভব কি করে সম্ভব হলো? সেটা ভাবতে ভাবতেই ফ্রেশ হয়ে এলাম। শুভ আজ অনেকখানি আগেই উঠে পড়েছে, ফ্রেশ হয়ে নিজে নিজেই চা বানিয়েছে। এমন সৌভাগ্য সচরাচর হয় না, তাই বেশি কথা না বাড়িয়ে দুজনে মিলে চা খেয়ে নিলাম। বেশ ভালোই বানিয়েছিলো।

IMG_20250824_214202.jpg

চা খেতে খেতে দুজনে মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম আজকে ব্রেকফাস্টও শুভই‌ বানাবে। আর ব্রেকফাস্টে দুজনেই ম্যাগী খাবো ঠিক করলাম। শুভ জানে আমি জলছ সিদ্ধ করে মশলা দিয়ে ম্যাগী খেতে পছন্দ করিনা। তাই ওকে পেঁয়াজ, টমেটো এগুলো কেটে দিলাম এবং ও চাউমিন এর মতো করেই ম্যাগী বানালো। যদিও আমার মতো ততটা ঝরঝরে হয়নি, তবে বেচারা চেষ্টা করেছে সুন্দর করে বানানোর, এটাই আমার জন্য অনেক।

আসলে গতকাল আমার শরীরটা যে অনেক খারাপ ছিলো, সেটা ও দেখেছিলো। তাই আজ সকালে আমাকে গভীরভাবে ঘুমাতে দেখে, এতোটুকু আওয়াজ না করে চুপচাপ কোনো রকম আওয়াজ না করেই ধীরে ধীরে বিছানা থেকে নেমেছিলো। এই কারণেই যাতে আমার ঘুম না ভাঙ্গে। তখন যদি আমি না উঠতাম, চা টা ফ্লাক্সে রেখে দিতো। তবে আমি উঠে পড়াতে একসাথে চা খেয়ে নিতে পারলাম।

এরপর ধীরে ধীরে ঘরের কাজ শুরু করলাম। আজ দুপুরে খাবার রান্না করার কোনো চাপ ছিলো না। আসলে গতকাল রাতে শুভ বাইরে থেকে খাবার হয়ে এসেছিলো। তবে সম্পূর্ণটা আমরা খেতে পারিনি। যে খাবার ছিলো, সেটাই আমাদের দুজনের দুপুরের লাঞ্চ হয়ে যেতো বলে আর কোনো খাবার রান্না করার ঝামেলা ছিল না।

1672344690977_010726.jpg

"দুপুরবেলা"

IMG_20250824_213125.jpg

যেহেতু আজ রবিবার তাই শুভ একটু বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে বেরোলো। আমিও টুকটাক ঘরের কাজগুলো গুছিয়ে নিলাম। গত কয়েকদিন আবহাওয়ার যা অবস্থা, তাতে জামা কাপড় শুকানো খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তবে আজ দিনের বেলায় মাঝে মধ্যে বৃষ্টি হলেও, একটু-আধটু রোদের দেখা পাওয়া যাচ্ছিলো। তাই ভেজা জামা কাপড় গুলো আমি মাঝেমধ্যেই ছাদে দিয়ে দিচ্ছিলাম।

IMG_20250824_212738.jpg

যাইহোক এরপর আমি স্নান সেরে নিলাম এবং কিছুক্ষণের মধ্যে শুভ বাড়িতে ফিরে স্থান করে নেওয়ার পর, দুজনে মিলে একসাথে লাঞ্চ করলাম। গতকাল রাতে ফ্রাইড রাইস ও চিলি চিকেন নিয়ে এসেছিলো। তবে আমি গতকাল খেতেই পারিনি, আর শুভও অল্প পরিমাণে খেয়েছিলো। সবটাই প্রায় রয়ে গিয়েছিলো। যেটা দিয়ে দুজনের হয়ে গিয়েছিলো। এছাড়াও ফ্রায়েড মোমো এনেছিলো, তবে সেটা সন্ধ্যা বেলার জন্যই রেখে দিলাম।

লাঞ্চ সারার পর দুজনেই শুয়ে একটু বিশ্রাম নিলাম। শুভ অবশ্য একটা সিনেমা দেখছিলো। আর আমি বেশ কিছুক্ষণ ফোন ঘাঁটাঘাঁটি করতে করতে মাঝেমধ্যে সিনেমাটা দেখছিলাম, তবে সিনেমার ঘটনাটা আসলেই কিছু বুঝতে পারিনি।

1672344690977_010726.jpg

"সন্ধ্যাবেলা"

IMG_20250824_213208.jpg

কিছুক্ষণের মধ্যে‌ সন্ধ্যা হয়ে এলে আমি উঠে বাইরের, সিঁড়ির সব আলো জ্বেলে দিয়ে সন্ধ্যা দেখিয়ে নিলাম। তারপর শুভকে আদা দিয়ে এক কাপ চা করে দিলাম। আসলে গত দুদিন মাঝেমধ্যে বৃষ্টিতে ভেজার কারণে বেশ ঠান্ডা লেগে গেছে ওর। নাক থেকে অনবরত জল পড়ছে।

IMG_20250824_213008.jpg

যাইহোক এরপর গতকালকের মোমো গুলো একটু গরম করে নিয়ে দুজনে খেয়ে নিলাম। তার সাথে অল্প একটু চানাচুরও নিলাম। কেন জানিনা আজ হঠাৎ সন্ধ্যাবেলায় আমার একটু শুধু চানাচুর খেতে ইচ্ছা করছিলো। যাইহোক খাওয়ার পর শুভকে একটা ওষুধ দিলাম। রাতে খাওয়ার পরে আবার একটা প্যারাসিটামল দিয়ে দেবো।

শরীরটা বেশ খারাপ, তবে আগামীকাল নাকি অফিস বন্ধ করা যাবে না, ভীষণ প্রয়োজনীয় কোনো কাজ আছে, তাই শরীর যেমনই থাকুক না‌ কেন অফিসে তো যেতেই হবে। তাই রাতে ওষুধ খেয়ে নেওয়াই ভালো।

এখন ও অবশ্য টিভি দেখছে, আর আমি বসে আমার লেখাটা শেষ করে নিচ্ছি। এরপর গিয়ে শুধু দুটো করবো, কারণ শুভ রাত্রে রুটি খাবে বলছে। আমার খুব একটা খিদে নেই, যদি খুব খিদে পায় একটু মুড়ি খেয়ে নেবো। তারপর আজ একটু তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়বো ভেবেছি, যদিও জানিনা ঘুম ঠিক কখন আসবে।

যাইহোক সব কিছু মিলিয়ে আজকের রবিবারটা আমার বেশ ভালোই কাটলো। সারাদিন কেমন যেন কোনো কাজই করিনি মনে হচ্ছে, আসলে রান্না না থাকলে যেন অর্ধেক কাজই কমে যায়। বিশেষ করে আমার জন্য। কারণ আমি রান্না করতে পছন্দ করি না।

শ্বশুরমশাই ও শাশুড়ি মা বাড়িতে না থাকায় বাড়িটা বেশ ফাঁকা লাগলেও, আজকে যেহেতু শুভ বেশিরভাগ সময় বাড়িতেই ছিলো, তাই গতকালকের মতো অতটা মন খারাপ লাগেনি। মোটামুটি ভালোই কেটেছে দিনটা।

আপনাদের দিন কেমন কাটলো, অবশ্যই মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এই প্রার্থনা করে আজকের লেখা এখানেই শেষ করছি। শুভরাত্রি।

9vWp6aU4y8kwSZ9Gw15LFL3aMdhmgmBBFMpDJregpdP328TqCvhjhspw5NBPbWMShaDD4yjYoZFwyWS9XH9YcrMyqTMGHiWpaGrwDGkXYMbDHgxptYZq3ueRpXapEAPkAuu3vPaZSXJ2USdTC.png

Sort:  
Loading...