Better life with steem// The Diary Game// 22nd May,2025
![]()
|
---|
Hello,
Everyone,
কেমন আছেন আপনারা সকলে?
আশা করছি সকলে খুব ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের প্রত্যেকেরই আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে। যেমনটা গতকাল জানিয়েছিলাম, আমার দিনগুলো খুব বেশি ভালো কাটছে না। তাই ভাবলাম এমন একটি দিনের গল্পই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করি,-
|
---|
![]() |
---|
গত কয়েকদিন যাবৎ রাতে ভালো ঘুম হচ্ছে না। মাঝেমধ্যে হঠাৎ করেই ঘুমটা ভেঙে যায়। গতকাল বেশ ভালোই বৃষ্টি হয়েছিলো, ভেবেছিলাম রাতে ভালো ঘুম হবে কিন্তু যথারীতি অর্ধেক রাতে আবার ঘুম ভাঙলো। এদিকে ওদিক করে বেশ কিছু সময় পরে আবার ঘুমিয়েছি।
সকালে ঘুম থেকে উঠে ছাদের দরজা খুলে আগে চোখ থাকতো সিঁড়ির দিকে, কারণ বেশিরভাগ দিন পিকলু আওয়াজ পেয়ে উপরে আসতো। মাঝেমধ্যে দরজা খুলেই তাকে দেখতে পেতাম। তবে আজকাল অভ্যাস হয়েছে দরজা খুলে আগে ছাদে থাকা ফুল কাজ গুলোর দিকে চোখ যায়।
আজও দেখলাম জবা ফুল গাছে প্রচুর চুল ফুটেছে। গত কয়েকদিন ধরে ফুলের সংখ্যাটা অনেকটাই বেশি হয়েছে। হাতমুখ ধুয়ে, ফ্রেশ হয়ে, নিচে নামার আগে জবাফুল গাছটির একটা ছবি তুললাম।
![]() |
---|
এরপর নিচে এসে যথারীতি শুভ ও শ্বশুর মশাইয়ের জন্য চা করলাম। শুভকে চা দিয়ে ছাদের গাছের সমস্ত ফুল তুলে তারপর রান্নাঘরে গিয়ে ওর টিফিন তৈরি করলাম। আগুন লাগার পর থেকে শুভ প্রতিদিন রুটি নিয়ে যাচ্ছে, কারণ ভাত খাওয়ার জন্য বসার উপযুক্ত জায়গা এখনো পাচ্ছে না, তাই চেয়ারে বসেই রুটি খেয়ে নিচ্ছে। যদিও এই গরমে রুটি খাওয়া অনেক কষ্টের, তবুও কিছু না খাওয়ার থেকে রুটি খাওয়া ভালো।
![]() |
---|
সেই সাথে সকলের ব্রেকফাস্টের জন্যেও রুটি বানিয়ে নিয়েছিলাম। যথাসময়ে শুভ অফিসে চলে যাওয়ার পর শ্বশুর মশাইয়ের ইনজেকশন থেকে শুরু করে ইনসুলিনের সব কাজ শেষ করি। আজকাল সকালের দিকে ভীষণ ব্যস্ততা থাকে, ওনার পেছনে অনেকটা সময় দিতে হয়, কারণ ওনার শারীরিক অবস্থা অনেকটাই খারাপ।
তার ওপর ঘরোয়া কিছু কাজেও আজ বেশ কিছুটা সময় ব্যয় হলো। যেহেতু আজ বৃহস্পতিবার, ঘরের কাজের চাপ অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেকটাই বেশি থাকে। সেই সমস্ত কাজ সম্পন্ন করতে প্রায় দুপুর হয়ে গিয়েছিলো। তার উপর আগামীকাল একাদশী তাই আজ ছিলো সংকল্প।
সব কাজ সেড়ে রান্নাঘরের সবকিছু পরিষ্কার করে তবেই নিরামিষ রান্না করতে হবে বলে, আমি সেই দিকের কাজও খানিকটা গুছিয়ে দিলাম। গতকাল শুভর ছোটো মাসি এসেছেন আমাদের বাড়িতে। তিনি নিরামিষ খাবেন না, তাই শাশুড়ি মা আগে মাছ রান্না করেছেন, তারপর আমি সমস্ত কিছু পরিষ্কার করে দেওয়ার পর উনি আমার জন্য নিরামিষ একটা তরকারী রান্না করেছেন।
|
---|
![]() |
---|
সমস্ত কাজ গুছিয়ে তারপর আমি স্নান করে পুজো দিতে গেলাম। আজ বৃহস্পতিবারের লক্ষীব্রত সম্পন্ন করে, পাঁচালী পড়ে পুজো দিতে অনেকটাই সময় অতিবাহিত হয়। তবে এই দিন পুজো দিতে আমার নিজের ভীষণ ভালো লাগে। যাইহোক পুজো শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমি শশুর মশাইকে খাবার দিলাম। ততক্ষণে শাশুড়ি মা ও মাসি শাশুড়ি স্নান সেরে এলেন।
আমরা তিনজন একত্রে খেতে বসলাম। যদিও আমি নিরামিষ খেয়েছি, তাই আমার দিকটা আলাদাই ছিলো। তবে একসাথে খেতে বসার আনন্দ সবসময়ই আলাদা। খাওয়া-দাওয়া সম্পন্ন করে আবার শ্বশুর মশাইয়ের সুগার চেক করে, তারপরে একটু বিশ্রাম নিলাম। কারণ সারাদিনের সমস্ত কাজ গোছাতে গিয়ে আজ বেশ ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম, তারপর রাতেও ঠিক ঘুম হয়নি।
|
---|
![]() |
---|
সন্ধ্যা বেলায় শুভ অফিস থেকে ফেরার সময় আইসক্রিম নিয়ে এসেছিলো। মাসি শাশুড়ি অন্য কিছু খেতে তেমন একটা পছন্দ করেন না। তবে আইসক্রিম ওনার খুবই প্রিয়। তাই ও আমাদের সকলের জন্য নিয়ে এসেছিলো।
![]() |
---|
হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হলে ওকে আগে একটু পেঁপে কেটে দিলাম। তারপর আমি কমিউনিটির কাজ নিয়ে বসলাম। সত্যি কথা বলতে আজ একটা বিষয় নিয়ে বড্ড বেশি বিরক্ত ছিলাম এবং সেইবিষয় নিয়েই ডিসকর্ডে কিছুক্ষণ সময় অতিবাহিত করতে বাধ্য হয়েছিলাম।
আমি যখন ডিসকর্ডে কথা বলছিলাম তখন পাশের বাড়ি থেকে একজন মামা ও মামি এসেছিলেন, তাদের সাথে কথা না বলেই আমি দরজা বন্ধ করে যেহেতু ডিসকর্ডে কথা বলছিলাম, তাই কথা শেষ হওয়ার পর দরজা খুলে তাদের সাথে কথা বলাটা উচিত মনে করলাম। তাই কিছুক্ষণ সকলের সাথেই কথা বলে পুনরায় আবার কমিউনিটির কাজে বসলাম।
|
---|
বেশ কিছুক্ষণ আগেই ওনরা চলে গিয়েছেন। তারপর আমি আমার পোস্ট লিখতে বসেছি। এরপর শ্বশুর মশাইয়ের খাবার দিয়ে ওনাকে ইনসুলিন ও ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরে আমরা নিজেরা ডিনার করবো এবং তারপর আমাকে পোস্ট ভেরিফিকেশন করতে হবে।
তবে পোস্ট যেহেতু অনেকটাই লেখা ছিল তাই ভাবলাম আগে পোস্টটা শেষ করি, তারপর বাকি কাজ সম্পন্ন করবো। এই কারণেই বলতে পারেন এখন পোস্টের বাকি অংশ লিখতে বসলাম।
এ সমস্ত কিছুর মাধ্যমে আজকের দিনটি অতিবাহিত হয়েছে, সত্যি কথা বলতে বর্তমানে শ্বশুর মশাইয়ের শারীরিক অবস্থা মাঝেমধ্যে এতটা খারাপ হয় যে ওনার শরীর খারাপ হলে আমি যেন মানসিক দিক থেকে আরও বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে পরি। এটা বিরক্তি কিনা জানিনা। তবে বিষয়গুলো আমার জন্য কেমন একটা দমবন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি করে।
সুস্থ অবস্থায় উনি কারোর কথা শোনার প্রয়োজনবোধ করেন না, তবে যখন অসুস্থ হন তখন যতোই রাগ হোক বা বিরক্তি আসুক প্রকাশ করতে পারি না। কারণ তখন উনি অনেক বড্ড বেশি অসহায়বোধ করেন। অথচ কিছুটা সুস্থ হলেই ওনার আচরণের আমুল পরিবর্তন আমাকে সত্যই বিরক্ত করে তোলে।
যাইহোক এই ভাবেই কেটেছে আমার আজকের দিনটি। আশাকরি আপনারা এবং আপনাদের পরিবারের সকলের মোটামুটি সুস্থ আছেন। আপনাঐ সকলের সুস্থতা কাম্য। সকলে ভালো থাকুন। শুভরাত্রি।
Congratulations!! Your post has been upvoted through steemcurator06. We encourage you to publish creative and quality content.
Curated By: @yonaikerurso