"Better life with steem// The Diary Game// 18th June,2025"
![]()
|
---|
Hello,
Everyone,
গত পরশু থেকে একটানা বৃষ্টি হয়ে চলেছে। রোদের দেখা পাওয়া যায়নি সেদিন থেকে। ঘুরে আসার পর থেকে শরীরটা বেশ খারাপ ছিলো, তবে গতকাল থেকে শরীরটা একটু ঠিক আছে। আশাকরছি আপনারাও সকলে ভালো আছেন এবং আপনাদেরও আজকের দিনটা খুব সুন্দর ভাবেই কাটছে।
দার্জিলিংয়ের ঘোরার গল্প এখনও অনেক বাকি। তবে প্রতিদিন একই ধরনের লেখা লিখতে এবং আপনাদেরও পড়তে হয়তো ভালো লাগবে না। তাই ভাবলাম আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করি বৃষ্টি ভেজা একটি দিনের সকল কার্যক্রম।
ইতিমধ্যেই আষাঢ় মাস পড়ে গেছে, তাই এইরকম ভাবে বৃষ্টি হয়তো চলতেই থাকবে। তবে চলুন আজ জেনে নেই গতকালের সারাটা দিন আমার ঠিক কিভাবে কেটেছিলো, -
|
---|
![]()
|
---|
শুভর অফিস থাকার কারণে সময় মতো ফোনের অ্যালার্ম বেজে উঠলো। জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখিয়ে মেঘলা আকাশ টুপটাপ বৃষ্টি পড়ছে তখনও। অনেকদিন বাদে ঘুম থেকে উঠেই পিকলুর কথা মনে পড়ল। এইরকম বৃষ্টির দিনে বেশিরভাগ সময় ঘরের দরজা খুলে দেখতাম সে দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে আছে।
![]()
|
---|
আবার কখনো কখনো নিজেই সামনের দুটো পা দিয়ে দরজার মধ্যে ঘষাঘষি করতো, যার আওয়াজে মাঝেমধ্যে ঘুম ভাঙতো আমার। দরজা খুলতেই এক দৌড়ে ঘরের ভেতরে কি যে আনন্দ পেতো। একবার খাটের ওপরে সামনের পা দুটো দিয়ে দাঁড়িয়ে শুভকে দেখতো, আর একবার ঘুরে গিয়ে শুয়ে পড়তো পাপোষের উপরে। বাড়ির সব পাপোষ তার সম্পত্তি ছিলো।
বেশ কিছুটা মন খারাপ নিয়েই বিছানা ছাড়লাম। আসলে আমরা মানুষেরা মায়ায় বাঁচি, এটা একেবারেই সত্যি কথা। মানুষ হোক কিংবা প্রিয় কোনো জিনিস, আমাদের কাছ থেকে দূরে চলে গেলেও তাদের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো মাঝেমধ্যেই ভীষণভাবে নাড়া দেয় আমাদের।
![]()
|
---|
যাইহোক যথারীতি ফ্রেশ হয়ে নিচে এসে চা করলাম। অনেকদিন বাদে আমি নিজেও গতকাল চা খেয়েছিলাম। তবে হ্যাঁ দার্জিলিঙে থাকাকালীন প্রত্যেকদিন সকালে আমি চা খেতাম। যাইহোক শুভকে ডেকে দিয়ে, চা খাওয়া শেষ করে নিচে এসে রান্নাবান্নাও শুরু করলাম।
![]()
|
---|
শুরু যদিও বা আমি করেছিলাম তবে, শেষ করেছিলেন শাশুড়ি মা। এরপর শুভ অফিসে চলে গেলে আমরা সকলে সময় মতো ব্রেকফাস্ট করে নিয়েছিলাম। তারপর আমি কমিউনিটির কাজ নিয়ে বসলাম।
|
---|
![]()
|
---|
গতকাল শাশুড়ি মা পূজা দিয়েছিলেন, কারণ আমি কিছু পোস্ট ভেরিফাই করে তারপর নিজের পোস্ট লিখে শেয়ার করেছিলাম। শরীরটা খুব বেশি ভালো ছিল না এবং আমাকে শুয়ে থাকতে দেখেই শাশুড়ি মা পূজা দিতে চলে গিয়েছিলেন। আর যেহেতু রান্না সকালেই হয়ে গিয়েছিলো, তাই আর রান্নার কোনো চাপ ছিল না বলে শাশুড়ি মা নিজেই পুজো দিয়ে নিলেন। এরপর স্নান সেরে সকলে মিলে একসাথে লাঞ্চ শেষ করলাম।
আমরা সকলে খেতেই বসেছি সেই মুহূর্তে মুষলধারায় বৃষ্টি নামলো। উপরের ঘরে জানালাগুলো খোলাই ছিলো, তাই খাওয়ার মাঝেই উঠতে বাধ্য হলাম। উপরে গিয়ে দেখলাম ছাদে জল ভর্তি হয়ে যাচ্ছে। এতো মুষলধারায় বৃষ্টি হচ্ছে যে পাইপ দিয়ে জল নামার সময় পর্যন্ত পাচ্ছে না।
![]()
|
---|
উল্টো দিকের ছাদে তখনো পর্যন্ত টাইম ফুল গুলো ফুটে রয়েছে। আসলে সূর্যের আলো পেলে ফুলগুলো সব থেকে ভালো ফোটে, কিন্তু সকাল থেকে হালকা বৃষ্টি হচ্ছিলো, যেগুলো ফুলের গায়ে পড়েনি, তাই তখনও পর্যন্ত ফুলগুলো মোটামুটি ভালোই ছিল।
যাইহোক খাওয়া-দাওয়া শেষে শুয়ে ছিলাম, তবে ঘুম হয়নি। কারণ কিছু বিষয় নিয়ে শাশুড়ি মা ও শ্বশুরমশাইয়ের সাথে কথা বলছিলাম অনেকক্ষণ। তারপর বেশ কয়েকজনকে ফোনও করতে হয়েছিলো।
|
---|
![]()
|
---|
ফোনে কথা বলা শেষ করে একটু সময়ের জন্য শুয়ে ছিলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে উঠে শাশুড়ি মা সন্ধ্যা পুজো দিয়ে নিলেন আর আমিও উঠে ফ্রেশ হয়ে, বুমিং এর কাজ নিয়ে বসলাম। খুব ইচ্ছে করছিল একটু গরম গরম চপ খাবো। তাই অগত্যা শুভকে ফোন করলাম, যাতে ফেরার সময় সম্ভব হলে চপ নিয়ে আসে। কিছুক্ষণ বাদে শুভ ফিরে এলো তবে শুধু চপ নিয়ে নয়, সাথে স্যান্ডউইচ ও মিষ্টি এনেছিলো। কিন্তু সন্ধ্যা বেলায় আমি শুধু চপ ও স্যান্ডউইচ খেয়েছি।
|
---|
![]()
|
---|
চপ খাওয়ার ফলে রাতের দিকে একেবারে খিদে ছিল না। আমার শ্বশুর মশাইয়ের জন্য তিনটে রুটি তৈরি করলাম। আর শুভ ও শাশুড়ি মায়ের জন্য ভাত গরম করে দিলাম। আমি আর ভাত খাইনি। শুভ মিষ্টি এনেছিল সেখান থেকেই তিনটে মিষ্টি খেয়ে নিয়ে, রাতের ডিনার কমপ্লিট করেছিলাম।
রাতে যখন শুতে গেলাম তখনও বাইরে বৃষ্টি পড়ছিলো। এমন কি আজ সকালেও ঘুম ভাঙলে দেখি বৃষ্টি পড়ছে। এমনকি এখনও পর্যন্ত বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। জানি না নিম্নচাপ হয়েছে কিনা। তবে যাই বলুন না কেন, ওই গরমের তুলনায় এইরকম টানা তিন দিনের বৃষ্টিও একেবারে মন্দ লাগছে না।
যাইহোক এইরকম ভাবেই একটা সুন্দর বৃষ্টি ভেজা দিন কেটেছে আমার। এই বৃষ্টির দিনগুলো আপনাদের কিভাবে কাটছে অবশ্যই জানাবেন। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আর অবশ্যই সাবধানে থাকবেন।