Better life with steem// The Diary Game// 13th April,2025

in Incredible India15 days ago
IMG_20250413_223956.jpg
"আজ সারাদিনের কিছু মুহুর্ত"

Hello,

Everyone,

ভেবেছিলাম আজ কনটেস্টে অংশগ্রহণ করবো, সেই মত বেশ কিছুটা লেখা শুরুও করেছিলাম, কিন্তু শেষ করতে পারলাম না। আসলে কনটেস্টের লেখা গুলোকে আমি চেষ্টা করি খুব যত্ন সহকারে লেখার, এই কারণে লেখাটা স্থগিত রেখে এই পোস্ট লেখা শুরু করলাম। যার মাধ্যমে আমার আজ সারাদিনের কার্যক্রম আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

গত কয়েকদিন ধরেই কেমন যেন এলোমেলোভাবে দিন কাটছে ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। আমার লেখার মধ্যে বোধহয় আপনারা তার আভাস পেয়েছেন। তবে জীবন নিজস্ব গতিতেই এগিয়ে চলে। তাই ভাবনা যতই এলোমেলো হোক না কেন পৃথিবীর নিয়ম কখনই এলোমেলো হয় না। সে তার নিজস্ব গতিতেই এগিয়ে চলে।

যাইহোক অনেকদিন হলো সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করি নি আপনাদের সাথে, তাই ভাবলাম এরকমই এলোমেলো দিন যাপনের গল্পই আজ তুলে ধরি এই পোস্টের মাধ্যমে, -

1672344690977_010726.jpg

"সকালবেলা"

IMG_20250413_211604.jpg
"ছাদের গাছে ফোঁটা ফুল "

যেহেতু রবিবার তাই খুব সকালে ওঠার কোনো তাড়া ছিলো না। গতকাল রাতে একটু দেরিতে ঘুমিয়ে ছিলাম। আজকাল শোয়ার পরেও এদিক ওদিক করে কত যে সময় পার হয় তার হিসেব মিলানো কঠিন। কি যে ভাবি, কি যে চলে মাথার মধ্যে কিছুই বুঝতে পারি না। যাইহোক যেহেতু ফোনে অ্যালার্ম দেওয়া ছিল না, তাই ঘুম ভাঙতেই ঘড়ির দিকে চোখ গেলো। তখন ৮.২০ বেজে গেছে। জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে রোদ্দুরের তাপ দেখে বুঝলাম, আজ সারাদিন এমনই থাকবে হয়তো।

IMG_20250413_211302.jpg
"সকালের খাবার- রুটি ও সুজি"

ফ্রেশ হয়ে নিচে আসলাম। তাড়াতাড়ি রুটি করতে হবে কারণ শ্বশুর মশাইয়ের খাওয়ার সময় হয়ে এসেছে। ওনার সুগার চেক করে ইনসুলিন দিয়ে রুটি আর সুজি করলাম। চৈত্র মাসের শেষ দুদিন আমাদের বাড়িতে নিরামিষ খাওয়া হয়। যেখানে আমিষের কোনো ছোঁয়া থাকে না। ফ্রিজ থথেকে শুরু করে রান্না ঘরের প্রতিটা জিনিস গতকাল রাতে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করা হয়েছে, এটা প্রতি বছরের নিয়ম।

রুটি আমার ভীষণ অপছন্দের, তাই আমি শুধু একটু সুজি খেয়েছিলাম। বাকি সকলের সময় মত ব্রেকফাস্ট করেছে। আমি এই ফাঁকে আমি ফুল তুলে এনে কমিউনিটির কিছু কাজও করে নিয়েছি। কয়েকটা জামা কাপড় ছিল সেগুলো ভিজিয়ে রেখে, পূজোর বাসনপত্র মেজে, তারপর ঘরের টুকটাক কাজ গুছিয়েছে, জামাকাপড় গুলো ধুয়ে মেলে দিলাম।

1672344690977_010726.jpg

"দুপুরবেলা"

IMG_20250413_211506.jpg
"ঠাকুর পুজো"

বলাই বাহুল্য এই সকল কাজ গোছাতেই দুপুর হয়ে এসেছে। তাড়াতাড়ি ঘর গুছিয়ে, স্নান সেরে পূজা দিতে বসেছি। এইটুকু সময় মনের মধ্যে কিছুটা হলেও শান্তি অনুভব করি, যতক্ষণ পুজো দিই ততক্ষণ পর্যন্তই মনটা একটু অন্যদিকে থাকে। খারাপ চিন্তা ভাবনা গুলো মাথায় কম আসে। কিন্তু অনন্তকাল বসে পূজো দেওয়া যাবে না, কারণ সংসারের দায়িত্ব গুলো সেই অনুমতি দেয় না।

নিরামিষ রান্না করা নিয়ে বরাবরই ঝামেলা পোহাতে হয় আমাদের বাড়িতে, কারণ নিরামিষ খেতে কেউ পছন্দ করে না। তার উপরে আজ রবিবার, শুভর ছুটি ছিলো। তাই ও কি খাবে এটাই একটা বড় আলোচ্য বিষয় ছিল।

IMG_20250413_211627.jpg
"খিচুড়ি"
IMG_20250413_211421.jpg
"পনীরের তরকারি"

যাইহোক তার কথা মতো খিচুড়ি, পাঁচমিশালী সবজি, কুমড়ো ফুলের বড়া ভাজা আর পনির রান্না হয়েছিল। শাশুড়ি মা খিচুড়ি একেবারেই খান না। তাই উনি নিজের মত অল্প একটু ভাত করেছিলেন। অবশ্য শুধু ওনার জন্য বললে ভুল হবে, আমাদের বাড়ির সবথেকে ছোট সদস্য পিকলু মহারাজও খিচুড়ি খান না, তাই তাকেও ভাত দিতে হতো।

IMG_20250413_211346.jpg
"পাঁচ মিশালী সব্জি"
IMG_20250413_211234.jpg
"কুমড়ো ফুলের বড়া ভাজা"

আমার পুজোর শেষ হতে হতে শাশুড়ি মা বাকি রান্না করে ফেলেছিলেন এবং শ্বশুর মশাইকে খেতেও দিয়ে দিয়েছিলেন। তবে ফুলের বড়া গুলো ভেজে রাখলে ঠান্ডা হয়ে যেতো, যেটা খেতে একেবারেই ভালো লাগতো না। এই কারণে সকলে স্নান করতে গেলে আমি গরম গরম ফুলের বড়া গুলো ভেজে নিয়ে এসেছিলাম। তারপর আমি, শুভ, শাশুড়ি মা একসাথে বসে লাঞ্চ শেষ করি। পিকলুকে অবশ্য আমি তার আগে খেতে দিয়েছিলাম।

1672344690977_010726.jpg

"সন্ধ্যাবেলা"

খাওয়া-দাওয়া শেষ হতে ঘড়িতে চারটে বেজে গেলো। এরপর এসে শুয়ে ছিলাম একটু বিশ্রাম নেবো, কিন্তু তা আর হলো কোথায়! সেই মাথায় উল্টোপাল্টা চিন্তার আনাগোনা শুরু হলো। কতদিন বা বলা ভালো কত রাত যে আমি নিশ্চিন্তে টানা তিন থেকে চার ঘন্টা ঘুমাইনি, তা মনে করে বলতে পারব না।

কিছুক্ষণ পরে পরে হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে যায়। আবার কিছুক্ষণ জেগে থাকার পরে কখন ঘুমিয়ে পড়ি, বুঝতে পারি না। আজও আর দুপুরে ঘুম হয়নি, এদিক ওদিক করে সময় পার হলে উঠে পড়লাম। তারপর ছাদের জামাকাপড় গুলো তুলে রেখে, সন্ধ্যা পুজো দিয়ে নিলাম।

এরপর কমিউনিটির কিছু কাজ গুছিয়ে নিয়ে কিছুক্ষণ ফোনে কথা বললাম বান্ধবীর সাথে। আপনাদের বলেছিলাম একটা প্ল্যান হচ্ছে জানিনা সেটা আদেও কতটা সফল হবে, তবে হলে অবশ্যই আপনাদেরকে জানাবো। সেই বিষয়ে কিছু কথা হলো এরপর পোস্ট লিখতে বসেছিলাম। কিন্তু সেটাও শেষ করতে পারলাম না।

1672344690977_010726.jpg

"রাত্রিবেলা"

উপরের অংশটুকু লিখে রেখে রুটি করতে গিয়েছিলাম, শ্বশুর মশাইয়ের খাবার সময় হয়ে গিয়েছিল তাই। ওনাকে খেতে দিয়ে এসেই বাকি অংশটুকু লিখছি। একটু বাদে পিকলুকে খেতে দিয়ে, আমরাও ডিনার শেষ করবো। আগামীকাল সোমবার আবার রুটিনমাফিক জীবন যাপন শুরু হবে।

তবে রাতে আদেও কতখানি ভালো থাকবো সত্যিই জানিনা। রাত আসলেই আজকাল বড্ড ভয় করে। বেশি কিছু না একটু ভালো ভাবে ঘুমাতে চাই মনে হচ্ছে ঘুমের ওষুধ ছাড়া সেটুকুও ভাগ্যে জুটবে না।

সত্যিই বাবা কেমন ভাবে জীবন কাটাচ্ছি সে আমি আর ঈশ্বরই জানেন। যাইহোক ভালো থাকবেন আপনারা সকলে। আপনাদের সুস্থতা কামনা করে আজকের পোস্ট শেষ করছি। এমন এলোমেলো দিন-যাপনের কথা পড়ে আপনাদের কেমন লাগলো, মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। ভালো থাকবেন।

9vWp6aU4y8kwSZ9Gw15LFL3aMdhmgmBBFMpDJregpdP328TqCvhjhspw5NBPbWMShaDD4yjYoZFwyWS9XH9YcrMyqTMGHiWpaGrwDGkXYMbDHgxptYZq3ueRpXapEAPkAuu3vPaZSXJ2USdTC.png


5c08ed51-26dc-462f-94f6-6f9e6e0fa2b4.gif

Sort:  
Loading...
 14 days ago 

প্রতিযোগিতায় যখন আমরা অংশগ্রহণ করি তখন সর্বদাই চেষ্টা করি লেখাগুলোকে একটু যত্নসহকারে উপস্থাপন করার জন্য কিন্তু আপনি সবকিছু করে উঠতে পারেননি যার কারণে আপনার দিনের কার্যক্রম নিয়ে আপনি হাজির হয়ে গেছেন আসলে প্রতিনিয়ত কাজগুলো গুছিয়ে করতে করতে কখন যে দুপুর হয়ে যায় সেটা আমরা বুঝতেও পারি না তবে আপনাদের খাবারের মেনুতে বেশ কিছু খাবার দেখে বেশ ভালই লাগছে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।