"Better life with steem// The Diary Game// 11st July,2025"
![]() |
---|
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। আর আজকের দিনটা আপনাদের সকলের খুব ভালো কেটেছে। যদিও আমার সারাদিন অনেক বেশি ব্যস্ততার মধ্যে কেটেছে।
তবে তার ব্যক্তিগত কাজে নয়। কিভাবে আজকের দিনটি কাটালাম সেই কথাই শেয়ার করবো এই পোস্টের মাধ্যমে। চলুন তাহলে সকাল থেকেই শুরু করি,-
|
---|
কতদিন বাদে আজ সকালে চোখ মেলে বাইরে রোদ্দুর দেখলাম, তার হিসাব নেই। সত্যি বলতে বাইরে বেরোনোর কথা থাকলে বৃষ্টি হলে বড্ড বিরক্ত লাগে। তাই আজ রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়া দেখে মনটা ভালো লাগলো।
আসলে দাদাকে নিয়ে আজ আবার ডাক্তার দেখানোর জন্য হসপিটালে যেতে হয়েছিলো, তাই আমাকে আসতে হয়েছে। এখনও পর্যন্ত দাদাকে একা রাস্তায় বেরোতে দেওয়া হয় না। আর দিদির পক্ষে ছুটি নেওয়া সম্ভব হয়নি, তাই আমাকে আসতে হলো।
![]() |
---|
ঘুম থেকে উঠে ট্রেন ধরার আগে পর্যন্ত হাতে যা সময় ছিল তাতে শুধু শুভ ও শশুর মশাইকে জন্য চা করে দিয়ে, ভাত বসিয়ে দিয়েছিলাম। তারপর আমি স্নান সেরে রেডি হয়ে নিয়েছিলাম।
স্টেশনে পৌঁছে টিকিট কাউন্টারের লাইন দেখে আমি শিওর ছিলাম আজ আর লোকালটা পাবো না। আর যদি না পেতাম তাহলে ঐ সকালবেলা আমাদের স্টেশন থেকে অন্য ট্রেনে ওঠা যে কতো কষ্ট সে আর কি বলবো।
![]() |
---|
যাইহোক, সৌভাগ্যবশত টিকিট কেটে দৌড়ে এসে ট্রেনটা পেলাম। এরপর দিদিদের ওখানে পৌঁছে আমি ব্রেকফাস্ট করলাম। দিদি পাস্তা রান্না করেই গিয়েছিল। আমার ব্রেকফাস্ট শেষ হতে হতে দাদা তৈরি হয়ে নিলো। তারপর আমরা রওনা দিলাম হসপিটালের উদ্দেশ্যে।
|
---|
![]() |
---|
আমরা নোয়াপাড়া মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত গাড়ি রিজার্ভ করে নিয়েছিলাম। সেখান থেকে মেট্রো ধরে পৌঁছালাম রবীন্দ্রসদন। ওখান থেকে হাঁটা পথে এসএসকেএম হসপিটাল। মেট্রো স্টেশনের বাইরে রাস্তার পাশের জল জমা দেখে বুঝলাম, কিছুক্ষণ আগেই বেশ ভালো বৃষ্টি হয়েছে।
![]() |
---|
দিদির বিল্ডিং এর নিচে দাঁড়িয়ে ওকে ফোন করলাম। মিনিট ১০ বাদে ও নেমে এলো। এরপর পৌঁছলাম নিউরো সার্জারির ওপিডি বিভাগে, যেখানে দাদার ডক্টর বসেন। ওখানে গিয়ে খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। কিছুক্ষণ বাদেই দিদিদের ডাক পড়লো।
![]() |
---|
দাদার সমস্ত রিপোর্টগুলো দেখে কিছু ওষুধ পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে এখনও ওষুধ খেয়ে যেতে হবে বেশ কয়েকমাস। তারপর আমরা দিদি রুমে গিয়ে কিছুক্ষণ বসলাম। কারণ মেট্রোতে যাওয়ার সময় সিট পাইনি, আবার ওখানে ডাক্তার দেখাতে গিয়েও কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিলো। তাই দিদি রুমে গিয়ে দাদাকে কিছুক্ষণ বসতে বললো।
![]() |
---|
দিদির যেহেতু ডিউটি ছিলো তাই কিছুক্ষণ বাদে আমি ও দাদা আবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করলাম। মেট্রো স্টেশনের সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে একটা ট্রেন ঢুকছে দেখে, না বুঝেই আমি ও দাদা দুজনের ট্রেনে উঠে পড়লাম। কারণ আমাদের ট্রেনের টাইমও তখন ছিলো। একটা স্টেশন যেতেই বুঝলাম আমরা ভুল ট্রেনে উঠে পড়েছি, তাই আবার পরের স্টেশন যতীনদাস পার্কে দাদাকে নিয়ে নেমে পড়লাম।
সেই স্টেশন থেকে পরের ট্রেন ধরে আমরা পৌছালাম নোয়াপাড়ায় এবং সেখান থেকে আবার গাড়ি করে দিদিদের ফ্ল্যাটের সামনে এলাম। এরপর ফ্ল্যাটে উঠে হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হলাম। কিছুক্ষণ বাদেই তিতলি ও তাতান ফিরলো।
![]() |
---|
একটু গল্প করলাম ওদের সাথে। তাতানের একটা দাঁত পরেছে, তাই নিয়ে আলোচনা চললো বেশ কিছুক্ষন। তারপর খাওয়া দাওয়া করতে করতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে এলো। আমি যেহেতু বাড়িতে ফিরে আসবো ঠিক করেছিলাম, তাই আর ড্রেস চেঞ্জ করিনি।
|
---|
সারাদিন ঘুরে যথেষ্ট ক্লান্ত লাগছিলো। দিদি জামাইবাবু অনেকবার করে থেকে যেতেও বলছিলো। কিন্তু আমি থাকিনি যেহেতু আগের সপ্তাহেই ঘুরে এসেছি, তাই আজ একটু কষ্ট হলেও বাড়ি ফিরবো ঠিক করছিলাম।
![]() |
---|
দিদি আম কেটেছিল তাই আমাকেও জোড় করে খাওয়ালো। আমি আজকে ইচ্ছা করেই আঁটি খেলাম। তারপর বেড়িয়ে পড়লাম। স্টেশনে এসে মনে হল না বেরোলেই ভালো হতো, কারণ ট্রেন যথারীতি লেট। আবার বেশ কিছুক্ষণ স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকতে হলো। বসার জায়গাগুলো পুরো ভর্তি ছিলো, তাই অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করার পর অবশেষে ট্রেন এলো।
ট্রেন থেকে নেমে ভ্যান ধরে সোজা বাড়ি পৌঁছলাম। তারপর জামা কাপড় কেঁচে স্নান করে, ফ্রেশ হয়ে, সবেমাত্র একটু বসেছি তখন আমার বান্ধবী মেসেজ করলো। তারপর ওর সাথে কিছুক্ষণ কথা বললাম।
|
---|
স্নান করার পরে বড্ড বেশি ক্লান্ত লাগছিলো, এমনকি ঘুমও পাচ্ছিলো, তবে বান্ধবীর সাথে কথা বলার কারনে ঘুম কিছুটা কেটে গিয়েছিলো। তাই ভাবলাম নিজের পোস্টটা লেখা শেষ করি। এখনো কমিউনিটির পোস্ট ভেরিফিকেশন বাকি রয়েছে। ডিনার শেষ করার পর সেগুলো শেষ করবো, তারপর আজকের মত বিশ্রাম নিতে যাবো।
নিজের প্রয়োজনে বেরোয়নি ঠিকই, কিন্তু গতকাল লিখেছিলাম অন্যের বিপদের পাশে দাঁড়ানোটা আমার স্বভাব, যেটা আমি পরিবর্তন করতে পারবো না, বা চাইও না। যাইহোক সারাটা দিন আজ এইভাবেই কাটিয়েছি। আপনাদের আজকের দিনটা কেমন কাটলো, সেটা অবশ্যই জানাবেন। সকলে ভালো থাকবেন। শুভরাত্রি।