Hello,
Everyone,
কেমন আছেন আপনারা সকলে? আশাকরছি প্রত্যেকে ভালো আছেন। চলুন আজকের পোস্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে নিয়ে যাই কার্শিয়াং ভ্রমণের পরবর্তী পর্বে।
যেমনটা গত পর্বে আপনাদেরকে জানিয়েছি যে শিটংয়ের প্রথম হোমস্টে থেকে আমরা রওনা করেছিলাম আমাদের পরবর্তী ডেস্টিনেশনের উদ্দেশ্য, যেটা ছিলো তিনচুলে। তবে সেখানে পৌঁছানোর পথে যতগুলো সাইট সিন ছিলো, আমরা সেই দিন সেগুলো দেখেছিলাম।

আজ এই পোস্টের মাধ্যমে তার বর্ণনা শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। সেদিন আমাদের প্রথম গন্তব্য ছিল "Ahaldhara view point."
আমাদের হোমস্টে থেকে গাড়িতে করে সেখানে পৌঁছাতে মোটামুটি ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট সময় লাগবে। যাওয়ার পথে চোখে পড়ল বিশাল সিঙ্কোনা গাছের বাগান। আশাকরছি সিঙ্কোনা গাছ সম্পর্কে আপনারা প্রত্যেকেই অবগত আছেন। সিঙ্কোনা গাছের ছাল থেকে কুইনাইন তৈরি হয়। যা ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
গাছগুলো যদিও বিশাল আকৃতির নয়, তবে বিশাল এলাকা জুড়ে এই গাছের বাগান রয়েছে। সামনাসামনি এই গাছগুলোকে দেখার সুযোগ হয়েছিল এই প্রথম। যাইহোক এরপর কিছুটা এগিয়ে গিয়ে আমাদের ভিউ পয়েন্ট চোখে পড়লো। সেখান থেকে বেশ কিছুটা নিচে নামলেই যেন মেঘের দেশে চলে যাওয়া যায়। আগে শুধু শুনেছি তবে এই মেঘকে সামনে থেকে ছোঁয়ার এই অনুভূতির প্রথম অনুভব করলাম, এই Ahaldhara view point এ গিয়ে।
মাটি কেটে সুন্দর করে সিঁড়ি করা আছে ভিউ পয়েন্ট পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য। তবে নামতে খুব একটা কষ্ট না হলেও, ভিউ পয়েন্টে গিয়ে সেখানে কিছুটা সময় কাটিয়ে, ছবি, ভিডিও সমস্ত কিছু তুলে যখন আবার উপরের দিকে উঠছিলাম, তখন বেশ কষ্ট হচ্ছিলো। তবে কষ্ট গুলো যেন খুব বেশি অনুভূত হয়নি সেখানকার সৌন্দর্য্য দেখে।
বেশ কিছুক্ষণ পরে চোখ পড়লো সিঙ্কোনা গাছের ফুলের দিকে। হঠাৎ করে চোখে পড়ল তাই ছবি তুলে নিলাম। প্রচুর মানুষের ভিড় ছিলো সেখানে। আর আপনারা চাইলে এখানে দাঁড়িয়েও স্থানীয় পোশাক পরে ছবিও তুলতে পারবেন। কারণ এখানে বেশ কিছু দোকান রয়েছে যেখানে এই পোশাকগুলো ভাড়ায় পাওয়া যায়। তবে আমাদের মধ্যে থেকে কারোরই তেমন ইচ্ছা হয়নি বলে আমরা শুধু সেখানে বসে প্রকৃতিকে উপভোগ করেছি।
এমনকি সেখানে থাকার জন্য আছে ছোট ছোট হোমস্টে আছে। আপনারা চাইলে সেখানেও রুম বুক করে থাকতে পারেন। হোমস্টের পাশেই বেশ কিছুটা জায়গা জুড়ে আবার চা বাগানও ছিলো। যাইহোক সেখানে বেশ কিছুটা সময় অতিক্রম করার পর আমরা আবার গাড়িতে উঠে বসলাম আমাদের পরবর্তী গন্তব্যে যাওয়ার জন্য।

এটি আসলে একটা হনুমান মন্দির ছিলো, যেখানে পাইন বনের মধ্যে দিয়ে সরু রাস্তা চলে গেছে। বেশ কিছুটা যাওয়ার পর পাইন বনের মধ্যে ছবি তোলাতে আমরা অনেকটা সময় অতিবাহিত করেছিলেন। তাই পর্যন্ত মন্দিরে পৌঁছানো হয়নি। তবে আমাদের সাথে থাকা একজন দাদা মন্দির পর্যন্ত গিয়েছিলো। ওনার কাছেই শুনেছি মন্দিরটায় দেখার মতো তেমন কিছু নেই। তবে ঢোকার পাইন বনের ঢোকার মুখে যে মূর্তিটি ছিলো, তার ছবি কিন্তু ভুল হয়নি।

এর পরবর্তীতে আমরা রওনা করলাম তাকদা অর্কিড সেন্টারের উদ্দেশ্যে, যেটা বিকেল চারটের সময় বন্ধ হয়ে যায়। তাই আমরা একটু তাড়াহুড়ো করে সেখানে পৌঁছলাম। আর টিকিট কাউন্টার বন্ধ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে গিয়ে টিকিট কেটে তাড়াহুড়ো করেই আমরা অর্কিড হাউসে গিয়ে পৌঁছালাম।
একসাথে এতো অর্কিড দেখা অন্য কোনো ভাবেই সম্ভব ছিল না। প্রত্যেকটা ঘর আমরা ঘুরে ঘুরে দেখেছি। সেখানে আলাদা আলাদা ভাবে সমস্ত অর্কিটের গাছগুলোকে খুব যত্ন সহকারে রাখা হয়েছে।
বেশ খানিকটা সময় সেখানে আমাদের অতিবাহিত হয়েছিলো। সেখান প্রত্যেকটা জিনিসই দেখার মতো ছিলো। কিছু ছবি আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্যেও ভুলে এনেছি। আশা করছি আপনাদের সেগুলো দেখলে ভালো লাগবে।

সেখান থেকে বেরিয়ে আমরা বেশ কিছুটা সময় কাটিয়েছিলাম চা বাগানে। তারপর রক গার্ডেন ও মংপুতে রবীন্দ্র ভবন ঘুরে, সেখান থেকে আমরা রওনা করেছিলাম আমাদের পরবর্তী গন্তব্যস্থল তিনচুলে তে অবস্থিত অভিরাজ হোমস্টেতে। সেই দুটি স্থান দর্শনের অভিজ্ঞতা আমি আপনাদের সাথে পরবর্তী পোস্টে শেয়ার করবো।
তবে আজকের লেখায় যে জায়গা গুলো সম্পর্কে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করলাম। তার মধ্যে থেকে কোনটা আপনাদের সবথেকে ভালো লেগেছে, অবশ্যই মন্তব্যের মধ্যে জানাবেন। সকলে ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
You have been supported by the team:
Curated by: @adeljose
Thank you for your support @adeljose Sir.🙏