"কিছু পরিকল্পনা বাস্তবতায় রূপ নেবে, সেই অপেক্ষায় দিনগুনছি"
![]()
|
---|
Hello,
Everyone,
কিছুক্ষণ আগে একটা আনন্দের খবর শুনলাম। আসলে ১২ই অক্টোবর আমার দিদির ছেলে অর্থাৎ তাতানের জন্মদিন। সেই নিমন্ত্রণ করার জন্য বান্ধবীদেরকে ফোন করেছিলাম। হোয়াটসঅ্যাপে আমাদের একটা আলাদা গ্রুপ আছে, সেখানে ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা হলো।
ওদেরকে নিমন্ত্রণ দেওয়ার পাশাপাশি জানতে পারলাম আমাদের গ্রুপের সব থেকে ছোট সদস্য অর্থাৎ পিয়ালীর বিয়ে ঠিক হয়েছে। আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে সম্ভবত বিয়ে হবে। আসলে কাজের সূত্রে ওর বাবা বাইরে থাকেন। তিনি যদি এই সময়ের মধ্যে ফিরতে পারেন, তাহলে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই বিয়ের ডেট পড়তে পারে।
খবরটা শুনে বেশ আনন্দিত হলাম এবং মাথার মধ্যে অনেকগুলো প্ল্যান কাজ করতে শুরু করলো। এটা আসলে সবার সাথেই হয়, বান্ধবীর বিয়ে বলে কথা সেটা নিয়ে প্ল্যানিং তো হবেই। চারজনের গ্রুপে দুজন বিবাহিত আর দুজন অবিবাহিত ছিলাম। এবার বিবাহিতদের দলে আরেকজন বাড়লো এবং বাকি রইলো একজন সেটি হলো "রাখি"।
![]() |
---|
খবরটা শুনে যেমন খুশি হয়েছি, পাশাপাশি মনের কোণে একটা খারাপ লাগাও কাজ করেছে। আসলে আমরা জীবন নিয়ে যতই পরিকল্পনা করি না কেন, জীবন অন্য কিছুই পরিকল্পনা করে রাখে আমাদের জন্য। এটা আমরা আমাদের প্রত্যেকের জীবনে কখনো না কখনো অনুভব করি।
আসলে আমরা প্ল্যান করেছিলাম, আগামী বছর মার্চ মাসে সিকিম ঘুরতে যাবো। আমরা যারা দার্জিলিং ঘুরে এলাম, সেই গ্রুপটাই আবার সিকিমে যাওয়ার প্ল্যান করেছিলাম। তবে ইতিমধ্যেই পিয়ালীর বিয়ে ঠিক হয়েছে, তাই ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে করার পর মার্চে হয়তো আমাদের সাথে যেতে পারবে না।
![]() |
---|
কারণ বিয়ের পর হানিমুনের প্লানিং থাকে সকলেরই। আর সত্যি কথা বলতে নতুন নতুন বিয়ে হলে বেশ কিছু নিয়ম-কানুন, আচার অনুষ্ঠানে কয়েকটা মাস মাঝখান থেকে পার হয়। তাই বিয়ের পরপরই বান্ধবীদের সাথে এইভাবে ১০-১২ দিনের ট্যুরে বেরিয়ে যাওয়াটা আসলেই অসম্ভব। বিশেষত আমাদের মত মধ্যবিত্ত পরিবারে এটা এক প্রকার কল্পনাই বলা চলে।
অনেক কথার মধ্যে এই বিষয়টি নিয়ে সব থেকে বেশি সময় কথা বলেছি আমর। সত্যি বলতে দার্জিলিং এ গিয়ে আমরা এতো এনজয় করেছি যে, আমরা প্ল্যান করেছিলাম বছরে অন্তত একটা বার, কাছে হোক বা দূরে একটা ট্রিপ করবো সকলে মিলে। যদিও পিয়ালী বলেছে, সম্ভব হলে ওরা হানিমুনে সিকিমেই যাওয়ার চেষ্টা করবে, আমরাও সাথেই যাবো। যদিও জানিনা বাস্তবে তার কতখানি সফল হবে।
![]() |
---|
তবে যদি এরকমটা হয় খুব একটা খারাপ হবে না। কিন্তু কোথাও না কোথাও আমার আর রাখির মাথায় এটা চলছে যে, হয়তো এই প্ল্যানিংটা সম্ভব হবে না। তাই যদি না হয় অগত্যা আমরা টিমের বাকি কয়েকজন সেখানে যাওয়ার প্ল্যানটা হয়তো কন্টিনিউ করবো।
তবে মার্চ মাস আসতে এখনো অনেকটা সময় বাকি, এর মধ্যে আমাদের জীবনের আরো কি কি পরিস্থিতি বদলাবে আমরা কেউই জানিনা। তবে আমরা সব সময় কল্পনায় বাঁচি। সর্বসমক্ষে স্বীকার না করলেও, মনের ভিতরে জীবন নিয়ে প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু কল্পনা চলে।
![]() |
---|
আমাদেরও তাই। বিশেষত দার্জিলিং ঘুরে আসার পর থেকে যেন মনে হয়েছে অসম্ভব বলে কিছুই নেই। শুধু ঠিকঠাক সঙ্গ পেলে জীবন থেকে দশ বারোটা দিন এমন ভাবে আনন্দে কাটানো যায়। ১০-১২ দিন এই কারণেই বললাম, কারণ যাওয়ার দুদিন আগে থেকে এবং ফিরে আসার দুদিন পর পর্যন্ত, সেই আনন্দের রেশ থেকেই যায়।
যাইহোক এই সমস্ত কথা বলতে বলতেই আবার যেন দার্জিলিং এ ফিরে গেলাম সকলে। তাই আপনাদের সাথে দার্জিলিং এর আরো কিছু মুহূর্ত ছবির মাধ্যমে তুলে ধরলাম। এখন অপেক্ষায় আছি বান্ধবীর বিয়েতে অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটানোর।
![]() |
---|
ওর বিয়ে নিয়ে অনেক কিছু প্ল্যান করার আছে, আর সর্বোপরি সিকিমে যাওয়ার কি হবে সেটাও কিন্তু ভাবনার বিষয় বটে। যাইহোক কিছুক্ষণ আগে যেহেতু ফোনে কথা শেষ করলাম, তাই ভাবলাম এই খবরটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়া যাক আজকের পোস্টের মাধ্যমে। সকলে ভালো থাকবেন। শুভরাত্রি।