"পারিবারিক কিছু আনন্দের মুহুর্ত- শেষ পর্ব"
![]() |
---|
Hello,
Everyone,
গতকালের পোস্ট যেখানে শেষ করেছিলাম। আজ তারপর থেকেই শুরু করি তাহলে, আমরা প্ল্যান করেছিলাম ফুড কোর্টে বসেই আমাদের লাঞ্চটা সেরে নেবো এবং তারপর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করবো।
সেই মতো আমরা অর্ডার করে নিলাম। প্রথমেই তো মোমো এবং পিৎজ্জা নিয়েছিলাম। ছবিগুলো একটু খেয়াল করে দেখলে আপনারাও বুঝতে পারবেন, শেষ পর্যন্ত ওইটুকু একটা পিৎজ্জাও তিতলি তাতান মিলে শেষ করতে পারেনি।
![]() |
---|
আমার মনে হয় বাচ্চারা এই সমস্ত খাবার খেতে যতই উৎসুক হোক না কেন, খুব বেশি পরিমাণে কিন্তু খেতে পারে না। যাইহোক আমি মোমো খেয়েছিলাম। তারপর নিজের জন্য নিয়েছিলাম ফ্রাইড রাইস এবং চিলি চিকেন। এটা আমার ভীষণ প্রিয় খাবার।
![]() |
---|
![]() |
---|
আপনাদের জানিয়েছিলাম আমাদের সাথে আরও একটা বোন গিয়েছিলো। ও নিজেও ফ্রাইড রাইস চিলি চিকেন খাবে বলাতে, আমরা দুটো চিলি চিকেন নিয়েছিলাম এবং একটা ফ্রাইড রাইস। দিদি যেহেতু ননভেজ খায় না, তাই ভেজ আইটেমের মধ্যে ও অর্ডার করে নিয়েছিলো বাটার পনির আর একটা বাটার নান।
![]() |
---|
প্রথমে দিদির খাবারটাই রেডি হয়ে গিয়েছিলো। তাই দিদি খাবারটা এনে খেতে শুরু করেছিলো। পনির আমি একেবারেই খেতে পছন্দ করি না, তবে দিদি খাওয়ার পরে বলল খেতে ভীষণ সুন্দর হয়েছে। তাই আমাদেরকেও এক টুকরো দিল। খেয়ে দেখলাম সত্যিই খেতে বেশ সুন্দর হয়েছে।
![]() |
---|
এর কিছুক্ষণ পরেই ফ্রাইড রাইস ও চিলি চিকেন এর অর্ডার তৈরি হয়ে গেলো এবং আমরা গিয়ে আমাদের খাবারটা নিয়ে এলাম। ফ্রাইড রাইসটা খেতে ভালোই হয়েছিলো, তবে চিলি চিকেনের গ্রেভিটা বড্ড বেশি পাতলা ছিলো, তবে খেতে খুব একটা মন্দ ছিল না। যাইহোক খাবারগুলো সব এক জায়গায় নিয়ে একটা ছবি তুলে নিলাম। এরপর মোটামুটি দিদি বাদে, আমরা সকলেই সবকিছু মোটামুটি শেয়ার করে খেলাম।
![]() |
---|
এরপর আমরা অর্ডার করলাম কোকাকোলা। খুব সত্যি কথা বলতে কোকাকোলার বোতলের থেকে বেশি আমার এই রকম পেপারের কাপে কোক খেতে বেশি ভালো লাগে। তবে এগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শপিংমলেই পাওয়া যায়, তাই সেখানে গেলে কোলড্রিংস খাওয়ার একটা ইচ্ছা আমার মনে থাকে।
যাইহোক শেষ পর্যন্ত আমরা চারটে কোল্ড ড্রিংকস অর্ডার করেছিলাম। কারণ দিদি তিতলি তাতানকে কোল্ড ড্রিংকস খুব একটা দিতে চায় না, যদিও ওরা খেতে ভীষণই পছন্দ করে। তাই দুজনের জন্য একটা অর্ডার করা হয়েছিলো, আর বাকি আমরা তিনজনের জন্য অর্ডার করে নিয়েছিলাম।
![]() |
---|
![]() |
---|
কোলড্রিংসটা বেস্ট ঠান্ডা ছিলো, তাই প্রথমবার খেতেই তাতানোর এক্সপ্রেশনটা দেখার মত ছিলো এই কারণে ছবিটা আপনাদের সাথে শেয়ার না করে পারলাম না। পরে অবশ্য বেশ মজা নিয়েই সম্পূর্ণ কোলড্রিংসটা শেষ করেছে। তিতলি একবার আমারটার থেকে আর একবার ওর মায়েরটা থেকে খাচ্ছিলো, তাই ওদের জন্য যে কাপটা অর্ডার করা হয়েছিলো, তার বেশিরভাগটাই কিন্তু তাতান খেয়েছিলো।
![]() |
---|
![]() |
---|
যাইহোক খাওয়া দাওয়া সম্পূর্ণ করে আমরা ফুড কোর্ট থেকে বেরোতেই সামনে একটা বিরাট চকলেটের দোকান চোখে পড়লো। এখানে শুধু চকলেট নয়, বিভিন্ন প্রকারের মার্শমেলো, হজমি, সমস্ত কিছু নিয়েই সাজানো ছিলো। দোকানটা এতো সুন্দর করে সাজানো ছিলো যে, দেখে যে কোনো বাচ্চাই কেনার জন্য আবদার করবে। তাই তিতলি আর তাতানো বাদ গেল না।
আসলে এইগুলোকে বিজনেস স্ট্র্যাটেজি বলে। যেহেতু ফুড কোর্টের সামনেই দোকানটা এবং আপনাকে ফুটকোর্ট থেকে বেরোতে গেলে ওই রাস্তা দিয়েই বেরোতে হবে। সুতরাং ওইখানকার দোকানটা সকলেরই কমবেশি চোখে পড়বে। যাইহোক এরপর আমরা দোকানের সামনে যাওয়াতে ঘুরে ঘুরে দিদিও চকলেট গুলো দেখছিলো।
![]() |
---|
দিদি আসলে এই ধরনের খাবার তিতলিদের খুব একটা কিনে দেয় না। বরং এর থেকে মাঝে মধ্যে ডেয়ারি মিল্ক কিনে দিতে পছন্দ করে। কিন্ত এই দোকানে এতো রংবেরঙের চকলেট ছিলো, যেগুলো দেখতে ভালো লাগলেও অবশ্যই অস্বাস্থ্যকর জিনিস দিয়ে তৈরি করা ছিলো, আর দাম ছিল কল্পনার বাইরে।
আগের দিন আপনাদের জানিয়েছিলাম আমার দিদি খুব বেশি বিলাসিতা একেবারেই পছন্দ করেনা। তাই ও তিতলি এবং তাতানকে বললো, যেহেতু আমরা অনেক খাবার খেয়ে এসেছি, তাই সমস্ত টাকা ওখানে ফুরিয়ে গেছে। এখন এই চকলেট কেনার মতন টাকা দিদির কাছে নেই, শুধু ব্যাগের মধ্যে বাস ভাড়া রয়েছে, যেটা দিয়ে বাড়ি যেতে হবে।
তিতলি এবং তাতান সেটাই কিন্তু বিশ্বাস করেছিলো। আর একবারও চকলেট দেওয়ার জন্য আবদার করেনি। এখন বুঝছে ঠিকই, জানিনা পরবর্তীতে এই বোঝানোটা আদেও কতটা কার্যকরী হবে।
![]() |
---|
যাইহোক ফুডকোর্ট থেকে নিচে নামার সময় তাতানকে দাঁড় করিয়ে ওর একটা ছবি তুলে নিলাম। আসলে তাতান ছবি তুলতে খুব একটা পছন্দ করে না। ওকে বলে যদি ছবি তোলা হয় তাহলে আরও বেশি তুলতে চায় না। তাই না বলে তোলা ছবিগুলোই বেশ সুন্দর ওঠে।
যাইহোক দিনটা বেশ সুন্দর কেটেছিলো সেদিন। এই মুহূর্তগুলিও ছিলো অনেক আনন্দের। এই কারণেই বলতে পারেন ছবিগুলো তোলা হয়েছিলো, আর আজও ছবিগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে গিয়ে সেই দিনের মুহূর্তগুলো আমার চোখের সামনে ভাসলো।
এইরকম পারিবারিক মুহূর্তগুলো যে সব সময় আমরা পাই তা নয়, তবে কখনো কখনো যদি পাওয়া যায়, তাহলে এগুলো উপভোগ করার সুযোগ সত্যিই মিস করা উচিত নয়। একটা সময় তিতলি, তাতান এতো বেশি ব্যস্ত হবে, বয়সের ভারে আমরাও যখন আর বাইরে বেশি চলাফেরা করতে পারবো না, তখন এই স্মৃতিগুলোই হবে আমাদের ভালো থাকার রসদ।
ছবিগুলো তখন থাকুক বা না থাকুক, এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার লেখাগুলো থেকে যাবে। যদি কখনো ইচ্ছে হয় একবার পুরোনো পোস্টগুলো ঘেঁটে মুহূর্তগুলোকে উপভোগ করে নেবো। বলতে পারেন খানিক সেই আশাতেও লেখাগুলো লিখে রাখা।
যাইহোক আমার এই পারিবারিক মুহুর্তগুলো আপনাদের কেমন লাগলো, আর আপনাদের পরিবারের সাথে আপনারাও এই রকম মুহুর্ত শেষ কবে কাটিয়েছেন, তা অবশ্যই মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। ভালো থাকবেন সকলে। শুভরাত্রি।