"বিভিন্ন সময়ে দিদিদের ফ্ল্য্যাটের ছাদবাগান থেকে তোলা কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি "
![]() |
---|
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলেরই আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে। আজ আমি আপনাদের সাথে কয়েকটি ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো, যে গুলো আমি দিদিদের ফ্ল্যাটের ছাদ থেকে বিভিন্ন সময়ে তুলেছিলাম।
গত দু-তিন দিন যাবৎ মন মানসিকতা একেবারেই ভালো নেই। পাশাপাশি বেশ খানিকটা বিরক্ত হয়ে আছি, সবকিছু মিলিয়ে আমার দিনটা একেবারেই ভালো কাটেনি। তাই আজ আর অন্য কিছু লিখতে ইচ্ছা করছে না বলে, গ্যালারিতে থেকে যাওয়া এই সুন্দর ফুলের ফটোগুলো শেয়ার করছি,-
![]() |
---|
একেবারে প্রথমে যে ছবিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো, সেটি একটি গোলাপি রঙের জবা ফুলের ছবি এবং আমার বিশ্বাস আপনারা প্রত্যেকেই এই ফুলটি চেনেন। অন্যান্য জবা ফুলের থেকে এই ফুলটির আকার অনেকটাই বড় হয়। এই ফুলটি আমার কাছে অন্য জবা ফুলের থেকে আলাদা, কারণ আমার মায়ের খুব পছন্দের ফুল ছিলো এটি। আমার মনে আছে ২০০০ সালের বন্যার আগে আমাদের বাড়িতে এই জবা ফুলের দুটি গাছ ছিলো, যেগুলো আমার মা নিজের হাতে লাগিয়েছিল। কিন্তু বন্যার সময় এই গাছগুলো মারা গিয়েছিল।
![]() |
---|
এরপরে আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার পছন্দের সাদা রংয়ের এবং সুন্দর সুগন্ধযুক্ত বেল/বেলী ফুলের ছবি। সাদা রঙের যেকোনো ফুল আমার খুব পছন্দের, তার মধ্যে বেলফুল অবশ্যই অন্যতম আর সেটা এর সুগন্ধের কারণেই। এই ফুলের সুগন্ধ পছন্দ করেন না, এমন মানুষ বোধহয় খুজে পাওয়া কঠিন। আমার বাড়িতেও এই বেল ফুলের একটি গাছ আছে। সেখানেও সুন্দর ফুল ফোঁটে। ছাদে এমন জায়গাতে ফুলের টবটা রাখা হয়েছে, যাতে দরজা খুললেই বেল ফুলের সুগন্ধ পাওয়া যায়। ছাদের অন্যান্য গাছের তুলনায়, এই গাছের টবটার প্রতি আমার দুর্বলতা একটু বেশি কাজ করে।
![]() |
---|
এই ফুলটির ছবি আমি আমি দিদিদের ছাদে যখনই যাই তখনই তুলি। সারা বছরে কম বেশি এই গাছটাতে ফুল থাকে। ফুলের রংটা ব্যক্তিগতভাবে আমার ভীষণ পছন্দের। থোঁকায় থোঁকায় ফুটে থাকা এই ফুলগুলো দেখতে সত্যিই সুন্দর লাগে। আর এই দিন আকাশটাকে সাথে নিয়ে যখন ফুলের ছবিটি তুলছিলাম, আমার তো খুবই ভালো লেগেছে। আপনাদের কার কার এই ফুলটি পছন্দের সেটা অবশ্যই জানাবেন।
![]() |
---|
এরপর যে ফুলের ছবিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম, এটি একেবারেই আমার জন্য নতুন একটি ফুল প্রথমে আমি গাছটি দেখে লজ্জাবতী গাছ ভাবছিলাম, তবে পরবর্তীতে দেখলাম সুন্দর ছোট্ট লম্বাটে এক ধরনের ফুল ফুটেছে। ফুলটির রং গোলাপি। গাছের পাতাগুলো একদম সরু, গাছটি লতানো প্রকৃতির। ছাদে বাঁধা একটা তারের সাহায্য উপরের দিকে উঠছে। দু তিনটে কুঁড়ি ছিলো, আর একটা ফুল ফুটেছিলো। ফুল গুলো আসলে লম্বাটে এবং সম্পূর্ণ ফোঁটার পরেও এটি দেখতে অনেকটা তেমনই থাকে। আমি প্রথমবার দেখলাম ফুল গাছটি। আপনাদের মধ্যে কেউ যদি এর পূর্বে দেখে থাকেন নিশ্চয়ই জানাবেন।
![]() |
---|
এটি রক্তপঞ্চ জবাফুল। আমি বিয়ের পর আমার শ্বশুর বাড়িতে এসে এই ফুলের একটা বড় গাছ দেখেছিলাম। যদিও গাছটি এই মুহূর্তে আর নেই। না চাইতেও প্রয়োজনের কারনে গাছটিকে কেটে ফেলতে হয়েছিল এবং এই বিষয়টি নিয়ে শাশুড়ি মায়ের মন বেশ অনেকদিন খারাপ ছিলো। যদিও ইতিমধ্যে তিনি ছোট্ট একটা গাছ লাগিয়েছেন, তবে তাতে এখনও পর্যন্ত ফুল ফোঁটেনি। চাড়া বসানোর পরে দুই থেকে তিনটি ফুল ফুটেছিল মাত্র। দিদিদের ছাদে লাগানো গাছটিতেও কুড়ি এসেছে, কিন্তু ফুল এখনো ফোটে নি।
দিদিদের ব্যালকনিতে ছোট্ট ছোট্ট দুই তিনটে গাছ থাকলেও বেশিরভাগ বড় টব সকলে মিলে ছাদেই রাখে। ওদের বিল্ডিংয়ে যতগুলো ফ্ল্যাট আছে প্রত্যেকেরই একটা দুটো করে গাছ রয়েছে সেখানে। যেগুলো তারা ছাদে রেখেছে, তবে প্রত্যেকে আলাদা আলাদা চিহ্ন দিয়ে রেখেছেন, যাতে নিজেদের টব দেখে চিনতে পারেন।
তবে যেটা সবথেকে ভালো বিষয়, যখনই কেউ গাছে জল দিতে আসে, তখন প্রত্যেকটা টবেই সে দেয়। আবার ফুল তোলার ক্ষেত্রেও দেখি তেমন নিয়ম, বেশি ফুল হলে সকলেই একে অপরকে ফুল দেয়। আরো অনেক ধরনের গাছ রয়েছে।
![]() |
---|
আমি শুধু এই ফুল কয়েকটার ছবি তুলেছিলাম। আর তুলেছিলাম সন্ধ্যার সময়কার একটা ছবি দিদিদের ছাদে থেকে স্টেশনের। স্টেশন একদম সামনে, ছাদ থেকে একেবারে স্পষ্ট দেখা যায়।
সন্ধ্যার পরে ছাদে বসে থাকলে স্টেশনটা দেখতে আরও সুন্দর লাগে। কয়েক দিনের মধ্যে ওখানে মেট্রো চালু হবে। তখন মেট্রো গুলো যাওয়ার সময় সেই চিত্রটা বোধহয় আরো অনেক বেশি সুন্দর হবে। পরবর্তীতে নিশ্চয়ই তেমন কোনো দৃশ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
যাইহোক আজকের লেখা এখানেই শেষ করছি। আপনাদের উপরের ছবিগুলোর মধ্যে থেকে কোন ছবিটা সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে, জানাতে ভুলবেন না। প্রত্যেকের সুস্থতা কামনা করি। শুভরাত্রি।