"অষ্টমীর সন্ধ্যাবেলায় এ বছর প্রথম মা দূর্গার দর্শন পেলাম"
![]()
|
---|
Hello,
Everyone,
শুভ অষ্টমী শুভেচ্ছা জানাই সকলকে। ইচ্ছে ছিলো আজ বান্ধবীদের সাথে ঠাকুর দেখতে যাবো, কিন্তু বিশ্বাস করুন মন ভালো না থাকলে কোনো কিছুই যেন করতে ভালো লাগে না।
গত দুদিন ধরে নিজেকে অনেক রকম ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করলাম, কিন্তু কিভাবে যেন শেষ পর্যন্ত মন খারাপ গুলোই প্রতিবার জিতে যায়। আজও তার অন্যথা হয়নি ফলস্বরূপ প্ল্যানটা ক্যান্সেল করে দিলাম।
![]()
|
---|
প্রত্যাশা এমন একটা জিনিস যেটা হাজার চেষ্টা করেও যেন আটকে রাখা যায় না। কোনো না কোনো ভাবে নিজের অজান্তেই মনের কোণে ঠিকই জায়গা করে নেয়। দুর্গা পুজো নিয়ে আমার কখনোই আলাদা কোনো প্ল্যান থাকে না।
তবে প্রতিবছর অষ্টমীর দিনে অঞ্জলি দেওয়ার একটা তাড়াহুড়ো থাকে, তাই পুজোটা একটু অন্যরকম ভাবে উপভোগ করা হয়ে থাকে। তবে এ বছর অশৌচের কারণে যেহেতু অঞ্জলি দেওয়ার কোনো ব্যাপার ছিলো না, তাই পুজোটা ঠিক কিভাবে পার হচ্ছে যেন বুঝতেই পারছি না।
![]()
|
---|
ননদরা আমাদের বাড়িতে ছিলো, তাই সকালে উঠে আমি রুটি আর ছোলার ডাল রান্না করেছিলাম। যদিও অষ্টমীর দিন সকলে লুচি খায়। তবে গরমের কারণে ননদ বারণ করেছিলো লুচি করতে। সেই কারণে রুটি আর ছোলার ডাল করেছিলাম।
তবে সকলের ঘুম থেকে উঠতে উঠতে অনেকটাই বেলা হয়েছিলো। শাশুড়ি মা সকলের জন্য চা করেছিলেন। আমি সেই কারণেই ব্রেকফাস্ট তৈরি করে, স্নান করে আগে পুজো দিয়ে নিয়েছিলাম। অঞ্জলি না হোক অন্তত ঘরের পূজোটা যদি আগে দেওয়া যায়, মনটা ভালো লাগে।
![]()
|
---|
এরপর এক এক করে সকলে খাওয়া-দাওয়া শেষ করলো। দুপুরের রান্নার দায়িত্ব শাশুড়ি মায়ের ছিলো। দুপুরে আজ কৈ মাছ রান্না হয়েছে, তার সাথে আনুষঙ্গিক সবজি, ডাল তো ছিলোই। কৈ মাছটা ননদের বরের খুব প্রিয়, তাই শাশুড়ি মা নিজের জামাইয়ের জন্য তার প্রিয় মাছ রান্না করেছেন।
দুপুরবেলায় খেতে খেতে প্ল্যান হলো বিকেল বেলাতে সকলে মিলে ননদের বাড়িতে আসবো এবং আসার পথে ঠাকুর দেখবো। যেহেতু এ বছর এখনো মায়ের মুখ দর্শন করা হয়নি, তাই মনটা যেন আরও বেশি খারাপ লাগছিলো।
যদিও অন্য কারণে মনটা আগে থেকেই খারাপ ছিলো। আমার এতোটুকুও যাওয়ার ইচ্ছে ছিলো না, ননদের বাড়িতে যাওয়ার। আমি অনেকবার আপত্তি করেছিলাম ঠিকই কিন্তু তবুও জোর করেই নিয়ে এলো।
![]()
|
---|
ননদের বাড়ির একদম পাশে পুজো হয়েছে। তবে সেখানে ননদরা খুব একটা বেশি যাওয়া আসা করে না। তাই শুধুমাত্র সেখানে গিয়ে ঠাকুর দর্শন করে আবার ননদের বাড়িতেই চলে এলাম। সেখানে সকলে মিলে সন্ধ্যা বেলায় গ্রিল চিকেন খাওয়ার প্ল্যান হলো।
ননদের বর আগে মাংস নিয়ে এলো, সেগুলো ম্যারিনেট করে বেশ কিছুক্ষণ রেখে দেওয়া হলো। ননদের বাড়িতে অনেকেই ভাড়া থাকে, তাদের মধ্যে একজন আছেন তিনি খুব হাস্য রসিক মানুষ। ওনার সঙ্গে থাকলে মন খারাপ মুহূর্তের মধ্যে মিলিয়ে যায়, এতোটাই হাসি মজায় উনি মাতিয়ে রাখেন।
![]()
|
---|
আমাদের বাড়ির ওখানে যেমন সকলেই নিজেদের মতো ঘরের মধ্যে থাকে, আমাদের বাড়ির ওখানে তেমনটা নয়। এখানে সকলেই মোটামুটি একে অপরের বাড়িতে যাতায়াত করে। আর যেহেতু ননদের বাড়িতেই ওনরা ভাড়া থাকেন, তাই ননদদের সাথে তাদের কথোপকথন হয় প্রায়শই। সকলের সাথে কথাবার্তায় বেশ ভালো সময় পার হয়েছে সন্ধ্যা থেকে।
তবে যাই বলুন না কেন, মন খারাপ ক্ষণিকের জন্য মিলিয়ে গেলেও মনের কোণে মনখারাপ যেন কোথাও থেকেই যায়। আমারও তেমন অবস্থা। সকলের সাথে হাসি মজায় অষ্টমীর সন্ধ্যাটা পার হয়েছে ঠিকই, কিন্তু মনের কোন খারাপ লাগা রয়েই গেছে।
যাইহোক আপনাদের সকলের অষ্টমীর দিনটি কেমন কাটলো, সে কথা অবশ্যই মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। সকলে ভালো থাকবেন। শুভরাত্রি।