"স্বাস্থ্যকর চুলের জন্য তেল তৈরি করার ঘরোয়া পদ্ধতি"
![]() |
---|
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে। আজ আমি আপনাদের সাথে একটি ভিন্ন ধরনের লেখা শেয়ার করতে চলেছি।
কয়েকদিন আগের পোস্টে জানিয়েছিলাম যে আমি আমার দিদির ফ্ল্যাটে গিয়েছিলাম এবং সেখানে দুদিন ছিলাম। তখন দিদি নিজের চুলে ব্যবহার করার জন্য বাড়িতেই তেল তৈরি করেছিলো।
সারা সপ্তাহ অফিসে যাওয়ার কারনে ও চুলের যত্ন নেওয়ার তেমন সময় না পেলেও প্রতি শনিবার দিন ও নিয়ম করে মাথায় তেল দেয়। বরাবরই ওর চুলের গ্ৰোথ অনেক ভালো। আর ও নিজে বাড়িতে তেল তৈরি করেই ব্যবহার করে।
বেশ কয়েক মাস আগে দিদির সাথে একবার দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে গিয়েছিলাম। তখনকার তোলা বেশকিছু ছবি এবং ওর জন্মদিনেরও বেশ কিছু ছবিতে হয়তো ওর লম্বা চুলও আপনারা দেখেছিলেন।
এবার আমি ওর বাড়ি থাকাকালীনই ও ওই তেলটা তৈরি করেছিলো। সেটা তৈরি করতে কি কি ব্যবহার করেছিলো, সেই সমস্ত জিনিসগুলোর আমি ছবি তুলেছিলাম এবং ভেবেছিলাম পদ্ধতিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
|
---|
তাই ভাবলাম যে আপনাদের সাথে আজ সেই পদ্ধতিটাই শেয়ার করি। প্রথমে দিদিকে কি কি উপকরণ নিয়েছিল সেগুলো বলি,-
নং | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১. | যে কোনো কোম্পানির নারকেল তেল (দিদি নিহার কোম্পানির নিয়েছিলো) | ২৫০ গ্ৰাম |
২. | পেঁয়াজ কুচি | ১ টা |
৩. | লাল রঙের জবা ফুল | ৭-৮ টা |
৪. | অ্যালোভেরা জেল | ৩-৪ চা চামচ |
৫. | কারিপাতা | ½ কাপ |
৬. | কালোজিরা | ২ চা চামচ |
৭. | মেথি দানা | ২ চা চামচ |
৮. | তিসি বীজ(flaxseed) | ২ চা চামচ |
|
---|
![]() |
---|
প্রথমে জবা ফুলগুলোকে খুব ভালো করে ধুয়ে একটা পাত্রে জলের মধ্যে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
অ্যালোভেরার ছোট একটা টুকরো নিয়ে, প্রথমে সেটা ভালো ভাবে ধুয়ে, দুপাশ কেটে, মাঝখানের জেলিটা খুব ভালোভাবে বের করে নিতে হবে।
![]() |
---|
কাঁচা পেঁয়াজটাকে ছোটো ছোটো করে টুকরো করে কেটে নিতে হবে।
![]() |
---|
কারিপাতা গুলোকে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। পরিমাণ মতো মেথি, তিসি বীজ ও কালো জিরে নিয়ে নিতে হবে। কারি পাতা বাদে বাকি গুলো কড়াইয়ের মধ্যে হালকা করে গরম করে নিতে হবে।
এরপর কিছুক্ষণের জন্য ঠান্ডা করে নিয়ে মিক্সিতে খুব ভালো করে গুড়ো করে নিতে হবে।
এই জিনিসগুলো হয়ে গেলে, এবার তেলটা তৈরি করা শুরু করতে হবে। প্রথমে গ্যাস জ্বেলে, একটা কড়াই বসিয়ে তার মধ্যে সম্পূর্ণ বোতলের নারকেল তেল ঢেলে দিতে হবে। গ্যাসের ফ্লেমটাকে খুব বেশি রাখা যাবে না।
![]() |
---|
এরপর গুঁড়ো করে রাখা কালোজিরা, মেথি দানা তিসি বীজ, সবকিছু দিয়ে দিতে হবে।
![]() |
---|
এরপর আগে থেকে কেটে রাখা কাঁচা পেঁয়াজ ও অ্যালোভেরাটাও দিয়ে দিতে হবে। মোটকথা সমস্ত উপকরণ গুলো একসাথে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিতে হবে।
![]() |
---|
এবার জবা ফুলগুলো ও ধুয়ে রাখা কারিপাতা গুলো খুবই সাবধানে তেলের মধ্যে দিতে হবে। কারণ আপনারা প্রত্যেকেই জানেন জল এবং তেল কখনোই মেশে না। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে।
![]() |
---|
বেশ কিছুক্ষণ ফুটে যাওয়ার পর যখন তেলের রংটা একটু কালচে হয়ে আসবে, তখন কড়াইটাকে গ্যাস থেকে নামিয়ে রেখে তেলটা ঠান্ডা হতে নিতে হবে। যাতে ছাঁকনির সাহায্যে ছেঁকে তেলগুলো পুনরায় বোতলের মধ্যে ভরে রাখা যায়।
মোটামুটি ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার পর, সমস্ত উপকরণগুলোকে হাতের সাহায্যে একটু ভাল করে চটকে, তারপর ছাঁকনির সাহায্যে ভালো করে ছেঁকে নিতে হবে। এই সময় হাতে অনেকটাই তেল লেগে থাকে, তাই এই পুরো পদ্ধতিটা এমন দিনেই করবেন যেদিন আপনি নিজে চুলে তেল দিতে পারবেন।
তাহলে হাতে লেগে থাকা তেলগুলো সেই দিনই আপনি ভালোভাবে মাথায় দিয়ে নিতে পারবেন। দিদিও এমন করেছিলো। এইভাবে যদি একদিন তৈরি করে রাখা যায়, তাহলে বেশ কিছুদিন ওই তেলটা মাথায় ব্যবহার করলে চুল পড়া যেমন কমবে, ঠিক সেরকমই চুল ঘন ও লম্বা হবে।
আমি যদিও ভাবি এটি বাড়িতে তৈরি করে ব্যবহার করবো। তবে তেল না দেওয়ার এমন বদ অভ্যাস তৈরি হয়েছে যে, সময় করে আর তেল দেওয়া হয়েই ওঠে না। যাইহোক পদ্ধতিটি ভালো লাগলো তাই আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করলাম। যদি সম্ভব হয় আপনারাও এমনটা তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন। আশা করছি তাতে ফলাফল ভালোইপাবেন। ভালো থাকবেন প্রত্যেকে। শুভ রাত্রি।
চুলের জন্য খুব সুন্দর একটা তেল আপনি শেয়ার করেছেন। এখনকার দিনে চুল ওঠে না এমন কোন মানুষ নেই। চুলের জন্য আমি অনেক জিনিস ব্যবহার করেছি তবুও যেন চুলটা কিছুতেই কমেনা। ঘরোয়া পদ্ধতিতে তেলটি আপনি শেয়ার করেছেন অবশ্যই আমি বাড়িতে বানিয়ে নিজে চুলের জন্য ব্যবহার করব। তেলের ব্যবহার জন্য প্রতিটি জিনিসই প্রাকৃতিক জিনিস। প্রত্যেকটা জিনিসই চুলের পক্ষে খুবই উপকারী। যাইহোক দিদি আশা করি আমারও চুলের জন্য খুব উপকার হবে।