Better Life with Steem|| The Diary Game||19 April 2024||

in Incredible Indialast year
" হ্যালো স্টিমিট বন্ধুরা "
IMG_20240419_221942.jpg

আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো, আমার কাটানো আজকের দিনের সকল কার্যক্রম গুলো।আমি পোস্ট এর মূল বিষয় যাওয়ার আগে কিছু কথা বলে নিতে চাই ।আর কথা গুলো হলো .. আপনার খেয়াল করছেন হয়তো বা আমি কিছু দিন ধরে পোস্ট করি না আসলে পোস্ট না করার কারণ টা হলো আমার গায়ে অনেক জ্বর ছিল আর তার ভিতরে বন্ধুদের সাথে একটু ঘোরাঘুরি করতে গিয়ে ছিলাম এই সব কিছুর মধ্যে দিয়ে আমার পোস্ট করা সম্ভব হয়নি তার জন্য সবার কাছে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।

🌺🍁 সকাল বেলা 🌺 🍁
IMG_20240419_122411-01.jpeg

আজকে সকাল বেলা আমি ঘুম থেকে উঠেছিলাম ৯:১৮ সময় উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। এরপরে আমি কিছুক্ষণ ফোন দেখলাম শুয়ে শুয়ে আর আমাকে আমার মা চানাচুর দিয়ে মুড়ি মাখিয়ে দিয়ে ছিল সেই গুলো খেলাম।আমি সাধারণত চানাচুর মুড়ি বেশি একটা খাইনা কিন্তু মা মাঝে মাঝে খায় সেখান থেকে আমাকে ও খেতে দেয়। আমার মুড়ি গুলো খাওয়া হয়ে গেলে বাসা থেকে বের হয়ে একটু বাহিরে গেলাম।

IMG_20240419_154659-01.jpeg

বাহিরে গিয়ে ছিলাম আমার ছোট বোন এর জন্য বিস্কুট আনার জন্য। আমার বোন যে বিস্কুট খায় তা সব সময় বাসায় থাকতেই হবে তা না হলে অনেক কান্না করে।আর তেমনি আজকে ও বাসায় বিস্কুট ছিল না বলে কান্না করছিল তাই আমি মুড়ি খেয়ে বাহিরে বের হলাম বিস্কুট নেওয়ার জন্য। বাসা থেকে একটু সামনে গিয়ে একটা দোকান থেকে ৫ পেকেট বিস্কুট নিলাম।আর প্রতি পেকেট বিস্কুট এর দাম ছিল ১০ টাকা করে।আমি নিয়ে বাসায় চলে আসলাম আর বোন কে এক পেকেট ছিরে দিলাম। এরপরে ছোট বোন আমাকে ও বিস্কুট খেতে দিল আর আমি সেখান থেকে ২ পিছ বিস্কুট নিয়ে খেয়ে ছিলাম।

💞🤍 দুপুর বেলা + বিকাল বেলা 💞 🤍
IMG_20240419_131304-01.jpeg

আজকে ছিল শুক্রবার আর তাই ১২:৩০ টার দিকে আযান দিয়ে দিল আর আমি তার পরে গোসল করতে চলে গেলাম।আমি গোসল করে এসে বেলকুনিতে বসলাম আর আমার মামাতো ভাই ছিল ওরে গোসল করতে বললাম। মামাতো ভাই গোসল করা হয়ে গেলে আমরা দুইজনে জুম্মার নামাজ আদায় করে গেলাম। মসজিদে যেতে আমাদের মোটামুটি ৫ মিনিট এর মতো লাগছিল। মসজিদে সামনে গিয়ে আমি মসজিদের একটা ফটো তুলে নিয়ে ছিলাম। এরপরে আমরা দুইজনে মসজিদের ভিতরে গিয়ে বসলাম‌।

IMG_20240419_143242-01.jpeg

১:৫৭ এর সময় জুম্মার নামাজ শেষ হলো আমি এরপরে বাসায় চলে আসলাম আমার মামাতো ভাই কে নিয়ে। বাসায় এসে আমরা দুপুরে খাবার খেতে বসে গেলাম। আজকে দুপুরে খাবার তালিকায় ছিল মুরগি আর আলু ভাজি। খাওয়া দাওয়া করা হয়ে গেলে আমি আমার একটা ওষুধ ছিল খাবার পরে সেটা খেয়ে নিলাম।

IMG_20240419_172254-01.jpeg
IMG_20240419_180619-01.jpeg

এরপরে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আমি ৩:৩০ টার দিকে কলেজ মাঠে গেলাম।আর গিয়ে বড় ভাই দের সাথে একটি ক্রিকেট ম্যাচ দেখলাম। খেলাধুলা করা হয়ে গেলে বিকাল ৫ টার দিকে আমি আমার কিছু বন্ধুর কাছে গেলাম আর ওদের সাথে কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম।

💫🌺 সন্ধ্যা বেলা + রাতের বেলা 💫 🌺
IMG_20240419_180604-01.jpeg

এরপরে আমি আবার আমার বন্ধুদের সাথে কলেজের ভিতরে আসলাম সন্ধ্যার আগে আগে। এসে আমি অসাধারণ একটা দৃশ্য দেখতে পেলাম আর একটা ফটো তুলে নিলাম।আমি এরপরে কলেজের ভিতরে ৮ টা পর্যন্ত ছিলাম বন্ধুদের সাথে।

IMG_20240419_204049-01.jpeg

আর বাসায় যাওয়ার সময় হয়েছে বলে আমি বন্ধুদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে কলেজের ভিতর থেকে বের হলাম।আর বের হয়ে একটা মুদি দোকান থেকে একটা আইসক্রিম কিনে সেটা খেতে খেতে বাসায় আসলাম। বাসায় এসে রাতের খাবার খেয়ে নিলাম।আর খাওয়া হয়ে গেলে আমি পোস্ট লেখতে বসলাম।

" তো বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন "
Sort:  
Loading...
 last year 

বেশ কদিন থেকেই আপনার কোন লেখা চোখে পরতেচিলো না, তবে এর কোন কারন জানা ছিলো না।আজকে আপনার লেখার ফরিদ বুঝতে পারলাম যে আপনি এই ক'দিন জরে ভুগেছেন। যার কারণে কোন লেখাই পোস্ট করতে পারেন নাই।
দিন শুরু হয়েছিল মায়ের হাতের চানাচুর দিয়ে
মুড়ি মাখা খেয়ে।
দুপুরে মসজিদ থেকে এসে ভাত খেয়েছেন মুরগির মাংস আর আলু ভাজি দিয়ে।
আপনার তোলা সূর্যাস্তের ছবিটা খুবই সুন্দর । হয়েছে।
ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

আপনি আমার লেখা নিয়মিত পড়েন তাই আপনি বুঝতে পারছেন যে আমি লেখা শেয়ার করি নি এটা সত্যি আমার অনেক আনন্দের।আর এখন আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি আর ইনশাআল্লাহ প্রতিদিন আমার লেখা দেখতে পাবেন। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।

 last year 

সকালে চানাচুর মুড়ি খেয়ে বাহিরে বের হলেন কারণ আপনার ছোট বোনের জন্য বিস্কুট আনতে। এরপর আপনার বোনের জন্য পাঁচ প্যাকেট বিস্কুট আনেন এবং প্রতি প্যাকে দশ টাকা করে।

দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে কলেজের মাঠে গেলেন এবং ক্রিকেট ম্যাচ খেললেন।

খেলাধুলা করে বন্ধুদের সাথে বিদায় জানিয়ে বাসা ফেরার পথে আইসক্রিম ছিলেন কারন প্রচন্ড গরম লাগছিল তার জন্য,আসলে আইসক্রিম খাবারটা সব সময় সবার ফেবারেট থাকে কিন্তু গরমের সময় খেতে আরো বেশি ভালো লাগে।

ধন্যবাদ আপনার সারাদিনের গল্প আমাদের সাথে খুব সুন্দর করে শেয়ার করলেন।

বাসায় কিছু থাক বা না থাক আমার বোন এর বিস্কুট থাকতে হবে আর এমনিতে সব সময় খা তা না মাঝে মাঝে খায় আর না থাকলে সব থেকে বেশি খেতে চায় একটু অপেক্ষা করতে চায় না কান্না করে তাই বলার সাথে সাথে আনতে হয়। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।আর আমার কমেন্ট এর রিপ্লাই করার জন্য ধন্যবাদ।

 last year 

শুক্রবারের দিন প্রত্যেক মুসলিমের একটু আলাদাভাবে প্রস্তুতি নিতে হয়। কেননা এই দিনটা মুসলিমদে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলে গণনা করা হয়। আযানের পরপরই আপনি গোসল করে ফ্রেশ হয়ে মসজিদে এসেছেন নামাজ পড়ার জন্য। সকল মুসল্লিদের জন্য দোয়া রইল যেন আল্লাহ সুবহানাতায়ালা সকলের নামাজকে কবুল ও মঞ্জুর করেন।

আপনার একটি দিনের কার্যক্রম বেশ সুন্দর করে আমাদের কাছে শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার পরবর্তী দিনালিপি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।

একদমই তাই ভাই জুম্মার দিন আমাদের মুসলমানদের জন্য অনেক বরকতময় একটা দিন।আর গরিব এর জন্য হজের দিন তাই অনেক টা আলাদা হয়ে থাকে শুক্রবার দিন টা ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।

 last year 

একদম ঠিক বলছেন ভাই এটা অনেক মুসলিমরা অবহেলা করে তবে আমাদের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ শুধু জুম্মার দিন নামাজ পড়লেই যে মুসলিম থাকা যায় এটাও কিন্তু ঠিক না আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার কমেন্টের রিপ্লে দেওয়ার জন্য।

ভাই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ কিন্তু আমরা অনেকেই সেটা আদায় করি না । আজ অনেক মানুষ আছে যারা জুম্মার নামাজ না থাকলে তারা যে মুসলিম তাই ভুলে যেত যেটা মনে হয়। আপনাকে ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।

 last year 

কিছুদিনের মতোই সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে মায়ের সাথে মুড়ি মাখা খেয়েছেন। সত্যি মায়ের হাতের মুড়ি মাখানো গুলো খেতে বেশ মজার হয়। শুক্রবারের দিন ছিল আপনি মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করেছেন।
বিকেলবেলা বড় ভাইদের সাথে গিয়ে ক্রিকেট ম্যাচ দেখেছেন।
গরমের দিনে আইসক্রিম খেতে তো অন্যরকম একটা শান্তি লাগে।
সারাদিনের কার্যক্রম গুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

মায়ের হাতে সব কিছু আমার কাছে ভালো লাগে আর এটা শুধু আমার না সবার কাছে তার মায়ের হাতের রান্না বা যে কিছুই হক না কেন ও ভালো লাগে। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।