মধুমাস জ্যৈষ্ঠ
প্রিয় Incredible স্টিমিয়ান বন্ধু এবং শুভাকাঙ্ক্ষী, কেমন আছেন আপনারা? আশাকরি সকলেই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। অবশ্য, মধুমাস জ্যৈষ্ঠ-এর আগমনে ভালো না থেকে কি পারা যায়?

আমি মানি এবং বিশ্বাস করি বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। তন্মধ্যে, সেরা ঋতু সম্ভবত গ্রীষ্মকাল। কারন, গ্রীষ্মের আগমনের সাথে আগমন ঘটে তরমুজ এবং বাঙ্গীর। আমাদের জাতীয় পতাকার সাথে যথেষ্ট মিল থাকা রসে ভরপুর তরমুজ বৈশাখের খরতাপে পছন্দ করে না, এমন মানুষ ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলে পাওয়া দুষ্কর।
তরমুজের রেশ কাটতে না কাটতেই হাজির হয় স্বাদের রাজা আম, ফলের রাজা কাঁঠাল, খুবই চমৎকার স্বাদের লিচু। বাজারে সয়লাব হয় আনারস, কালো জাম, বেলের মত রসালো ফলগুলো। অর্থাৎ, জ্যৈষ্ঠমাস আসলেই দেশে ফলের রাজত্ব শুরু হয়ে যায়। কোনটা রেখে কোনটা খাবো ভেবে কূল পাওয়া যায়না।

গ্রীষ্মের তীব্র দহনে যখন শরীর নাজুক হয়ে যায়, তখনই রসালো এই ফলগুলো ভক্ষণে মন-প্রাণ সবই চাঙ্গা হয়ে ওঠে। তরমুজ থেকে শুরু করে আম, কাঠাল, লিচু, কালো জাম, বেল, আনারস; স্বাদে যেমন অনন্য, পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে সকল মানুষই গ্রীষ্মকালীন ফলগুলো খেতে পারে। যারা ডায়াবেটিকে আক্রান্ত তারাও খেতে পারে, যাদের উচ্চরক্তচাপ এবং উচ্চ কোলেস্টেরল রয়েছে তারাও খেতে পারে। শারীরিক অবস্থার অবনতির কথা খুবই কম শুনা যায়। অর্থাৎ, স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির পরিমাণ খুবই কম।
কবি-সাহিত্যিকের কলমে যেমন উঠে এসেছে গ্রীষ্মের দাবদাহের কথা, তেমনি উঠে এসেছে এর মধুময় ফলের কথাও। উঠে এসেছে কালবৈশাখি ঝড়ের কথাও। কবি-তো এও বলেছেন,
ঝড়ের দিনে মামার বাড়ি আম কুড়াতে সুখ
পাঁকা আমের মধুর হাঁসি রঙ্গিন করে মুখ।
মধুমাস জ্যৈষ্ঠ আমারও অনেক প্রিয় একটি মাস। আমি গ্রামে বড় হয়েছি। জ্যৈষ্ঠ মাসে যখন বৃষ্টি হতো তখন পাকা পাকা টকটকে লাল আমগুলো গাছ থেকে পড়তো। আমরা দল বেঁধে সেই আমগুলো কুড়িয়ে খেতাম। কিছু কিছু আম প্রচুর মিষ্টি লাগতো। কিছু আম আবার প্রচুর টক। টক আমগুলো আমরা লবণ ও মরিচ মিশিয়ে খেতাম। তখন এর স্বাদই বদলে যেত। বেশ ভালোই লাগতো। গাছে পাকা কাঁঠাল থাকলে তার ঘ্রাণ ছড়াতো। আমাদের নাক সেই ঘ্রাণ টের পেয়ে যেত। টের পেলে যা হওয়ার তাই হত। দলবেঁধে আমরা কাঁঠাল সাবাড় করে ফেলতাম।

এতো গেল ছোটবেলার গল্প। এখন হয়তো ছোটবেলার সময় নেই। না বলে কারো গাছ থেকে পেড়ে খাইনা। কিন্তু খাওয়া কি আর বাদ আছে? এখন কিনে খাই। এটুকুই পার্থক্য। প্রিয় মধুমাস জ্যৈষ্ঠ গেল বলে! এখনো বাজারে আম সেভাবে আসেনি। কিন্তু একবার চলে গেলে আবার এক বছরের অপেক্ষা!
গ্রীষ্মকালীন যে কোন ধরনের ফল খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। গ্রীষ্মকালে যেমন আম জাম লিচু কাঁঠাল বেল তালশাঁস সমস্ত কিছুই পাওয়া যায়। তার মধ্যে আমার আম,কাঁঠাল হল আমার সব থেকে বেশি প্রিয়। আমাদের দেশে জাতীয় ফল আম তাই আমারও আম খেতে ভীষণ ভালো লাগে আপনার ছবিতে আমগুলো দেখে আমার আরো লোভ লাগছে। লিচু খেতেও পছন্দ করি কিন্তু খুব একটা ভালো লাগে না। গরম কালে তরমুজ খাওয়া শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। ফল সম্পর্কে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হুম, গ্রীষ্মকালীন ফল খেতে ভালোই লাগে। ধন্যবাদ দিদি। আম আমারও প্রিয়। ভালো লাগলো জেনে।