Better Life With Steem || The Diary game || 26 May 2025 ||

in Incredible India6 days ago
IMG_20250526_171736_449.jpg
IMG_20250526_171736_741.jpg

মানুষকে বলা হয় সৃষ্টির সেরা জীব, অথচ এই মানুষের চাহিদার কোন শেষ নেই। প্রতিটা মানুষের কোন না কোন চাহিদা অবশ্যই আছে। একটা চাহিদা যখন পূরণ হয়ে যায় তখন আমরা আরও একটা চাহিদা পূরণ করার চেষ্টায় প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করতে থাকি। আমার কাছে মনে হয় আমাদের জীবনে চাহিদার পরিমাণটা যত বেশি কমে যাবে, তত বেশি আমরা ভালো থাকতে পারবো। মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির চায় যারা ধনী ব্যক্তি রয়েছে, তাদের মত করে চলাফেরা করতে। তাদের মত ধন-সম্পত্তি অর্জন করতেন। আবার নিম্নবিত্ত ফ্যামিলির পরিবারের মানুষেরা চায়। মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষেরা যেভাবে চলাফেরা করে ঠিক সেই ভাবে চলাফেরা করতে।

আমরা সবাই জানি আল্লাহ উত্তম পরিকল্পনাকারী, তিনি যা করেন আমাদের জন্য ভালই করেন। কিন্তু তারপরেও দিন দিন আমাদের চাহিদা এত পরিমানে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যেটা পূরণ করতে গিয়ে আমরা আমাদের ধর্মের কথা আমাদের পরকালের কথা সব কিছুই ভুলে যায়। শুধুমাত্র এই দুনিয়াতে কিভাবে থাকবো কিভাবে টাকা ইনকাম করব, কিভাবে আরো ভালো থাকব সেই চিন্তা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। একটা কথা মাথায় রাখবেন, মৃত্যু কিন্তু আমাদের পেছনে সব সময় ঘুরতে থাকে। কখন কে এ পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবে কেউ জানে না, অতএব মৃত্যুর দিকে নজর দিন আপনি আমি এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলে, আমাদের ধন সম্পত্তি টাকা-পয়সা সবকিছু এখানেই পড়ে থাকবে। আমরা কোন কিছু নিয়ে এখান থেকে যেতে পারবো না।

IMG_20250526_171735_956.jpg
IMG_20250526_171736_010.jpg

অতএব যত কম চাহিদা আপনার আমার মধ্যে থাকবে। তত ভাল আমরা থাকতে পারবো বলে আমি বিশ্বাস করি। আলহামদুলিল্লাহ নতুন একটা সকালের দেখা পেয়েছি। তবে আজকে আকাশের দিকে তাকানোর পর বুঝতে আর বাকি রইল না, প্রচুর পরিমাণে গরম হবে। আকাশ একেবারেই পরিষ্কার নীল আকাশের সাদা মেঘ উড়ে বেড়াচ্ছে, দেখতে অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করছে। সকালবেলার কাজগুলো কিছুটা সম্পন্ন করে নিয়েছিলাম। কিন্তু শরীর এখনো ভালো না যার জন্য কোন কিছুই ভালো লাগছে না। অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক খেয়ে জ্বর কমিয়ে নিয়েছি কিন্তু শরীর শুধু কাঁপছে।

যাইহোক কিছুই করার নেই তারপর কাজগুলো সম্পন্ন করে, এক এক করে রান্না বান্নাটাও শেষ করে নিয়েছিলাম। তারপর কবুতর গুলোকে পানি দিয়েছি কারণ এই গরমের মধ্যে তারা পানি ছাড়া থাকতে পারে না। আমার কবুতরের বাচ্চা গুলো অনেক বড় হয়ে গেছে। এখন তারা উড়ে এখান থেকে ওখানে যেতে পারে নিজে খাবার খেতে পারে। এটা দেখে বেশ ভালো লাগা কাজ করছিল। আমি যখন তাদের দিকে হাত বাড়িয়ে দিলাম তখন তারা আমার হাতে এসে বসলো। চারপাশে শুধু রোদ বাহিরে যা এক মিনিট কেউ বসে থাকবে, তার সাধ্য কারো নেই এত পরিমানে গরম।

IMG_20250526_171736_269.jpg

হাঁস মুরগির জন্য ধান কেনা হয়েছিল, সেই ধান শুকানোর জন্য ছাদে দিয়েছি। ধানের উপর পা রাখবো এমন অবস্থা নেই, এত পরিমানে গরম হয়ে গেছে ধান। তার পরেও কোনরকমে ধান শুকিয়ে নিচে নামিয়ে নিয়ে আসলাম। তারপর গোসল করে নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম, দুপুরের খাবার খাওয়ার আসলে কোন ইচ্ছা নেই। গরমের মধ্যে পানি খেতে খেতে অবস্থা একেবারেই খারাপ। এরপর ছেলেদেরকে দুপুরের খাবার খাইয়ে দিয়ে আমি নিজে না খেয়ে শুয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু কারেন্টের কোন দেখা নেই। যার কারণে আরো বেশি খারাপ লাগছিল। তারপর উঠে গিয়ে বাইরে হাঁটাহাঁটি করলাম কিন্তু বাহিরে এত পরিমাণে গরম কি আর বলবো।

IMG_20250526_171735_918.jpg

একটু পরেই কারেন্ট আসলো তারপর কিছু পোস্টে কমেন্ট করে নিলাম। কমেন্ট করা হয়ে গেলে নিজের পোস্ট লিখে সাবমিট করে দিয়েছিলাম। তারপর বাহিরে আরো কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করে নিয়েছিলাম। একটু পরেই মাগরিবের আযান দিল অজু করে এসে নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম। গরমের কারণে কোন কিছুই ভালো লাগছে না, এদিকে ছেলেদেরকে নিয়ে পড়তে বসেছে ছোট ছেলের লেখা দিয়েছি। তার সাথে ওকে পড়ানো শুরু করে দিয়েছিলাম। কিন্তু ওর শরীরটা ভালো না যার কারণে ও বারবার বলছিল ওর মাথা ব্যথা করছে।

IMG_20250526_171740_700.jpg
IMG_20250526_171736_907.jpg

আমি ওকে কিছুক্ষণ পড়ানোর পর ওকে রাতের খাবার খাইয়ে দিয়েছিলাম। কেননা ও ঘুমিয়ে পড়বে এরপর বড় ছেলেকে নিয়ে কিছুক্ষণ পড়ালাম, তারপর নিজে অজু করে এসে নামাজ পড়ে নিলাম। এরপর বড় ছেলেকে নিজের হাতে ভাত দিয়ে, আমি নিজে অল্প পরিমাণে ভাত খেয়ে ওষুধ খেয়ে নিয়েছিলাম। এরপর শুয়ে পড়েছিলাম আসলে কারেন্ট না থাকার কারণে ঘুম তেমন একটা ভালো হয় না। আর এভাবেই আমার জীবন থেকে আমি আরো একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।

Sort:  
Loading...