Better Life With Steem || The Diary game || 24 August 2025 ||
সবকিছুর পরেও কেমন যেন বলতে ইচ্ছে করে, সবাই এই পৃথিবীতে ভালো থাকুক। কারণ এখন আর কাউকে কিছু বলতে ইচ্ছে করে না। যার যেমন ইচ্ছা চলতে পারে যেমন ইচ্ছা আচরণ করতে পারে। এখন আর কাউকে কিছু বলার নেই, কারণ আমি এখন সবাইকে বোঝাতে বোঝাতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি, এখন নিজেকে বোঝানো বাকি রয়ে গেছে। আমার নিজেকে বোঝাতে হবে আমার অস্তিত্ব বলে শুধুমাত্র আমার ছায়া, আর যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন তিনিই আমার সঙ্গে আছেন। আমার মনটাকে বোঝাতে হবে আমার সঙ্গে একমাত্র আমার আল্লাহ তাআলা ছাড়া আর কেউ নাই। সবাই তো শুধুমাত্র তাদের স্বার্থ উদ্ধার করার জন্য পাশে এসেছিল। এখন সব শেষ তাই আমিও শেষ। আবার যখন প্রয়োজন হবে আবার ডেকে নেবে, আর আমি মানুষটাও কেমন ডাকার সাথে সাথে তাদের স্বার্থ উদ্ধার করার জন্য চলে যায়।
আমি এইটুকু বিশ্বাস করি আমি একটা মানুষের জন্য যতটুকু করবো, ঠিক সেই মানুষটা আমার জন্য যদি ততটুকু নাও করে। আল্লাহ তাআলা কাউকে না কাউকে অবশ্যই আমাকে সাহায্য করার জন্য পাঠাবে। আমি বিশ্বাস করি আমি বিপদে পড়লে আমার আল্লাহ অবশ্যই আমাকে সাহায্য করবে। তাই আর কাউকে এখন আর কিছু বলার নেই। সকালের পরিবেশটা আলহামদুলিল্লাহ গতকালকে বৃষ্টি না হওয়ার কারণে পরিবেশ অনেকটাই অন্যরকম হয়ে গেছে। চারপাশের কাদামাটি শুকিয়ে গেছে দেখতেই কি সুন্দর ভালো লাগার কাজ করছে। যেভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল আমি তো চিন্তা করেছিলাম গত বছরের মত না বাড়িতে পানি উঠে যায়।
তবে গতকালকে রোদ হওয়ার কারণে পানি অনেকটাই শুকিয়ে গেছে। তারপরেও বাড়ির খুব কাছাকাছি পানি চলে এসেছে জানিনা এবার উপরওয়ালা ভাগে কি রেখেছে। যাই হোক আলহামদুলিল্লাহ সকালবেলা সকালের কাজ গুলো সম্পন্ন করে নিয়েছিলাম। তারপর রান্না বান্নার জন্য সব কিছু গুছিয়ে রান্না করে নিয়েছিলেন। আমরা মানুষদেরকে নিয়ে আল্লাহ তাআলা খুব বিপদের মধ্যে আছেন, বৃষ্টি হলেও আমাদের সমস্যা আবার অতিরিক্ত রোদ হলেও আমাদের সমস্যা। অতিরিক্ত রোদ হলে অতিরিক্ত ঘাম যার কারণে আমাদের শরীর একেবারেই অস্থির হয়ে যায়। তারপরেও কিছু করার নেই সংসারের কাজগুলো সম্পন্ন করে নিজের মতো করেই গোসল করে নিয়েছিলাম।
তারপর নামাজ আদায় করে ছেলেদেরকে খাবার খাইয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ওরা কিছুক্ষণ শুয়ে পড়েছিল কিন্তু ঘুমানোর কোন নাম নেই। দুজন মিলে এত পরিমানে দুষ্টামি করতেছিল যেটা আর বললাম না। আমি তাদের পাশে কিছুক্ষণ চুপচাপ শুয়ে রইলাম কিন্তু আমার ঘুম নেই তাদের এই অবস্থায় ঘুমানো সম্ভব না। তারপর উঠে গিয়ে কবুতরগুলোকে খাবার দিয়েছিলাম। আসলে নিজের ব্যস্ততার কারণে তাদেরকে সঠিকভাবে খাবার দেয়া হয় না ।যার কারণে আরো বেশি খারাপ লাগে। তাদের কাছে গেলে বোঝা যায়, তারা রীতিমত আমার ওপর রাগ করে আছে তারা এখন আর আগের মত আমাকে ভালোবাসে না। কারন আমি আগের মতো তাদের দেখাশোনা করতে পারি না।
যাইহোক ওদের সাথে কিছুটা সময় কাটিয়ে এরপর নিচে চলে আসলাম। ঘরের মধ্যে আরো কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পূর্ণ করে নামাজ পড়ে, বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। ঔষধ খেতে খেতে মনে হয় জীবনটা একেবারেই শেষ হয়ে যাবে। এখন আবার আরেক সমস্যা দেখা দিয়েছে যাই হোক বাজারে গিয়ে ডাক্তারকে বিষয়টা খুলে বললাম। তারপর ডাক্তার ঔষধ দিল। ওষুধ নিয়ে সোজা বাড়ি আসবো কিন্তু না ছোট ছেলে চটপটি খাবে, কি আর করা তাকে নিয়ে আবার চটপটি ওয়ালা মামার দোকানে গেলাম।
ওখানে গিয়ে ছোট ছেলেকে চটপটি খাওয়ালাম আর বড় ছেলের জন্য ফুচকা নিয়ে আসলাম। কারণ ও ফুচকা খেতে অনেক ভালোবাসে বেলপুরিও ভালবাসে কিন্তু আজকে বেলপুরি পাওয়া গেল না। যাইহোক বাড়িতে এসে মাগরিবের নামাজ আদায় করে নিলাম। এরপর ছেলেদেরকে নিয়ে পড়তে বসলাম। ওদের পড়া শেষ হয়ে গেলে ওদেরকে রাতের খাবার খাইয়ে দিয়ে, ঘুম পাড়িয়ে দিলাম। আমি নিজেও শুয়ে পড়েছিলাম আর এভাবেই আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।