Better Life With Steem || The Diary game || 23 August 2025 ||
মানুষের কত রং কত রূপ! কখন কোন রূপ ধারণ করে কেউ বুঝতেই পারে না। গতকালকে আকাশের দিকে তাকিয়ে একটা জিনিস চিন্তা করলাম। আকাশ ও এত দ্রুত রং পরিবর্তন করে না যত দ্রুত মানুষ তার রং পরিবর্তন করে আর একটা কথা চিন্তা করলাম। আমি ঠিক কত পাওয়ারি চশমা পরিধান করলে একটা মানুষের আসল রূপ দেখতে পাবো। এটা আসলে মজা করে বলেছি একটা মানুষের আসল রূপ এত সহজে দেখা যায় না। আমরা যখন সেই মানুষটার সাথে প্রতিনিয়ত চলাফেরা করতে থাকি, তখনই কিন্তু সেই মানুষটার আসল রূপ আমরা দেখতে পাই। প্রতিনিয়ত মানুষ নিজেকে পরিবর্তন করে কিন্তু দিন শেষে যতটুকু বুঝলাম। আমি মানুষটাই নিজেকে পরিবর্তন করতে পারলাম না। এত চেষ্টা করার পরেও মনে হয়েছে আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হচ্ছে না, আমি কিছুই পারছি না কেন পারছি না সেটাও বুঝতে পারছি না।
তবে আমাকে পরিবর্তন হতে হবে, আমি যদি প্রতিনিয়ত এভাবেই চলতে থাকে তাহলে হয়তো বা একটা সময় গিয়ে আমি এমনভাবে ভেঙ্গে পড়বো, দ্বিতীয়বার আর উঠে দাঁড়ানোর মত সুযোগ আমার হবে না। বিশ্বাসের জায়গাটা যখন ভেঙে যায় তখন দ্বিতীয়বার আর উঠে দাঁড়ানোর সুযোগ হয় না। আমি হাজার বার ভেঙ্গে পড়েছি হাজার বার উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু এভাবে আর কত আমি প্রতিনিয়ত চিন্তা করি নতুন কোন কাজ করবো নতুন ভাবে শুরু করব। কিন্তু সেটা আমার দ্বারা হয়ে ওঠে না। আমাকে অবশ্যই পরিবর্তন হতে হবে আমি যদি পরিবর্তন না হই, তাহলে আমি কখনোই সামনে এগিয়ে যেতে পারবো না। ওই যে কথায় বলে না নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য লড়াইটা কিন্তু নিজেকেই লড়তে হয়।
হঠাৎ করে যখন বাসায় মেহমান আসে তখন আসলে মাথা ঠিক থাকে না, যদি বাজারে সমস্ত কিছু ঘরে না থাকে। গতকালকে আমার অবস্থাটাও ঠিক সেরকমটাই হয়েছে। আসলে হঠাৎ করেই মেহমান বাসায় চলে আসলো কি করব বুঝতে পারছি না। যাই হোক তারপরেও সবকিছু সামলে নিতে হবে এটাই হচ্ছে বিষয়। তবে আমার কাছে মনে হয় কারো বাড়িতে এভাবে হুট করে যাওয়াটা ঠিক না, হয়তো বা তার বাসায় সবকিছু নাও থাকতে পারে, পুরনো মেহমান হলে এক কথা তবে যদি নতুন একজন মেহমান হঠাৎ করেই আপনার বাসায় চলে আসে। তখন আপনার অবস্থা কেমন হবে সেটা অবশ্যই আপনি বুঝতে পারছেন। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই নিজের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে নিয়েছিলাম। জানিনা আজকে কোন কিছুই ভালো লাগছে না হঠাৎ করেই বড় ছেলের নতুন নতুন বায়না, কি আর করব ওর বায়না গুলো পূরণ করতে করতে আমার অনেকটা সময় ব্যয় হয়ে যায়।
যাই হোক ওদেরকে খাবার খাইয়ে দিলাম। যেহেতু স্কুল নেই তাই বাসায় ছিল। তারপর আমি আমার কাজ এক এক করে গুছিয়ে নিলাম, সকাল দশটার সময় দরজার মধ্যে কেউ বারবার শব্দ করছে গিয়ে দরজা খুললাম। দরজা খোলার পর আমি অবাক হয়ে গেলাম একজন নতুন মেহমান আমাদের বাসায় চলে এসেছে। তবে মাথা পুরো গরম হয়ে গেছে ফ্রিজে তেমন কিছুই নেই এখন কি করব। তারপর পাশের বাড়ির একজন ভাইকে বাজারে পাঠিয়ে মোটামুটি বাজার নিয়ে আসলাম, কারণ উনাদেরকে বাসায় রেখে আমি বাজারে যাওয়াটা সম্ভব হচ্ছিল না। যাই হোক তারপর রান্নাবান্নার কাজ শুরু করলাম। রান্নাবান্না শেষ করতে অনেকটা সময় লেগে গেল এরপর রান্না শেষ করে উনাদেরকে দুপুরে খাবার দিলাম। আমিও ছেলেদেরকে খাবার খাইয়ে দিলাম, তারপর গিয়ে গোসল করে নিয়েছিলাম। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে বাহিরে বের হওয়াটাও একেবারে মুশকিল হয়ে গেছে।
এরপর ওনাদের সাথে কিছুক্ষণ গল্প করলাম আসলে বাসায় মেহমান আসলে ভালই লাগে গল্প করা যায় সবার সাথে বসে, কিছুটা সময় অন্যরকম ভাবে কাটানো যায়। মোটামুটি বিকাল চারটার দিকে তারা আবার তাদের বাড়িতে রওনা হলো। আমি ওনাদেরকে বিদায় দিয়ে আমার আরো কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করে নিয়েছিলাম। সন্ধ্যার সময় মাগরিবের অজু করে নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম। তারপর ছেলেদেরকে নিয়ে পড়তে বসলাম ওদের পড়া শেষ হয়ে গেলে ওদেরকে রাতের খাবার খাইয়ে দিলাম। আমি না খেয়ে শুয়ে পড়েছিলাম আর এভাবেই আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।