Better Life With Steem || The Diary game || 19 Jun 2025 ||

in Incredible India16 hours ago
IMG_20250619_101833_603.jpg

বর্তমান সময়ে আমাদের মানুষের মধ্যে সমস্যা ঝামেলা থেকে যায়। একটার পর একটা লেগেই থাকে আমরা হয়তো মাঝে মাঝে চিন্তা করি, আমাদের এই জীবনটা এমন না হলেও হয়তোবা হতো, কিন্তু একটা কথা আমরা ভুলে যাই সমস্যা না থাকলে আমরা সৃষ্টিকর্তার কথা ভুলে যাই। জীবনে সুখ দুঃখ সব কিছু মিলিয়েই আমাদের চলতে হবে। সবকিছু যদি মানিয়ে নিতে পারি তাহলেই আমাদের জীবনটা সুন্দর হবে। তবে একটা কথা আমাদের অস্বীকার করলে কখনোই চলবে না। আমরা যখন সমস্যার মধ্যে পড়ি, সেই এক একটা সমস্যা আমাদের এক একটা শিক্ষা দিয়ে থাকে। সেখান থেকে অবশ্যই আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করাটা অনেক বেশি প্রয়োজন।

প্রতিটা মানুষের জীবনে সমস্যা আছে, সেখান থেকে যদি আমরা একটু একটু করে শিক্ষা গ্রহণ করি। তাহলে কিন্তু আমরা আমাদের জীবনটাকে অন্যরকম ভাবে সাজিয়ে নিতে খুব বেশি সময় লাগবে না। আলহামদুলিল্লাহ নতুন একটা সকালের দেখা পেয়ে অনেক বেশি আনন্দিত। তবে আকাশ মেঘলা বৃষ্টি হবে এটা একেবারেই বাস্তব। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই ঘরের যাবতীয় কাজ প্রথমত সম্পন্ন করে নিয়েছিলাম। আজকে একটু বেলা করেই ঘুম থেকে উঠে ছিলাম, টিপটিপ বৃষ্টি পড়ছে তবে ততটাও জোরে নয়। এরপরে সকালের নাস্তা হিসেবে চা আর একটু বিস্কিট খেয়ে নিয়েছিলাম। এরপর মায়ের কিছু ঔষধ অর্ডার করেছিলাম, সেগুলো কুরিয়ার সার্ভিস করে আমাদের স্কুলের সামনে চলে আসবে। উনার সাথে আবার কিছুটা সময় কথা বলে নিয়েছিলাম।

IMG_20250619_101837_845.jpg
IMG_20250619_101838_760.jpg
IMG_20250619_101838_106.jpg

একটু পরেই রান্নাবান্নার জন্য সবকিছু রেডি করে নিয়েছিলাম। বড় ছেলে বাড়িতে চলে যাবে তাই তাকে রেডি করে গাড়িতে উঠিয়ে পাঠিয়ে দিলাম। এরপর আমি এক এক করে সমস্ত রান্না শেষ করলাম রান্না শেষ করতে, মোটামুটি দুপুর বারোটা বেজে গেল। তারপর গোসল করে এসে নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম। নামাজের বিছানায় কিছুটা ব্যয় করে তারপর উঠে বাবাকে খাবার দিয়েছিলাম। এরপর ছোট ছেলেকে খাবার খাইয়ে দিয়ে, আমি মায়ের সাথে বসে খাবার খেয়ে নিয়েছিলাম। খাবার খাওয়া শেষ হলে একটু শুয়ে পড়েছিলাম, আসলে এই বাড়িতে আসলে নেটওয়ার্কের অনেক বেশি সমস্যা, ঘরে নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না। বাহিরে বের হওয়া ছাড়া কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম নিজেও জানিনা।

ঘুম ভেঙে গেল আসরের নামাজের শব্দে তাড়াতাড়ি উঠে নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম। তারপর আরো কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করে বসে রইলাম, একটু পরে কল আসলো কুরিয়ার সার্ভিসের লোক চলে এসেছে। তারপর বোরকা পরে স্কুলের সামনের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। ওখানে গিয়ে টাকা পরিশোধ করে ওষুধ নিয়ে আসলাম।আসার সময় এটা আনারস নিয়ে এসেছিলাম, আসলে জ্বরের কারণে মায়ের মুখে কোন কিছুই ভালো লাগছে না। ডাক্তার বলেছে আনারস খাওয়ালে মোটামুটি ভালো লাগবে। তারপর বাড়িতে এসে আনারস কেটে লবন মরিচ মাখিয়ে মাকে দিয়েছিলাম।

IMG_20250619_101838_058.jpg
IMG_20250619_101838_723.jpg
IMG_20250619_101838_108.jpg

আমি নিজেও খেয়েছিলাম বেশ ভালই লাগছিল, এত পরিমাণে মিষ্টি ছিল যেটা বলে বোঝানো সম্ভব না। একটু পরে সন্ধ্যা হয়ে গেল, তারপর মাগরিবের নামাজ পড়ে কিছু সময় বসে রইলাম। এরপরে মায়ের সাথে কিছুক্ষণ গল্প করে ওনার ঔষধ খুলে দেখে নিয়েছিলাম। সবকিছু ঠিক আছে কিনা, আলহামদুলিল্লাহ সবকিছু ঠিক আছে। এই প্রথম মনে হয় আমি অনলাইনে কিছু অর্ডার করে সঠিকভাবে হাতে পেয়েছি। যার কারণে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। এরপর সবাইকে রাতের খাবার দিয়ে দিলাম। সবাই রাতের খাবার খেয়ে নিল আমি মাকে ওষুধ দিয়ে দিলাম। উনি ওষুধ খেয়ে শুয়ে পড়েছিলেন আমি নিজেও নিজের ঔষধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এভাবেই আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।

Sort:  
Loading...