Better Life With Steem || The Diary game || 19 August 2025 ||

in Incredible India7 days ago

IMG_20250819_072704_901.jpg

IMG_20250819_072705_402.jpg

এই পৃথিবীতে কি কি কঠিন কাজ আছে সেটা আমি জানি না। তবে হ্যাঁ এই পৃথিবীতে সবচাইতে ভয়ংকর কাজ হচ্ছে নিজের মনের সাথে যুদ্ধ করা। নিজের মনটাকে কন্ট্রোল করা। আমরা যতই চেষ্টা করি না কেন আমরা এই কাজ করবো না। এই মানুষের প্রতি আমাদের বিশ্বাস কখনোই রাখবো না। এই মানুষটা আমাদের সাথে ধোঁকা দিয়েছে তার সাথে আর কখনোই কথা বলবো না। কিন্তু আমরা সেটা কখনোই পারিনা। আমরা দিন শেষে আবারো সেই মানুষটার সাথে কথা বলি। বেহায়ার মত গিয়া আবারো সেই মানুষটার প্রতি বিশ্বাস আস্থা সবকিছুই রাখতে শুরু করি। কিন্তু দিনশেষে সেই মানুষগুলোই আমাদেরকে ধোঁকা দেয়া শুরু করে। আসলে ধোঁকা খাওয়ার পর বোকা হয়ে যাওয়াটা একেবারে অস্বাভাবিক কিছু না। এটা আমার কাছে একেবারেই স্বাভাবিক একটা বিষয় বলে মনে হয়।

কেন মনে হয় সেটা আসলে জানিনা, তবে হ্যাঁ আমি আমার জীবনে অনেকবার ধোঁকা খেয়েছি। এরপর অনেকবার বোকা হয়েছি তাই হয়তোবা আমার কাছে এটা স্বাভাবিক মনে হচ্ছে। তবে যারা ধোঁকা দিয়েছে এবং বোকা বানিয়েছে। তারা হয়তো বা মনে করে তারা জিতে গিয়েছে। একটা কথা আমি বিশ্বাস করি কাউকে ধোঁকা দিয়ে বোকা বানানোর পর কখনই মানুষ জিতে যায় না। বরং আপনার প্রতি তার যে বিশ্বাস ছিল সেটা আপনি হারিয়ে ফেলেছেন। ওই মানুষটা আপনাকে আবার বিশ্বাস করতে অনেকবার চিন্তা করবে। তাই কাউকে ধোঁকা দেয়া থেকে বিরত থাকুন। কাউকে বোকা বানানোর থেকে বিরত থাকো, ধোঁকা দেওয়াটা অনেক বেশি সহজ কিন্তু কারো বিশ্বাস অর্জন করাটা তার চাইতেও কঠিন। আপনার জীবন ছোট আমার জীবন ছোট যে কোন মুহূর্তেই এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে পারি। তাই কাউকে ধোঁকা না দিয়ে তার বিশ্বাস অর্জন করার চেষ্টায়, নিজের জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত পার করাটা উত্তম বলে আমি মনে করি।

IMG_20250819_072704_741.jpg

IMG_20250819_072705_274.jpg

IMG_20250819_072705_384.jpg

সকালের সূর্যটা প্রখর রোদ দিয়ে আকাশে উঠেছে, বুজতে আর বাকি রইল না আজকেও সারাদিন প্রচুর পরিমাণে গরম পড়বে আর একটু গরম পড়লেই কারেন্ট মামা তার শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে যায়। এটা আমি মজা করে বলছি না এটা একেবারেই বাস্তব। তার কয়টা শশুর বাড়ি আছে মাঝে মাঝে জিজ্ঞেস করতে খুব ইচ্ছে করে যাই হোক এটা কিন্তু মজার ছিল। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে বাহিরের পরিবেশটা একটু উপভোগ করতে না পারলে মনে হয়, কোন একটা কিছু থেকে যায়। তাই পরিবেশটা উপভোগ করার জন্য বাহিরে গিয়ে কিছুটা সময় হাঁটাহাঁটি করে আসলাম। এত পরিমানে ভালো লাগছিল যেটা বলে বোঝানো সম্ভব না। আকাশের রোদের ঘনঘটা কিন্তু জমিনের মধ্যে হালকা বাতাস, মোটামুটি বলা যায় গরম আর বাতাসে পরিবেশটা অন্যরকম হয়ে উঠেছে।

IMG_20250819_072705_445.jpg

সকালের কার্যক্রম শেষ করতে করতে কখন যে দশটা বেজে গেল বুঝতেও পারলাম না। তাড়াতাড়ি করে ছেলেদেরকে সকালের খাবার খাইয়ে দিয়ে স্কুলে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। ওদের পরীক্ষা চলছে যার কারনে একটু তাড়াতাড়ি স্কুলে চলে যেতে হয়। এরপর আমি রান্না বান্নার জন্য সবকিছু কাটা শুরু করলাম অনেকটা সময় নিয়ে সবকিছু শেষ করার পর, এবার রান্না করার পালা। গরমে বলতে পারেন একেবারে হাঁপিয়ে উঠেছি। রোদ এত পরিমানে কিন্তু তারপরেও শুকরিয়া অন্ততপক্ষে চারপাশের পরিবেশটা তো সুন্দর লাগছে। রান্না করতে করতে ঘামে ভিজে একাকার হয়ে গেলাম। তারপর রান্নাটা শেষ হয়েছিল বরাবর একটা বাজে তারপর উঠে গিয়ে সব কিছু ঘরে নিয়ে আসলাম।

IMG_20250819_072705_482.jpg

IMG_20250819_072705_147.jpg

এরপর গোসল করে নিয়েছিলাম কিন্তু গোসল করার পরেও মনে হচ্ছে, আবার যদি গোসল করি খুব একটা মন্দ হবে না। গোসল করে এসে নামাজ পড়ে ছেলেদের কে দুপুরের খাবার কথা বলেছিলাম। কিন্তু তাদের বাবা এসে বলল তাদেরকে নিয়ে আজকে দাওয়াত খেতে যাবে। কি আর করা আমি এবং আমার শ্বশুর আমরা দুজনে খাবার খেয়ে নিয়েছিলাম। তারপর আমি একটু শুয়ে পড়েছিলাম আর বলবো না কারেন্টের অবস্থা যা হয়েছিল। যাইহোক কিছুই করার নেই কিছুক্ষণ এপাশ ওপাশ করে উঠে পড়েছিলাম। ঘুম আর আজকে হবে না এটা আমি বেশ ভালোভাবেই বুঝে নিয়েছিলাম। তারপর মোবাইলের মধ্যে কিছুক্ষণ ঘাটাঘাটি করলাম। এরপর youtube এর মধ্যে দু-একটা ভিডিও দেখে আবার ঘর থেকে বের হয়েছিলাম, বাহিরে কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করে নিয়েছিলাম।

IMG_20250819_072704_848.jpg

এরপর আসরের নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ বসে রইলাম নামাজের বিছানায়। আসলে হঠাৎ করে কেন জানিনা কোন কিছুই ভালো লাগছে না। তারপর ছেলেকে দোকানে পাঠিয়ে ডাল এবং নুডুলস নিয়ে এসেছিলাম। তারপর দুজন মিলে খুব মজা করে খেয়েছিলাম। আমার কাছে মনে হয় অল্প হলেও জিনিস যদি ভাগাভাগি করে খাওয়া হয় খেতে কিন্তু বেশ ভালই লাগে। যাইহোক একটু পরেই মাগরিবের আযান দিয়ে দিল, নামাজ পড়ে ছেলেদের কে নিয়ে পড়তে বসলাম। ওদের পড়া শেষ হয়ে গেলে ওদেরকে খাবার খাইয়ে দিয়েছিলাম। তারপর ওরা ঘুমিয়ে পড়েছিল। এরপর মোবাইলের মধ্যে আমার কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করলাম। রাত সাড়ে বারোটার সময় দেখলাম ছেলের বাবা অনেকগুলো মাছ নিয়ে এসেছে। তারপর মাছগুলো ফ্রিজের মধ্যে রেখে দিয়েছিলাম, কারণ এত রাতে মাছ কাটা কখনো সম্ভব না। এরপরে এসে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম আর এভাবেই আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।

Sort:  
Loading...

TEAM 6

Congratulations! This post has been voted through steemcurator08. We support quality posts, good comments anywhere and any tags.


1753883118875.png


Curated by : @xkool24

 6 days ago 

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে