Better Life With Steem || The Diary game || 18 August 2025 ||
আমি মানুষটা এমন কেন? যখন আমার কাছে আমার কাছে টাকা থাকে তখন আমার কাছে মনে হয় পুরো পৃথিবী নিয়ে ঘরে রেখে দেই। যাতে করে ঘরের কোন সদস্যের কোন রকম সমস্যা না হয়। আর যখন টাকা থাকে না তখন মনে মনে চিন্তা করি যখন আমার হাতে টাকা আসবে। তখন খুব বেশি খরচ করব না কিছু টাকা জমিয়ে রাখবো। যাতে পরবর্তীতে কাজে লাগাতে পারি কিন্তু আমি বেহায়ার মত আবারও যখন টাকা আসে, তখন আবার খরচ করে ফেলি। এটা হচ্ছে আমার এক ধরনের অভ্যাস বলা যায়। যতই চেষ্টা করি এই অভ্যাস থেকে বের হয়ে আসার। আমার কাছে মনে হয় আমি তত বেশি এই অভ্যাস এর মধ্যে আসক্ত হয়ে পড়ছি।
তবে এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছি এখন আর টাকা আসলে খুব বেশি খরচ করব না। প্রয়োজন ছাড়া অতিরিক্ত কোন কিছুর মধ্যে টাকা অপচয় করব না। কারণ যখন টাকা না থাকে তখন বোঝা যায় এই দুনিয়ার কত কঠিন। মানুষের কাছ থেকে 10 টাকা ধার চাইতে গেলেও হাজার বার চিন্তা করতে হয়। তবে আমি আজ পর্যন্ত কারো কাছে কোন টাকা ধার চাইনি, যতটুকু পেরেছি নিজের পরিশ্রমের মাধ্যমে করার চেষ্টা করেছি। বাকিটা আল্লাহতায়ালা যেমন ভাবে চালিয়ে নিচ্ছেন আমি ঠিক সেভাবেই চলে যাচ্ছি। আলহামদুলিল্লাহ নতুন একটা সকালের দেখা পেয়ে খুশি হয়েছিলাম এটা ভেবে যে, আমি এখনো এই পৃথিবীতে বেঁচে আছি। আমার মত অনেক মানুষ গতকাল রাতে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে। তাদের জন্য অবশ্যই আল্লাহর কাছে দোয়া করি আল্লাহ যেন তাদেরকে ভালো রাখে।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে সকালবেলার কাজগুলো সম্পন্ন করে নিয়েছিলাম। আসলে সকালবেলা এত পরিমানে কাজ থাকে কোন টার পর কোনটা করব মাঝে মাঝে এটাও ভুলে যাই। তারপরেও সবকিছু সম্পন্ন করতে হয় কাজ করতে করতে মোটামুটি হাপিয়ে উঠেছিলাম। তারপর ছেলেদেরকে খাবার খাইয়ে দিয়ে স্কুলে পাঠিয়ে দিলাম তারা এই স্কুলে যাওয়ার পর আমি আমার কাজগুলো আরো একটু গুছিয়ে নিয়েছিলাম। তারপর রান্না বান্নার জন্য সবকিছু রেডি করে রান্না করে চলে গেলাম। এরপর রান্নাঘরে আরো কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করে, রান্না বসিয়ে দিলাম। রান্না শেষ করতে করতে মোটামুটি সাড়ে এগারোটা বেজে গেল। আজকে মানুষ কম যার কারণে রান্না কম হয়েছে। রান্না একটু তাড়াতাড়ি হওয়ার কারণে ঘরে এসে ঘরের কিছু কাজ ছিল সেগুলো শেষ করে নিয়েছিলাম।
বাহিরে এত পরিমাণে রোদ বাহিরে বের হওয়াটা একেবারেই কষ্ট করছিল, কিন্তু তারপরেও কিছুই করার নেই গোসল করে এসে জোহরের নামাজ আদায় করে নিয়েছিলাম। এরপর দুপুরের খাবার খেয়ে নিয়েছিলাম তারপর ছেলেদেরকে খাবার খাইয়ে দিয়ে ওদেরকে ঘুমাতে বলেছিলাম। এরপর আমি নিজেও কিছুক্ষণ শুয়ে পড়েছিলাম কিন্তু কারেন্ট যে যন্ত্রণা করছে, সঠিকভাবে ঘুমানো সম্ভব হচ্ছিল না। তাই আবারো উঠে পড়লাম এরপর বিকেল বেলার কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পূর্ণ করে নিয়েছিলাম। এরপর আমার দুইটা জিনিস লাগবে, তাই বড় ছেলেকে দোকানে পাঠিয়ে সেই দুইটা জিনিস নিয়ে আসলাম।
মাগরিবের নামাজের অজু করে ঘরে চলে আসলাম। ঘরে আসার পর নামাজ পড়ে ছেলেদেরকে নিয়ে পড়তে বসেছিলাম। ওদের পড়া শেষ হয়ে গেলে ওদেরকে রাতের দিলাম খাবার খাইয়ে দিলাম। এরপর বড় ছেলেকে ঔষধ খাইয়ে ঘুমিয়ে যেতে বলেছিলাম। কারণ ওর শরীরটা আগের চাইতে মোটামুটি ভালো হলেও এখনো কাশির পরিমাণটা রয়ে গেছে। আর এভাবেই আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।