Better Life With Steem || The Diary game || 17 August 2025 ||
![]() |
---|
ধরুন একজন মানুষ আপনার কাছে তার মনের অনুভূতি প্রকাশ করেছে বা তার কষ্টগুলো সে আপনার সাথে শেয়ার করেছে। এতে করে আপনার কাছে কি মনে হয় সে শুধুমাত্র আপনাকে বিশ্বাস করে। সে আপনাকে বিশ্বাস করে ভালোবাসে এবং আপনার প্রতি তার অন্যরকম একটা অনুভূতি আছে। সে কিন্তু শুধুমাত্র তার কষ্ট বা তার মনের অনুভূতি আপনার কাছে শেয়ার করেনি। সে তার সম্মানটাকে আপনার কাছে বন্ধক রেখেছে। কিন্তু আমাদের মধ্যে কিছু মানুষ আছে। আমরা যখন তাদের কাছে আমাদের মনের কষ্ট বা অনুভূতি শেয়ার করি। তখন তারা সেটাকে অন্যের কাছে স্বাচ্ছন্দ্যে প্রকাশ করে দেয়। অর্থাৎ আপনি কি করলেন সেই মানুষটার সম্মান অন্যের কাছে প্রকাশ করে দিলেন খুব সহজে।
এতে করে ওই মানুষটা আপনাকে যে বিশ্বাস করত। আপনাকে যে ভালোবাসতো আপনার প্রতি যে তার আস্থা ছিল, তার কোনটাই আর থাকবে না। তাই বলব কেউ যদি আপনার কাছে তার গোপন কথা তার মনের অনুভূতি প্রকাশ করে। তাহলে কখনোই তার কথা অন্য কাউকে বলতে যাবেন না। এতে করে অন্ততপক্ষে তার সম্মানটা বেঁচে যাবে। আপনার প্রতি তার যে ভালোবাসা রয়েছে সেটা আজীবন থাকবে। আমি মানুষটা কি রকম নিজেও বুঝিনা, সবাই আমার উপর রাগ করে অভিমান করে তবে আমি কাউকে কিছু বলতে পারি না। সত্যি কথা বলতে চিৎকার করে বলতে ইচ্ছা হয়। আমি রক্তে মাংসে গড়া একজন মানুষ। লোহা কিংবা পাথর দিয়ে তৈরি করা কোন বস্তু না কিন্তু তারপরেও বলতে পারি না।
আলহামদুলিল্লাহ নতুন একটা দিনের সুন্দর সকাল পেয়ে অনেক বেশি আনন্দিত। সকালটা একটু কাজের মধ্যেই চলে যায় সকালে কাজ থাকে প্রচুর পরিমাণে। যার কারণে সময়টা অনেক সময় হয়ে ওঠে না তার পরেও চেষ্টা করি বাহিরে গিয়ে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করার জন্য। আজকেও তার ব্যতিক্রম হয়নি একটু সময় পেয়েছি তাই পাঁচ মিনিটের জন্য বাহিরে গিয়ে হাঁটাহাঁটি করেছিলাম। বাহিরের শান্ত পরিবেশ আমার কাছে এত পরিমানে ভালো লাগছিল, যেটা বলে বোঝানো সম্ভব না। বাহিরে হাঁটাহাঁটি করে এসে ঘরে ছোট কিছু মাছ ছিল সেগুলো কেটে নিয়েছিলাম। তারপর হাঁস মুরগি গুলোকে খাবার দিয়ে নিজেদের জন্য খাবার তৈরি করে নিয়েছিলাম। যেহেতু পান্তা ভাত ছিল তাই ভর্তা তৈরি করে সবাইকে দিয়েছিলাম। আর বড় ছেলের জন্য একটু চা আর একটু পাউরুটি করে রেখেছিলাম।
আসলে ওর কাশির পরিমাণটা এখনো ভালো হয়নি, এত পরিমানে কাশি ও যখন কাশ দেয়া শুরু করে তখন ওর বুক ব্যথা শুরু হয়ে যায়। তবে আলহামদুলিল্লাহ জ্বরের পরিমাণটা অনেকটাই কমে গেছে। খাবার খেয়ে ছোট ছেলে স্কুলে চলে গেল বড় ছেলে শুয়ে আছে, একটু পরে তার যাওয়ার সময় হয়ে যাবে। শরীরটা ভালো নেই কিন্তু তারপরেও যেতে হবে কেননা সামনে তার পরীক্ষা। এরপর আমি আমার সকালের কাজগুলো গুছিয়ে নিয়েছিলাম। তারপর রান্না বান্না করার জন্য রান্না ঘরে চলে গেলাম। ওখানে গিয়ে রান্না শেষ করে ঘরে আসতে যোহরের আজান দিয়ে দিল। তারপর ঘরে আরো কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পূর্ণ করে গোসল করতে গিয়েছিলাম কল পাড়ে।
কিন্তু কল পাড়ের মধ্যে এত পরিমানে রোদ ওখানে দাঁড়িয়ে থাকাটা অনেক বেশি কষ্ট করছিল। কিন্তু অন্যদিকে আমাকে নামাজ পড়তে হবে তাই গোসলটা কোনোমতে করে নিয়ে এসে নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম। এরপরেও মনে হচ্ছিল এত গরম যে আমার শরীর ঘামে ভিজে একাকার হয়ে গেছি। আসলে যখন বৃষ্টি হয় তখন চারপাশ একেবারে অন্যরকম হয়ে যায়। আর যখন বৃষ্টি হয় না তখন গরমে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে যায়। যাইহোক এরপর দুপুরের খাবার খেয়ে একটু শুয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু ঘুম আসছে না কারণ বড় ছেলের চিন্তায় কিছুই ভালো লাগছে না। অতিরিক্ত কাশি হওয়ার কারণে তার শরীরের অবস্থা আরো বেশি খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
তাই ভাবলাম বিকেলবেলা একবার ওকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাব, আর কাশির ঔষধ পরিবর্তন করে নিয়ে আসব এপাশ-ওপাশ করতেই কখন যে চারটা বেজে গেল বুঝতেই পারলাম না। তারপর উঠে ঘরে আরও কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পূর্ণ করে নিয়ে নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম। তারপর ছেলেকে নিয়ে বের হয়েছিলাম ডাক্তারের কাছে। ওখানে গিয়ে ঔষধ পরিবর্তন করে নিয়েছিলাম তারপর ওদের জন্য আখ বেলপুরি, পাউরুটি বিস্কিট এসব কিছু নিয়ে বাড়ি ফিরে এসেছিলাম। বাড়ি এসে প্রথমত ওদেরকে বেলপুরি বানিয়ে দিয়েছিলাম। তারপর ওর দাদিসহ সবাই মিলে বেলপুরি খেয়ে নিয়েছিল, আমিও দু একটা খেয়ে নিয়েছিলাম ওদের সাথে।
তারপর বড় ছেলেকে ঔষধ খাইয়ে দিলাম, মোটামুটি আলহামদুলিল্লাহ এই ওষুধটা খাওয়ানোর পর ওর কাশির পরিমাণটা সামান্য পরিমাণে কমে গেছে। এরপর সন্ধ্যায় ওদের পড়াশোনা শেষ করে ওদেরকে রাতের খাবার খাইয়ে দিলাম। বড় ছেলে খাবার খেতে চাইছিল না তারপরেও জোর করে খাইয়ে ছিলাম, কেন না ওষুধ খাওয়াতে হবে। যাইহোক এরপর খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, কেননা মাথাটা প্রচন্ড ব্যথা করছিল আর এভাবেই আমার জীবন থেকে আমি আরো একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
I have read your article and I think that peoples pain or personal feelings are very sensitive issues. When we trust someone and tell them it is a way to reduce our inner burden But if that trust is broken and revealed to others. not only is respect lost but the foundation of the relationship is also weakened Keeping trust is a true human virtue.
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট পরিদর্শন করে এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।