Better Life With Steem || The Diary game || 13 August 2025 ||
![]() |
---|
ধরুন কেউ একজন আপনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। যার কারণে আপনি তার ওপর অনেক রেগে গিয়েছেন। কিন্তু সে আপনারা এমন একজন আপনজন যাকে আপনি কিছু বলতেও পারছেন না, কিছু করতেও পারছেন না। তখন আপনার ভেতরের ভেতরে কিছু প্রশ্ন অবশ্যই নিজেকে করছেন। আমি কেন তাকে বিশ্বাস করতে গেলাম? আমি কেন তাকে বিশ্বাস করে কথাগুলো বলতে গেলাম। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর কিন্তু আপনি কখনোই খুঁজে পাবেন না! প্রতিটা প্রশ্ন আপনাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে বেড়াবে। তবে তার উত্তর আপনি কখনোই পাবেন না। যেমনটা আমি কখনোই পাইনি। একটা মানুষকে কথা দিয়ে কথা রাখা অনেক বেশি প্রয়োজন। যদি আপনি কাউকে কথা দিয়ে কথা রাখতে না পারেন তাহলে সেই কথা দেয়া থেকে বিরত থাকুন।
একজন মুসলমান হিসেবে কথা দিয়ে কথা না রাখলে এটা কত বড় একটা অপরাধ, সেটা হয়তোবা আমরা এখন অনুধাবন করতে পারছি না। তবে একটা সময় এর হিসাব আমাদের সবাইকেই দিতে হবে। আপনি যদি একটা মানুষকে কথা দিয়েছেন, আপনি তার এই কাজ করে দেবেন কিন্তু আপনার হঠাৎ করে কোন একটা সমস্যা হয়ে গেল বা আপনি ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তাই তার কাজ আপনি করে দিতে পারছেন না। তাহলে আপনি তার সাথে বসে কথা বলুন এবং তার কাছ থেকে সময় নিন। তারপরেও তাকে দেয়া কথা রক্ষা করার চেষ্টা করেন। আমার যতদূর মনে পড়ে, আমি আজ পর্যন্ত যত মানুষকে কথা দিয়েছি সবার কথা রাখার অন্ততপক্ষে চেষ্টা করেছি। আর যেগুলো আমার স্বাধের বাহিরে ছিল তাদের কাছ থেকে আমি ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি।
আলহামদুলিল্লাহ প্রতিদিনের মতো নতুন একটা সকালের দেখা পেয়ে অনেক বেশি আনন্দিত, তবে শরীরটা তেমন একটা ভালো নেই। তার উপরে বড় ছেলের শরীরটাও ভালো নেই। গতকালকেই আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। কিন্তু কিছুই করার নেই সব কিছু মহান রাব্বুল আলামীনের ইচ্ছা। যাইহোক সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে নিজের কাজগুলো গুছিয়ে নিয়েছিলাম প্রতিদিনের একই কাজ, নাস্তা তৈরি করা আর যদি পান্তা ভাত থাকে তাহলে ভর্তা বা ডিম ভাজি করে সবাইকে খাবার দেয়া। আজকেও তার ব্যতিক্রম হয়নি, পান্তা ভাত ছিল তাই ডিম ভাজা তৈরি করে নিয়েছিলাম। তারপর সবাইকে সকালের খাবার দিয়েছিলাম, আমি ছেলেদেরকে খাবার খাইয়ে দিয়ে ছোট ছেলেকে স্কুলে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম।
একটু পরেই নিজের রান্না বান্না করার জন্য বের হয়েছিলাম, আকাশে প্রচন্ড রোদ ভেবেছিলাম হয়তোবা এভাবেই থাকবে। কিন্তু রান্নাঘরে যাওয়া মাত্রই শুরু হয়ে গেল বৃষ্টি। এত পরিমানে বৃষ্টি হয়েছে যেটা বলে বোঝানো সম্ভব না। মনে মনে চিন্তা করলাম এত রোদের মাঝে এত বৃষ্টি কোথা থেকে আসলো। যাই হোক সবটাই তিনি তার ইচ্ছামত করে থাকেন। তারপর রান্না-বান্না শেষ করে গোসল করে ঘরে চলে আসলাম। এরপর জোহরের নামাজ আদায় করে সবাইকে দুপুরের খাবার দিয়েছিলাম। বড় ছেলে খাবার খেতে চাইছিল না তাকে জোর করে খাবার খাইয়ে দিয়েছিলাম। তারপর একটু শুয়ে পড়েছিলাম, কিন্তু ঘুম আসছে না মাথা প্রচন্ড ব্যথা করছে। তারপর আবার উঠে গিয়ে আরো কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করে নিয়েছিলাম।
বিকেলের দিকে ছেলেকে নিয়ে বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। আগে যে ওষুধগুলো নিয়ে আসা হয়েছে সেগুলো কোন কাজ হচ্ছে না। তাই ঔষধ পরিবর্তন করতে হবে তাই আবারো চলে গিয়েছিলাম ডাক্তারের দোকানে। ওখানে গিয়ে ঔষধ পরিবর্তন করে আসার সময় ওর জন্য দুইটা প্যান্ট কিনে নিয়েছিলাম। এরপর বাড়িতে আসার সময় ওদের জন্য বেল পুরি নিয়েছিলাম, যেটা ওরা সবাই অনেক বেশি পছন্দ করে। এরপর বাড়িতে এসে দুই ভাইকে বেলপুরি বানিয়ে দিয়েছিলাম, তারা খুব মজা করে খেয়েছিল আমিও কয়েকটা খেয়ে নিয়েছিলাম। শাশুড়ির জন্য কয়েকটা বানিয়ে রেখে দিয়েছিলাম উনি পরে খেয়ে নিয়েছে। একটু পরেই মাগরিবের আজান দিল তারপর নামাজ পড়ে, ছোট ছেলেকে নিয়ে একটু পড়তে বসেছিলাম।
ওর পড়া শেষ হয়ে গেলে ওদের দুজনকে জোর করে অল্প পরিমাণে ভাত খাইয়ে দিয়েছিলাম। তারা কেউই ভাত খেতে রাজি না। তারপর বড় ছেলেকে ঔষধ খাইয়ে দিয়ে শুয়ে পড়তে বলেছিলাম। ওর কাশির পরিমাণটা অনেক বেশি বেড়ে গেছে যার কারণে বুকে প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছে। একটু পরপর কাশি হওয়ার কারণে ওর অবস্থা আরো বেশি খারাপ হয়ে যাচ্ছে। তারপর ওর বুকের মধ্যে একটু ঔষধ মালিশ করে দিয়েছিলাম। একটু পরে ও ঘুমিয়ে পড়েছিল আমিও ঘুমিয়ে পড়েছিলাম আর এভাবেই আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
Congratulations! This post has been voted through steemcurator. We support quality posts, good comments anywhere and any tags.
Thank you very much for supporting me.