Better Life With Steem || The Diary game || 06 July 2025 ||
![]() |
---|
![]() |
---|
আমার কাছে মনে হয় কাউকে ঠকানোর চাইতে নিজে ঠকে যাওয়াটা অনেক ভালো। সম্পর্ক অনেকটা গভীর হওয়ার পর যখন দীর্ঘশ্বাস ফেলতে হয়, তখন খুব বেশি কষ্ট লাগে তা-ও ভালো। অন্ততপক্ষে কারো অভিশাপ তো আর ভয়ে বেড়াতে হয় না। আর বিনা কারণে কারো মনে আঘাত দিয়ে কখনোই মানসিক শান্তিতে থাকা যায় না। নিজের ভেতর থেকে আর কতবার ভাঙবে আর কতবার ভাঙলে এ পৃথিবীর মানুষ খুশি হবে। আর কতবার নিজেকে সামলাতে হবে, আর কতবার আবার উঠে দাঁড়াতে হবে। প্রতিটা সময়ে একটা কথাই ভেবেছি, এইবার হয়তোবা কেউ আমাকে বুঝবে।
এটাই হয়তোবা শেষবার এবার কেউ আমার পাশে অবশ্যই থাকবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সবাই স্বার্থপরের মত চলে যায়, কেউ পাশে থাকে না আর এখান থেকেই বোঝা যায়। এই পৃথিবীতে মানুষ ঠিক তার স্বার্থ পূরণের জন্য কাজ আসে। যেখানে স্বার্থ শেষ সেখান থেকে আপনার বদনাম এবং আপনাকে অবহেলা করা শুরু হয়ে যায়। কথাগুলো তিতা হলেও এটাই বাস্তব। যাইহোক আলহামদুলিল্লাহ নতুন একটা সকালের দেখাবে অনেক বেশি খুশি হয়েছিলাম। বেশ কিছুদিন নিজের অসুস্থতার কারণে সবকিছু কেমন যেন এলোমেলো হয়ে গেছে। তার পরেও সবকিছু ঠিকঠাক করে নেয়ার চিন্তা প্রতিনিয়ত থাকতো এবং চেষ্টা করতাম।
![]() |
---|
![]() |
---|
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে তারপর কিছুটা সময় হাঁটাহাঁটি না করলে, মনে হয় কোন কিছুই ভালো লাগেনা। তাই হাঁটতে হাঁটতে আমাদের পুকুর পাড়ে চলে গেলাম। চারপাশে কিছুটা কুয়াশা দেখা যাচ্ছে তবে রোদের পরিমাণটাও কিছুটা দেখা যাচ্ছে। এখন তো বর্ষাকাল একটু রোদ হলে আবারও বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। যার কারণে চারপাশ একেবারে স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে গেছে। চারপাশে কেমন যেন ভোটকা মাটির গন্ধ, তার পরেও কিছু করার নেই। ঋতুর সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতেই হবে। কিছুটা সময় পুকুরপাড়ে কাটিয়ে তারপর কবুতরের খাবার নিয়ে চলে গেলাম ছাদে। বৃষ্টি হওয়ার কারণে তাদের ঘরের অবস্থা একেবারে খারাপ হয়ে আছে। তাই ভাবলাম একটু পরিষ্কার করে দেব, কিন্তু নিচে আরও কিছু কাজ ছিল তাই নিচে চলে আসলাম।
![]() |
---|
এরপর সকাল বেলার সবাইকে কাঁঠাল ভেঙে দিয়েছিলাম খাওয়ার জন্য। সবাই খুব মজা করে খেয়েছিল। আমি যদিও কাঁঠাল খেতে তেমন একটা পছন্দ করি না তবে পরিবারের মানুষের সাথে অবশ্যই খেতে হয়, তা নাহলে কেমন দেখায় তাই দুই কোস কাঁঠাল খেয়ে নিয়েছিলাম। ছেলেদের স্কুল বন্ধ তাই তাদেরকে নিয়ে তেমন একটা প্যারা ছিল না। তাদেরকে সকালের খাবার খাইয়ে দিয়েছিলাম, তবে ছোট ছেলের শরীরটা তেমন একটা ভালো নেই। অতিরিক্ত জ্বর বৃষ্টিতে ভিজে এই জ্বর এসেছে। যত বলি বৃষ্টিতে না ভেজার জন্য তারা আমার কথা শোনে না, তারা তাদের মত করে চলতে পছন্দ করে।
যাইহোক তাদেরকে খাওয়া-দাওয়া খাওয়ানোর পর আমি নিজেও খাবার খেয়ে চলে গিয়েছিলাম রান্না করার জন্য। রান্নাঘরে গিয়েছি সাথে সাথে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে তারপর রান্নাঘরে বসে রান্না টা শেষ করে নিলাম। রান্না শেষ করা হয়ে গেলেও বৃষ্টি বন্ধ হয়নি তাই ভিজে ভিজে ঘরের মধ্যে সমস্ত জিনিস নিয়ে আসলাম। তারপর গিয়ে গোসল করে জোহরের নামাজ আদায় করে নিয়েছিলাম। এরপর সবাইকে দুপুরের খাবার দিলাম, সবাই যে যার মত করে খাবার খেয়ে নিল। আমিও ছোট ছেলেকে খাবার খাইয়ে দিয়ে ঔষধ খাইয়ে দিলাম, এরপর আমি নিজেও খাবার খেয়ে ওষুধ খেয়ে নিয়েছিলাম।
![]() |
---|
এরপর কিছুটা সময় অনলাইনে ঘোরাঘুরি করলাম ইউটিউবে কিছুক্ষণ ভিডিও দেখলাম। তারপর কখন ঘুমিয়ে পড়েছে নিজেও জানিনা ঘুম থেকে উঠে দেখি বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। নিজের আরও কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করে নিয়েছিলাম। তারপর ছোট ননদের সাথে কিছুক্ষণ গল্প করেছিলাম। ছোট ননদ অনলাইনে একটা জিনিস অর্ডার করেছিল, সেটা চলে আসলো। এরপর আমি বাড়ির গেটের সামনে গিয়ে সেলসম্যান এর কাছ থেকে জিনিসটা নিয়ে টাকা পরিশোধ করে, তারপর বাড়িতে চলে আসলাম।
![]() |
---|
একটু পরেই মাগরিবের আজান দিল, হাঁস-মুরগি গুলোকে তাদের ঘরে রেখে আমি নিজেও অজু করে ঘরে চলে আসলাম। এরপর নামাজ পড়ে ছেলেদের কে নিয়ে পড়তে বসলাম। ওদের পড়া শেষ হয়ে গেলে আমি ওদেরকে রাতের খাবার খাইয়ে দিলাম। আমি নিজেও রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়েছিলাম। আর এভাবেই আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন অতিবাহিত করলাম।
একদমই ঠিক কথা বলেছেন সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে যাদের হাঁটাহাঁটি করা অভ্যেস তাদের হাঁটাহাঁটি না করলে একদমই ভালো লাগেনা। তবে এখন বর্ষাকালে কখনো বৃষ্টির আবার কখনো রোদ। চারিদিকে একসাথে হাঁটাহাঁটি করতে একদম ইচ্ছে করে না। তবে বৃষ্টির কারণে চারিদিকে সত্যিই দুর্গন্ধ বের হই। সকাল বেলায় কাঁঠাল ভেঙে খেয়ে নিয়েছেন কাঁঠাল আমার ভীষণ প্রিয় আপনার থালায় কাঁঠাল ভাঙা দেখে আমারও খেতে ইচ্ছে করছিল। এরপরে বাড়ির সমস্ত কাজকর্ম সেরে নিয়েছেন। সারাদিনের কাজকর্ম শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমাদের যাদের হাটাহাটি করার অভ্যাস রয়েছে তারা কিন্তু হাটাহাটি না করলে খারাপ লাগে এটা একেবারেই বাস্তব তবে বৃষ্টির কারণে আসলে চারপাশটা ঘুরে ভালো ভাবে দেখা হয় না। অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ার কারণে চারপাশ একেবারেই কেমন যেন হয়ে যায় খুব খারাপ লাগে। আপনার কাঁঠাল খেতে ইচ্ছে করছে তাহলে কিনে নিয়ে খেয়ে নেন আসলে আমার পক্ষে তো আপনাকে দেয়া সম্ভব না যদি সম্ভব হতো তাহলে দিয়ে আসতাম যাই হোক অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য ভালো থাকবেন।