Better Life With Steem || The Diary game || 03 April 2025 ||

in Incredible India2 months ago
IMG_20250403_075653_723.jpg

IMG_20250403_075651_342.jpg

আমাদের কল্পনার জগৎটা অনেক বেশি সুন্দর। কারণ ওখানে আমাদেরকে কেউ কষ্ট দিতে পারে না। যারা কষ্ট দিবে তাদের কেউ নিজের মতো করে কল্পনা করে নেই। তারাও ভালো মানুষ তারাও আমাদেরকে অনেক বেশি ভালোবাসে। কল্পনার জগতের মত যদি বাস্তব জগৎটা হত তাহলে কতই না ভালো হতো তাই না। জীবনের প্রতিটা মুহূর্তে ভালো থাকবো এটা আমি কখনো চিন্তা করি না। কারণ আমার কাছে মনে হয় সুখ দুঃখ সব কিছু মিলিয়ে আমাদের জীবন। তারপরেও আমরা কেন যেন কিছু একটা মায়া করে এ পৃথিবীর মানুষ গুলোকে নিজের থেকেও অনেক বেশি বিশ্বাস করে ফেলি। নিজের থেকেও অনেক বেশি ভালোবাসি। তাই তারা হাজারো কষ্ট দেয়ার পরেও, তাদের কাছে থাকতেই কেমন যেন ভালো লাগে।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় যখন ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে যায়। তখন আমরা চেষ্টা করি সে সম্পর্কটাকে ভেঙে ফেলতে। কিছু কিছু মেয়েদের ক্ষেত্রে দেখেছি সন্তান হওয়ার পরেও তারা তাদের সামান্য ভুল বোঝাবুঝি, কিংবা সংসারের সমস্যার কারণে। তাদের সম্পর্কটা ভেঙে দেয় এতে করে দেখা যায় তারা দুইজন পরবর্তী সময়ে ভালো থাকে। কিন্তু যে সন্তানটা তাদের ভালোবাসার কারণেই পৃথিবীতে এসেছে। সেই সন্তানের এই পৃথিবীতে থাকাটা অনেক বেশি কষ্টকর হয়ে যায়। তবে আমাদের ধর্মে রয়েছে যদি কোন মেয়েই সংসারের যন্ত্রণা সহ্য করার পরেও, নিজের সন্তান গুলোকে নিয়ে এ পৃথিবীতে কষ্ট করে যেতে পারে। তার জন্য আল্লাহ তাআলা ভালো কিছু রেখেছেন পরকালে।

IMG_20250403_075645_779.jpg

IMG_20250403_075643_556.jpg

আপনি সমাজে একটু ঘুরাঘুরি করলেই দেখতে পাবেন। এমন হাজারো মেয়ে আছে শুধুমাত্র সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে, সংসারের কষ্ট স্বামীর কষ্ট পরিবারের প্রতিটা মানুষের কথা মুখ বুঝে সহ্য করে নিচ্ছে। কারণ তারা চিন্তা করে তারা যদি সংসার ভেঙে দেয়। তাহলে তাদের সন্তানগুলো পথে নেমে আসবে। আমার কাছে মনে হয় প্রতিটা মায়ের মনে এই ধরনের চিন্তাভাবনা হওয়া উচিত। অন্তত পক্ষে যেন সন্তানের জন্য হলেও নিজেরা একটু কষ্ট করা। তবে হ্যাঁ অতিরিক্ত কষ্ট সহ্য করা কারোর পক্ষে সম্ভব না। তবে যদি সহ্য করা যায় তাহলে পরবর্তী জীবনে ভালো কিছু আশা করা সম্ভব। আলহামদুলিল্লাহ নতুন একটা সকালের দেখা পেয়ে খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু কাজের পরিমাণ এতটাই বেড়ে গেছে, একটু পানি খাওয়ার সময়টা ও কপালে জোটছেনা।

কিছুই করার নেই ঘুম থেকে উঠে কাজ করতে করতে কখন যে ৯:০০ টা বেজে গেল বুঝতেও পারলাম না। তারপর তাড়াতাড়ি গিয়ে কবুতর গুলোকে খাবার দিলাম পানি দিতে ভুলে গিয়েছিলাম। এরপর আবার নিচে এসে তাদের জন্য পানি নিয়ে উপরে গেলাম। গরমে এমনিতেই আমার অবস্থা খারাপ। তারপরে এতবার ছাদে উঠানামা করা আরো কষ্টকর। যাইহোক তারপর এসে মুরগির বাচ্চা গুলোকে খাবার দিয়ে রান্না বান্নার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। সকাল থেকে কিছু না খাওয়ার কারণে হঠাৎ করেই মাথাটা ঘোরানো শুরু হয়ে গেল। তাই ঘরে এসে এক পিস পাউরুটি খেয়ে নিয়েছিলাম। এরপরে আবারো রান্নাবান্নার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। রান্না বান্না করতেই আমার দুপুর সাড়ে বারোটা বেজে গেল।

IMG_20250403_075640_896.jpg

তারপর সবকিছু ঘরে গুছিয়ে নিয়ে আসলাম। এরপর গোসল করে এসে নামাজ পড়ে সবাইকে দুপুরের খাবার দিয়ে দিলাম। আজকেও মেহমান আছে হয়তোবা আগামী কালকে ও থাকবে। যাইহোক সবার দুপুরের খাবার শেষ হলে আমি থালা বাসন গুলো কল পাড়ে নিয়ে সুন্দরভাবে পরিষ্কার করে নিয়ে আসলাম। তারপর একটু শুয়ে পড়েছিলাম, শরীর অনেক বেশি ক্লান্ত। একটু পরেই ছোট ননদ বলে উঠল তারা পার্কে ঘুরতে যাবে, আমাকেও রেডি হওয়ার জন্য। কিন্তু আমার শাশুড়ি বলল যাওয়ার দরকার নেই। এমনিতেই অনেক গরম তার উপরে যদি ওখানে যায় তাহলে আমার অবস্থা আরো বেশি খারাপ হয়ে যাবে। তাই আমিও বলে দিলাম আমার পক্ষে যাওয়া সম্ভব না।

এরপরে তারা যে যার মত করে রেডি হয়ে ঘুরতে বের হয়ে গেল। আমি আমার ছেলেদেরকে নিয়ে ঘরের মধ্যে শুয়ে থাকলাম, কিছুক্ষণ শুয়ে থাকার পর মনে হল ছাদে আমার কিছু কাজ আছে সেগুলো সম্পন্ন করতে হবে। তাই প্রথম অবস্থায় ছাদে গিয়ে নিজের কাজগুলো সম্পন্ন করে নিলাম। কাজ করতে করতে আসলে সন্ধ্যা হয়ে গেল তারপরে কবুতর গুলোকে তাদের ঘরে রেখে নিচে নেমে আসলাম।। এরপর মুরগির বাচ্চাগুলোকে ঘরে রেখে আমি যখন ওই ঘরে তালা দিয়েছিলাম। তখন দেখলাম সবাই এক এক করে বাড়ির দিকে ঢুকছে।

IMG_20250403_075649_648.jpg

IMG_20250403_075647_389.jpg

একটু পরেই হবে ভাই আজান দিল তারপর নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকলাম। আসলে কোন কাজ করতে আর ভালো লাগছে না। প্রচন্ড গরম তার ওপর কাজ করতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা। একটু পরে আবার ননদের জামাইকে চা করে দিলাম। সবার জন্য সন্ধান নাস্তা তৈরি করলাম। এইসব করতে করতেই এশার আযান দিয়ে দিল। তারপর নামাজ পড়ে এসে কিছুক্ষণ বসে রইলাম।

এদিকে কারেন্ট নেই কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। বাহিরে গিয়ে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলাম, বাহিরে ও তেমন একটা ঠান্ডা নেই এত পরিমানে গরম পড়া শুরু হয়েছে মানুষের জীবন একেবারে অতিষ্ট হয়ে গেছে। এরপর কারেন্ট চলে আসলো তারপর আমি সবাইকে রাতের খাবার দিয়ে দিলাম এবং সবাইকে খাবার খাওয়ার জন্য ডাক দিলাম। সবাই নিজের মতো খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল। আমিও এসে শুয়ে পড়েছিলাম। আর এভাবেই আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।

Sort:  
Loading...
 2 months ago 

আজকের পোষ্টের মাধ্যমে অনেক বাস্তবতা কিছু কথা আপনি উল্লেখ করেছেন। এমন মানুষ হাজার হাজার দেখা যায় এখন বর্তমান সময়ে। অনেকটা সংসারে দেখা যায় নারীরা অত্যাচারী হচ্ছে এবং অনেকটা সংসারে দেখা যায় ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। তবে কিছু কিছু সংসারে এখন বেশির ভাগ দেখা যায় পরকীয়া। জানিনা আমার এই কথার সাথে কে কে সহমত হবে তবে এটাই বাস্তব। যার জন্য হাজারো মানুষের সংসার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং সন্তানদের কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে। একটি বাবা এবং একটি মা নিজেদের মতো করে বেঁচে আছে কিন্তু কষ্ট গুলো শুধু সহ্য করে যাচ্ছে সন্তান গুলো। আপনার ওপরের কিছু লাইন সত্যি আমার মন ছুঁয়ে গেছে ভালো লাগলো আপনার লেখাটি দেখতে পেলে।

 2 months ago 

আপনার সাথে অবশ্যই আমি সহমত পোষণ করব পরকীয়া খুবই জঘন্য একটা কাজ তারপরেও বর্তমান সমাজের নারী পুরুষ দুইজন উভয়ে এটার প্রতি অনেক বেশি লিপ্ত সন্তান থাকার পরেও নিজের স্বামীকে ছেড়ে অন্য পুরুষের সাথে পরকীয়া করে আবার কিছু কিছু দেখা যায় সন্তান স্ত্রী থাকার পরেও কিছু পুরুষ নিজের পরিবার রেখে অন্য নারীটা মোটেও ঠিক না আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।