"মিলাদ"
![]() |
---|
আমরা কোন কিছু মানি আর না মানি এ পৃথিবী থেকে আমাদেরকে চলে যেতে হবে। এটা আমাদেরকে বিশ্বাস করতেই হবে। আমাদের জীবনের এক সেকেন্ডের কোন ভরসা নেই। আমি এখন আমার লেখা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। কিছুক্ষণ পরে আমি এই পৃথিবীতে থাকবো কিনা সেটা আমি নিজেও জানিনা। আপন মানুষগুলোর চলে যাওয়ার পর সত্যিই এই পৃথিবীতে এখন অসহায় মনে হয়। মনে হয় তারা থাকতে আমরা তাদের মূল্য সঠিকভাবে দিতে পারিনি। তাই হয়তো বা তারা অভিমান করেই আমাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে, পরকালে চলে গেছে। তারপরেও আল্লাহর কাছে দোয়া করি তারা যেন ভালো থাকে।
অনেকদিন থেকে একটা প্ল্যান করছিলাম। তবে সবাই এত বেশি ব্যস্ত তাই দিন তারিখ কখনোই ঠিক করতে পারছি না। আসলে প্ল্যান বললে ভুল হবে আর বড় খালাম্মার জন্য একটা মিলাদ এবং দোয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। টাকা ম্যানেজ করা মোটামুটি কমপ্লিট হলেও সবার সময় ম্যানেজ করাটা অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। ঈদের আগের দিন সকাল বেলা সবাই গ্রুপ কলে কথা বলে নিয়েছিলাম। কখন কিভাবে কি করা যায়। যে সিদ্ধান্ত সেই কাজ আমরা গতকালকেই সেই কাজটা কমপ্লিট করেছি। আসলে আমরা এতটাই ব্যস্ত যারা আমাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেছে, তাদের জন্য আমরা একটু সময় বের করতে পারি না।
![]() |
---|
তারপরেও আমার মনে হয় কিছুটা সময় তাদের জন্য ব্যয় করা উচিত। কারণ তারাও তো আমাদের জন্য অনেক কিছু করে গেছে। গতকালকে সকালবেলা আমার বাসায় মেহমান ছিল। এরপর তাদেরকে সকালের নাস্তা খাইয়ে দিয়েছিলাম। সবাই যে যার মত করে বাড়িতে চলে গেছে। এরপর আমি সকালবেলায় রান্না করে নিয়েছিলাম, কারণ আমাকে একটু পরেই আমার বড় খালার বাড়িতে যেতে হবে। আগে থেকেই যেহেতু সবকিছু ঠিক করা ছিল। তাই খালাতো বোনেরা আগে থেকেই বাজার এবং সবাইকে দাওয়াত করা কমপ্লিট হয়ে গেছে। আমি গিয়ে দেখলাম মোটামুটি বাজার চলে এসেছে। সবাই যে যার মত করে কাজ করতে ব্যস্ত, এরপর আমি নিজেও কাজ করার জন্য রেডি হয়ে গেলাম।
একটু পরেই হুজুররা আসলো আসলে কোরআন খতম করানোর কথা ছিল। তারপর হুজুররা এসে ঘরে বসে কোরআন খতম করে নিলেন। তারপর ওনাদের জন্য নাস্তা রেডি করে উনাদের কে নাস্তা দিয়ে দিলাম। এরপর রান্নাবান্নার কাজ মোটামুটি শেষ হতে সাড়ে বারোটা বেজে গেল। আমরা সবাই গোসল করে রেডি হয়ে ঘরে চলে আসলাম। তারপর প্রথম অবস্থায় হুজুর এবং মাদ্রাসার কিছু এতিম বাচ্চাদেরকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছিলাম। তাদের খাওয়া শেষ হয়ে গেলে, আমাদের বেশ কিছু আত্মীয়-স্বজন ছিল তাদেরকেও মোটামুটি আপ্যায়ন করার চেষ্টা করেছিলাম।
![]() |
---|
![]() |
---|
আসলে আমরা এই মিলাদ চেষ্টা করেছিলাম রমজানের সময় করার জন্য। কিন্তু প্রচণ্ড গরম আর সবার ব্যস্ততা বিশেষ করে আমি নিজেও অনেক বেশি ব্যস্ত ছিলাম। যার কারণে আর করা হয়ে ওঠেনি, তবে কি বলবো গতকালকে ও এত পরিমাণে গরম পড়েছে যেটা বলে বোঝানো সম্ভব না। যাইহোক আত্মীয়-স্বজন সবার খাবার শেষ হয়ে গেলে আমরা পারিবারিকভাবে যে কয়েকজন ছিলাম। সবাই এক টেবিলের মধ্যে খেতে বসেছিলাম আর আমার বড় খালাম্মা কে অনেক বেশি মিস করছি। সময়টা কত নিষ্ঠুর তাই না, দেখতে দেখতে তিনটা বছর পার হয়ে গেল। সময় কত দ্রুত চলে যায় আমাদের কাছ থেকে তার পরেও আমরা বুঝতে পারি না। আপন মানুষের কদর করতে জানিনা। সবাই আমার বড় খালাম্মার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহতালা যেন উনাকে পরকালে ভালো রাখে। আলহামদুলিল্লাহ আমাদের মিলাদ কমপ্লিট হয়েছে। বিকেল বেলা আবার বাড়িতে চলে এসেছিলাম। সবাই ভালো থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
Congratulations
This post has been curated by
Team #5
@mikitaly
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য আপনাদের সাপোর্ট আমাদেরকে নতুন করে কাজ করতে উৎসাহ দিয়ে থাকে ভালো থাকবেন।
সর্বপ্রথম আপনার খালাম্মার জন্য দোয়া রইল সৃষ্টিকর্তা তাকে জান্নাতবাসী দান করুক এটাই প্রার্থনা করি। আসলে আমাদের এই জীবনে এক সেকেন্ডের কোন ভরসা নেই কে কখন এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবে সেটা আমরা কেউ বলতে পারি না। আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন মাঝে মাঝে মনে হয় আপন মানুষদের সাথে অভিমান করে তারা আমাদেরকে ছেড়ে চলে গিয়েছে। আসলে জন্ম যেমন সত্য মৃত্যুও তেমন সত্য এটা আমরা কেউ ঠেকাতে পারবো না। যাইহোক আপনারা সবাই একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে আপনার খালাম্মার জন্য দোয়ার অনুষ্ঠান করেছেন এটা দেখে ভালো লাগলো।
কথায় বলে জন্ম মৃত্যু বিয়ে তিন বিধাতা নিয়ে যে কিছুই হোক না কেন আমাদের মৃত্যুর উপর অবশ্যই বিশ্বাস রাখতে। আমাদের জন্ম যেমন হয়েছে আমরা এই পৃথিবী থেকে আবার বিদায় নিয়ে চলে যাব এটাই স্বাভাবিক সবাই আমাদেরকে অভিমান করে না আসলে যারা চলে যায়। তাদের জন্য আমাদের অবশ্যই দোয়া করতে হবে তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।