বন্ধুর সাথে চা খেতে যাওয়া!😋
![]() |
---|
নমস্কার বন্ধুরা,,,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক বেশি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। কিছু দিন আগে গিয়েছিলাম মাসিদের বাড়ি বেড়াতে। মাসিদের বাড়ি যেয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার মজাই আলাদা।
সেদিন বিকেল বেলা, আকাশে মেঘের আনাগোনা ছিল কিছুডা। মনটা ছিল একদম চঞ্চল। এমন সময় সাগর ফোন দিয়ে বলল, আজকে বিকেলে একটু বের হবি? মাসিদের বাড়ির পাশের চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দেই। ওর আর আমার মাসির বাড়ি কাছাকাছি।
![]() |
---|
আমিও ভাবলাম, বেশ অনেকদিন তো ওখানে যাওয়া হয়নি। তাই তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে বের হয়ে পড়লাম। পথের ধারে কাগজ ফুলের গাছে ফুল ফুটে থাকতে মন ভরে গেল। সাগরের মাসির বাড়ির কাছে পৌঁছে দেখি ও আমার জন্য রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে।
চল, দেরি না করে দোকানে যাই, সাগর বলল। দোকানে পৌঁছেই দেখি, পুরনো বাঁশের বেঞ্চগুলো এখনো আগের মতোই আছে। চায়ের দোকানটা ছোট হলেও এখানকার পরিবেশটা ছিল বেশ পরিচিত আর আপন। দোকানের মামা আমাদের দেখেই হাসিমুখে বলল, আরেহ, তোমরা যে কতদিন পর আসলে! আজ কী চা দেবো? আমরা মাসিদের বাড়ি গেলে এখানে চা খেতে আসি।
![]() |
---|
সাগর বললো দু কাপ রঙ চা আর সঙ্গে বিস্কুট দিবেন। আমি আর সাগর বেঞ্চে বসে পড়লাম। আশপাশের মানুষজনের কথাবার্তা আর রিকশার শব্দের মাঝে আমাদের কথা যেন হারিয়ে যাচ্ছিল। আমরা নানা বিষয় নিয়ে আড্ডা দিতে শুরু করলাম - ক্লাসের মজার ঘটনা, স্কুলের পুরোনো বন্ধুদের কথা, ভবিষ্যতের পরিকল্পনা ইত্যাদি বিষয়।
![]() |
---|
চা এসে গেল। মামা নিজের হাতে তৈরি করা রঙ চা টেবিলের ওপর রাখলেন। চায়ের কাপ থেকে ভাপ উঠছে, আর সেই মন মাতানো গন্ধ যেন মাথায় ঝিম ধরিয়ে দিচ্ছে। চায়ের সাথে বিস্কুট মিশিয়ে খেতে খেতে আমাদের কথা যেন শেষই হচ্ছে না।
সাগর হঠাৎ বলল, এই দোকানে এসে বসলে পুরোনো দিনের কথা সব মনে পড়ে যায়। কারণ আমার ছোট বেলা থেকেই এখানে আসি। আমরা যখন ক্লাস নাইন-টেনে পড়তাম, তখন স্কুল ছুটি পেলে মাসির বাড়ি আসলে প্রায় প্রতিদিন বিকেলেই এখানে আড্ডা দিতে আসতাম।
আমি হাসলাম। হ্যাঁ রে, সেই দিনগুলো তো একদম আলাদা ছিল। পড়াশোনার চাপ কম ছিল, দুশ্চিন্তা কম ছিল। শুধু আড্ডা আর হাসি-তামাশায় দিন কাটত।
![]() |
---|
কথার মাঝে কখন যে সন্ধ্যা নেমে এসেছে, টেরই পাইনি। দোকানের চারপাশে আলোর কম্পিত রেখা, আর দোকানের সামনে দিয়ে লোকজনের আসা-যাওয়া যেন একটা অন্যরকম পরিবেশ তৈরি করেছে।
চা শেষ করে আমরা উঠে দাঁড়ালাম। মামাকে টাকা দিয়ে বিদায় নিলাম। সাগর বলল, এমন আড্ডা আবার বসতে হবে, আগের মতোই।
আমি বললাম, অবশ্যই। এই দোকান আর আমাদের আড্ডা কখনো পুরোনো হবে না।
আমরা ধীরে ধীরে হাঁটতে হাঁটতে বাড়ির পথ ধরলাম। সেদিনের সেই আড্ডার আনন্দ আর চায়ের স্বাদ যেন মনের ভেতরে গেঁথে রইল।
সমাপ্ত |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এখন আবহাওয়া সত্যিই ভীষণ খারাপ। কখন রোদ উঠছে কখনো বা বৃষ্টি। ছোট থেকে বড় সকলেরই ঘরে থাকতে মন একদমই চাইছে না। আপনিও বিকেল বেলায় বন্ধুর সাথে চা খেতে গিয়েছিলেন। তবে বসন্তকালে এখন চারিদিকেই সুন্দর সুন্দর গাছ ভর্তি কাগজ ফুল ফুটে থাকতে দেখা যাচ্ছে দেখতে অপূর্ব লাগছে। ছোটবেলায় স্কুলে পড়া কালীন সকলেরই কিছু না কিছু স্মৃতি থেকেই যায়। আপনারও আপনার বন্ধুর সাথে ছোটবেলার মাসির বাড়িতে গেলে রোজ আড্ডা দিতে যেতেন। বন্ধুর সাথে সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।