শৈশবের ভালো লাগা কিছু জিনিস!🥰
![]() |
---|
Hello Everyone,,,
শৈশবের ভালো লাগা জিনিসগুলো আজও মনকে প্রশান্তি দেয়। তাই না.? শৈশবের দিনগুলোতে ভালো লাগা জিনিসগুলোর কথা মনে পড়লে এখনো মনটা ভরে ওঠে। তখনকার দিনগুলো ছিলো একদম নির্ভেজাল আনন্দের। স্কুলের গণ্ডি আর বাড়ির ছোট্ট উঠোনেই সীমাবদ্ধ ছিলো আমার পৃথিবী। সেই পৃথিবীর প্রতিটা কোণায় লুকিয়ে ছিলো ছোট ছোট ভালো লাগা। এই স্মৃতিগুলোই জীবনের রঙিন অধ্যায়, যা কখনোই ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়।
প্রথমেই বলি খেলাধুলার কথা। বিকেল নামলেই পাড়ার সব বন্ধুরা মিলে খেলতে বের হতাম। ক্রিকেট, ফুটবল, কানামাছি, বৌছি - কি না খেলেছি! বৃষ্টির দিনে ভেজা মাঠে ফুটবল খেলার আনন্দটাই ছিলো আলাদা। মায়ের বকুনি সত্ত্বেও ভেজা কাপড়ে বাড়ি ফিরে আসা যেন ছিলো রুটিনের অংশ। খেলাধুলার এই স্মৃতিগুলো আজও মনে দারুণ একটা উষ্ণতা এনে দেয়।
![]() |
---|
তারপর ছিলো গল্পের বই পড়ার নেশা। রূপকথার বই গুলো ছিলো আমার প্রিয়। প্রতিদিন স্কুলের কাজ শেষ করে বই নিয়ে বসে যেতাম। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলো ছিলো বইয়ের জগতে হারিয়ে যাওয়ার সেরা সময়।
শৈশবের আরেকটা প্রিয় জিনিস ছিলো গ্রাম্য পরিবেশের বিশুদ্ধ বাতাস, খাল-বিলের ধারে হাঁটা, গাছ থেকে আম কুড়িয়ে খাওয়া—সবকিছুই ছিলো মনমুগ্ধকর। রাতের বেলা কেরোসিনের আলোয় দাদুর গল্প শোনা ছিলো যেন রূপকথার বইয়ের পাতা উল্টানোর মতোই রোমাঞ্চকর।
![]() |
---|
মজার খাবারের কথাও না বললেই নয়। মায়ের হাতে বানানো পিঠা, ঠাকুরমার বানানো মিষ্টি আর মেলায় পাওয়া রঙিন চটপটি—সবই ছিলো আমার ভালো লাগার তালিকায়। বিশেষ করে শীতকালের পিঠা-পুলি খাওয়ার আনন্দ ছিলো অসাধারণ।
বন্ধুদের সঙ্গে ঘুড়ি ওড়ানো ছিলো আরেকটা মজার বিষয়। আকাশে উড়তে থাকা রঙিন ঘুড়ি দেখে মনে হতো যেন আমার সব ইচ্ছে ওড়ার স্বাধীনতা পাচ্ছে। ঘুড়ি কেটে গেলে সেই আনন্দ যেন দ্বিগুণ হয়ে যেত।
![]() |
---|
ছোটবেলার ভালো লাগার জিনিসগুলোর মধ্যে পরিবার ছিলো সবচেয়ে বড় আশ্রয়। মা-বাবার স্নেহ আর দাদু-দিদার আদর ছিলো অমূল্য। সেই ছোট্ট ঘরটায় নিরাপত্তার যে অনুভূতি ছিলো, সেটা কোনো কিছু দিয়েই মাপা সম্ভব নয়।
শৈশবের দিনগুলো সত্যিই ছিল এক অবিশ্বাস্য রঙিন স্বপ্নের মতো। সেই দিনগুলোতে ছোট্ট ছোট্ট বিষয়ও ছিল অনেক আনন্দের উৎস। আজও যখন শৈশবের কথা মনে পড়ে, তখন মনে হয় যেন সেই স্মৃতিগুলো মনের গভীরে এক উজ্জ্বল আলোকরশ্মি হয়ে আছে।
![]() |
---|
আজকের বাস্তবতার চাপ আর দায়িত্বের ভারের মধ্যে দাঁড়িয়ে সেই ছোটবেলার ভালো লাগাগুলোকে মনে করে মাঝে মাঝে মনের ভেতরটা খালি হয়ে যায়। তবে সেসব মধুর স্মৃতি যেন সবসময় একধরনের প্রশান্তি এনে দেয়।
যাই হোক, আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই অনেক ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
শৈশবের স্মৃতি আমাদের জন্য অনেক বেশি হৃদয়বিদারক যে বিষয়গুলো আমরা কখনই ভুলে থাকতে পারবো না বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে ব্যস্ততা এমনভাবে আমাদেরকে ঘিরে ধরেছে শৈশবের কথা একেবারে ভুলে থাকার মতো তবে আজকে আপনার পোস্ট পরিদর্শন করে আবারও শৈশবের বেশ কিছু স্মৃতি আমার চোখের সামনে ফুটে উঠলো অসংখ্য ধন্যবাদ শৈশবের স্মৃতি আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য ভালো থাকবেন।