The June contest #1 by sduttaskitchen|Train your brain!

in Incredible India10 days ago

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারোকাতুহ।



আজকে চলে আসলাম আপনাদের মাঝে আমাদের এডমিন ম্যাম কর্তৃক আয়োজিত জুন মাসের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। তিনি তার দক্ষতা আর বিচক্ষণ বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে বর্তমান সময়ের মানুষের দক্ষতা উন্নয়ের একটা ধাপ হিসেবে আজকের বিষয়টা বিবেচনা করেছেন বলে আমি মনে করি৷ কারণ, যদি গাছের শিকরই না থাকে তাহলে গাছ থেকে কোন কাজ নাই, ঠিক তেমন যদি আমাদের মস্তিষ্কের কাজ করার, চিন্তা করার ক্ষমতা না থাকে, তাহলে শরীর বা মাথা দিয়ে তেমনই কোন কাজ নাই। আশা করি আপনারা সবাই এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন। আমি প্রতিযোগিতার লিংকটা নিম্নে দিয়ে দিলাম।

1000001017.jpg

ছবির উৎস

অংশগ্রহণের মাধ্যম

আমি আমার কিছু বন্ধু এবং সহপাঠীদেরকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। তারা হলেন @mou.sumi,,, @sifat421,,,@tammanna.

মোটামুটি আমি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের নিয়ম কানুনগুলো মেনে চললাম। এবার আমার মূল বক্তব্য আশা যাক। আগেই আপনাদেরকে একটা কথা বলে রাখি, আমি আমার মতো করে বিষয়টাকে সাজানোর চেষ্টটা করব আপনাদের মতের সাথে নাও মিলতে পারে এজন্য কেউ বিরক্তিবোধ করবেন না🙏🙏।

প্রথমে জেনে নেওয়া যাক মস্তিষ্ক আসলে কি? এর কাজই বা কি?

1000001018.jpg

ছবির উৎস

প্রথমেই বলে মস্তিষ্ক ছাড়া পৃথিবীর কোন মানুষ কল্পনা করলে সেটা কোন মানুষ হতে পারে না। মস্তিষ্ক হলো সৃষ্টিকর্তার দেওয়া মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় একটা নেয়ামত। যাকে কাজে লাগিয়ে পৃথিবীর শুরু লগ্ন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত মানুষ নতুন নতুন সব আবিষ্কার করে চলেছে। নিজেকে পৌছে নিয়েছে চাঁদে। মস্তিষ্ক মূলত আমাদের চালিকা শক্তি। যার সাহায্যে আমরা আমাদের যাবতীয় কাজের দিক নির্দেশনা দিয়ে থাকি, এবং আমাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো সেই অনুযায়ী পরিচালিত হয়। তার মাঝে বোঝা গেল, মস্তিষ্ক ছাড়া আমাদের অন্য অঙ্গগুলো চলতে পারে না। সুতরাং মস্তিষ্কের গুরুত্ব অপরিসীম। এবার আসুন এর কাজ জানা যাক। ধরুন, আপনে আপনার হাত দিয়ে কলম ধরে লিখতে যাবেন বা লিখা শুরু করবেন, এটা কিভাবে করতে হবে কোন হাত দিয়ে কলম ধরতে হবে, কেন হাত দিয়েই ধরতে হবে পা কেন ব্যবহার করা যাবে না, তার সকল দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকে মস্তিষ্ক। মোট কথা যার যেখানে দরকার মস্তিষ্ক তাকে সেখানে কাজে লাগিয়ে দেয় বা নির্দেশনা দেয়। কিন্তু এখানে কিছু কথা আছে, আপনে আপনার দৈনন্দিন জীবনের কিছু রুটিন মেনে মস্তিষ্ককে টেনিং দিতে পারেব। আমাদের মস্তিষ্ক আমরা যা করব সেটা সেভ করে রাখে, তারপর সেই অনুযায়ী কাজ করে থাকে। চলুন এবার কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যাক।

1000001015.jpg

How do you glance at the word Train your Brain? Explain!

1000001015.jpg

সত্যি, বলতে প্রশিক্ষণ ছাড়া কেউ দক্ষ হতে পারে না। সেটা হোক মস্তিষ্ক বা মানুষ বা কোন প্রাণী৷ আপনে যখন নিদিষ্ট নিয়ম মেনে রুটিন অনুযায়ী কোন কাজ করবেন, সেটা অনেক সুন্দর ভাবে সম্পূর্ণ হয়ে থাকে। নিয়মের বাইরে কেন কিছুই নয়। পৃথিবীর সকল কিছুই নিয়ম মেনে চলে। যদি প্রশিক্ষণটা মস্তিষ্কের হয়, তাহলে কেমন হয়। আসলেই এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনার শরীরের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটা যদি নিয়ন্ত্রণ না করেন বা নিয়ম মেনে পরিচালনা না করেন, তাহলে সেটা আপনার হাতের নাগালের বাইরে চলে যাবে। এজন্য "আপনার মস্তিষ্ককে প্রশিক্ষণ দিন" শব্দটা যুক্তিসঙ্গত। আমাদেরকে সব সময় মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে হবে যার জন্য প্রয়োজন মস্তিষ্ককে প্রশিক্ষণ দেওয়া। আপনাদেরকে আমার জীবনের একটা গল্প বলি:-

ছোট বেলা থেকেই আমি চেষ্টটা করেছি নিজের খরচগুলো জেগার করার জন্য। বিশেষ করে আমি সপ্তম শ্রেণীতে থাকা অবস্থায় থেকে ছোট ছাত্রদের পড়াতাম। বাসায় ব্যাচ করে পড়াতাম। যেই অর্থ দিয়ে আমি আমার পড়াশুনার খরচ বাড়ী থেকে না নিয়ে নিজেই দিতাম। যেই বয়সে সবাই খেলাধুলা পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত থাকে সেই সময়ে আমি আমার মস্তিষ্ককে প্রশিক্ষণ দিয়ে সময় বের করে ছাত্র পড়ায়ে বাড়তি আয়ের সুযোগ বের করেছিলাম। আমি যদি সময়টা হেলায় ফেলায় কাটিয়ে দিতাম তাহলে হয়ত সময় চলেই যেতো। আমি পরবর্তী সময়েও এবং বর্তামানেও নিজেও পড়াশুনার খরচ আমি নিজেই বহন করি। এটা থেকে প্রমাণিত আমরা ইচ্ছা করলেই আমাদের মস্তিষ্ককে প্রশিক্ষণ দিয়ে আমাদের নিজেদের মতো করে পরিচালিত করতে পারি। আমি ডিপ্লোমাতে পড়ার সময় নিজে তিন জায়গায় প্রাইভেট পড়তাম, আমি নিজে দুইটা ব্যাচ পড়ায়, দুইটা বাসায় গিয়ে পড়াতাম এবং নিয়মিত কলেজ এবং স্টিমিটে কাজ করতাম। তবুও কখনও ক্লান্তি আসত না। যেখানে আমার বন্ধুরা শুধু ক্লাস করে আর প্রাইভেট পরেই সময় পার করে দিত। সেখানে আমি সকল দিকে খেয়াল রেখে চলতাম। আমার রেজাল্টও তাদের থেকে ভালো ছিল।

যাই হোক, আসলে উদ্দেশ্যে আমার গুনগান গাওয়া না। মূলত আপনাদেরকে বোঝানোর চেষ্টটা করলাম, আমরা চাইলেই আমাদের মস্তিষ্ককে প্রশিক্ষণ দিতে পারি।

1000001015.jpg

Do you believe the way we train ourselves our brains react accordingly; Justify.

1000001015.jpg

1000001019.jpg

ছবির উৎস

হ্যা অবশ্যই আমি বিশ্বাস করি আমরা যেভাবে নিজেদেরকে প্রশিক্ষণ দেয় আমাদের মস্তিষ্ক সেই অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া দেখায়। কথায় বলে অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। আপনে যখন মস্তিষ্ককে দিয়ে সঠিক কাজ করাবেন না, তখন আপনার মাথায় সব সময় আজে বাজারে চিন্তা ভাবনা ঘুরতে থাকবে, আর মস্তিষ্ক সেই অনুযায়ী কাজ করতে থাকবে। মনে রাখবেন আপনে যদি একটা সাইকেলে অনর্বত প্যাডেল করতে থাকেন, তাহলে সহজেই রাস্তায় যেতে পারবেন, কিন্তু এক প্যাডেল চেপে যদি আবার থেমে যান তাহলে আর বেশি দূর এগোতে পারবেন না। ঠিক তেমনই আমাদের মস্তিষ্ক হলো চলমান সাইকেল বা প্রবাহমান নদীর মতো। সঠিক ভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে চালাতে ভাল ভাবে চলবে তা না হলে, নদীর মতো শ্যাওলা আর সাইকেলের মতো মরিচা জমে যাবে। যেটা দিয়ে ভালো কিছু আশা করা যাবে না। এখন কথা হলে তাহলে আমাদেরকে কিভাবে মস্তিষ্ককে পরচালিত করতে হবে?

1000001015.jpg

মূলত আমাদের জীবনের লক্ষ্য স্থির করে আমরা যদি কাজে করে যেতে পারি তাহলে আপনাআপনি মস্তিষ্ক তার কাজ শুরু করে দিবে। কিন্তু আপনে যদি একটু অসুস্থতায়, দুঃখে কষ্টে ভেঙে পরেন, তাহলেও আর সামনের দিকে এগোনো সম্ভাব না। যে কোন পরিস্থিতিতে নিজেকে শক্ত রাখাটা সবচেয়ে বেশি চ্যালেন্জের। যে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, তার পদে পদে বিপদে পরতে হয়। নিজের জীবনের গতি বিধি নিজেই ঠিক রাখতে পারে না। মস্তিষ্ক সব সময় উল্টা পাল্টা সিদ্ধান্ত দেয়।

আমার জীবনে বর্তমানে গত ছয় মাস ধরে এভাবেই চলতেছে।আমার কিছু ব্যার্থতার কারণে আমি খুব বেশি হতাশা গ্রস্থ হয়ে গেছি, যার ফলে সামনের দিকে আর ফোকাস ধরে রাখতে পারছি না, কাজও ঠিক মতো করি না, পড়াশুনাও ঠিক মতো করতে পারি না। কিন্তু কয়েক মাস আগেও আমি সব সময় রুটিন মাফিক আমার জীব পরিচালনা করতান। কিন্তু এখন পারি না কারণ, আমি আমার মস্তিষ্ক কে প্রশিক্ষণ দিতে ব্যর্থ হয়েছি।৷ যার ফলে সে আর সকল উল্টা পাল্টা সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য। যার ফলে জীবন চলে যাচ্ছে অন্ধকারে। আমি খুব চেষ্টটা করে যাচ্ছি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্ককে প্রশিক্ষণ দেওয়ার। আশা করি খুব তারাতারি সব ঠিক হয়ে যাবে।

এজন্য আবারও বলি, মূলত আমরা নিজেরাই আমাদের মস্তিষ্ককে পরিচালনা করি। আমাদের নিত্যদিনের অভ্যাসগুলোই মস্তিষ্কের পথ দেখায়।

1000001015.jpg

To carry a healthy brain which are the primary elements that,we need to follow?Explain.

1000001015.jpg

প্রতিটা কাজেরই কিছু নিয়ম নীতি থাকে। যেগুলে অনুসরণ করলে আমাদের কাজটা আরও সহজ হয়। সঠিক ভাবে সম্পাদন করা যায়। ঠিক তেমনই আমাদের মস্তিষ্ককে প্রশিক্ষণ দিতে হলে কতগুলে নিয়ম মানা জরুরি বলে আমি মনে করি তা নিম্নরুপ :-

1000001015.jpg

১.জীবনকে একটা রুটিনের মধ্যে আনা।
২.সব সময় পজিটিভ চিন্তা ভাবনা করা।
৩.কোন খারাপ অভ্যাস থাকলে তা অতি সত্তর ত্যাগ করা।
৪.সময়ের গুরুত্ব দেওয়া, সময়ের কাজ সময়ে শেষ করা।
৫.জীবনে যতই কষ্ট আসুক হতাশ হওয়া যাবে না, মনোবল শক্ত করে সামনের দিকে এগোতে হবে।
৬.বেশি বেশি সৃষ্টিকর্তাকে সরণ করা ও ধর্মীয় বিধিগুলে পালন করা।
৭.নিজের লক্ষ্য ঠিক রেখে সেই অনুযায়ী জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
৮.মানুষের সাথে বেশি বেশি মতবিনিময় করা এতে নিজের কষ্টগুলো কিছুটা হলেও কমবে।

1000001015.jpg

এছাড়াও আরও অনেক উপায়ে আমরা আমাদের মস্তিষ্ককে প্রশিক্ষণ দিয়ে জীবনকে পরিচালনা করতে পারি।

যাই হোক, আমি আমার মতো করে নিজের মস্তিষ্ককে প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়ে কিছু কথা শেয়ার করলাম। ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকে আমার পোষ্ট এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আবারও দেখা হবে আমার নতুন কোনো পোষ্ট নিয়ে।

1000007009.png

1000007010.gif

সবাইকে অনেক ধন্যবাদ আজকের পোষ্টটা পড়ার জন্য।

Sort:  
Loading...