হঠাৎ বিপদ।(Sudden danger.)..

in Incredible India29 days ago (edited)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারোকাতুহ।



প্রতিটা সেকেন্ডে আমাদের জীবনের ঘটনা গুলো পাটাতে থাকে। আমরা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারব না এক মিনিট পরে আমার জীবনে কি ঘটে যাবে। আসলে এসবই বিধাতার হাতের খেলা। জীবনে এমন কিছু সময় আছে যখন আমরা একটা বিষয় কল্পনাও করতে পারি না, কিন্তু ঠিক তখনই আমাদের জীবনের সাথে সেই ঘটনাটা ঘটে যায়। এটা সৃষ্টির নিয়ম। জীবনে সুখ-দুঃখ আসবেই। এটাই বাস্তবতা। জীবনে চলার পথে বাধা আসবে, বিপদে পরতে হবে, সব কিছুর মাঝে নিজেকে টিকিয়ে রাখাটা সবয়েচে বড় চ্যালেন্জের।

DSC_0358.JPG

আপনারা যারা আমার আগের পোষ্টগুলো পরেছেন তারা যানেন আমও গত সপ্তাহে ঢাকাতে গিয়েছিলাম আমার চাকরির পরিক্ষা এবং ভাইবা দিতে। গত ২০ তারিখ শুক্রবার আমার একটা সরকারি চাকরির পরিক্ষা ছিল বুয়েটে। সকাল ১০ টায় আমাদের পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আমি ছিলাম ঢাকা সাভারে। ভোরের দিক বাসা থেকে বের হয়েছিলাম পরিক্ষা দিতে যাওয়ার জন্য। একটা অটোতে করে চলে যায় মেইন রাস্তায়, তারপর সেখান থেকে একটা বাসে উঠি বুয়েটে যাওয়ার জন্য।

সব কিছু ঠিক ঠাকই ছিল। কিন্তু সমস্যা তৈরি হলো বাস থেকে নামার সময়। যখন বাস থেকে নামতে যাব, তখন হঠাৎ করেই কিভাবে যেন পরে গেলাম রাস্তার উপর। পরে যেতেই আমার ডান পায়ের হাটুতে লাগল। উঠতেই দেখি হাটুর উপরের খানিকটা প্যান্ট ছিরে গিয়েছে রাস্তার পিচের ঘর্ষণে। ভাবছিলাম হয়তকিছু হয় নাই। শুধু প্যান্ট ছিরে গেছে। কিন্তু বেশ ভালো ব্যাথা লাগছিল। আমি হেটে বুয়েট ক্যাম্পাসে ঢুকে সামনে একটা মসজিদ দেখতে পায়, সেখানে গিয়ে রাস্তায় বসে পরি। তখন প্যান্টের ছেড়া অংশ সরাতেই দেখি হাটুর উপর অনেকটা জায়গা জুরে ভালো মতো ছুলে গিয়েছে। রক্ত বের হচ্ছিল আর প্রচন্ড ব্যাথাও করতেছে। তারাতারি ব্যাগ থেকে টিস্যু বের করে রক্ত মুছে নিলাম।

DSC_0362.JPG

DSC_0363.JPG

কি করব বুঝতে পারতেছিলাম না। আশে পাশে কোন ঔষুধের দোকানও ছিল না। অনেকটা সময় বসে থাকলাম। পরে এক ভাই পরামর্শ দিল, পাশেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। সেখানে যেতে। আমার পরিক্ষার গখনও ২ ঘন্টা বাকি ছিল, আমি প্রায় ১০ মিনিট মতো পথ হেটে চলে গেলাম ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে। সেখানে গিয়ে আগে ১০ টাকা দিয়ে একটা টিকিট কেটে নিলাম। তারপর ইর্মাজেন্সিতে ডাক্তার দেখালাম। সে আবার অন্য একজন ডাক্তারের কাছে পাঠালো। সেখানে গিয়ে আমাকে জিগাসা করল সমস্যা কি, আমি আমার ক্ষত স্থান দেখালাম। তারপর তিনি একটূ ইন্জেকশন লিখে দিলেন এবং ড্রেসিং করে নিতে বললেন।

DSC_0360.JPG

আমার ইনজেকশন নিতে খুব ভয় করে, তবুও নিলাম। এরপর ড্রেসিং এর জন্য লাইনে সিরিয়াল দিতে হবে। কিন্তু আমার পরীক্ষা আছে লাইনে দাড়ালে দেরি হয়ে যাবে। দায়িত্বে থাকা আনসারকে আমি বেশ অনুরোধ করলাম এবং ক্ষত স্থান দেখিয়ে বললাম এটা ড্রেসিং করতে বেশি সময় লাগবে না। কিন্তু তিনি কোন কথায় শুনতে রাজি না। যাই হোক অনেকটা সময় দাড়িয়ে থাকার পর অন্য একজনকে বলে ভিতরে ঢুকে কোন রকম ড্রেসিং করে বাইরে চলে আসি। এরপর একটা গ্যাসের ট্যাবলেট কিনে নিয়ে খেয়ে আবারও বুয়েট ক্যাম্পাসের দিকে যায়। ডাক্তার আমাকে পায়ের এক্সে করতে বলেছিল কিন্তু আমি করায় নাই।

আমার শুধু একটু ব্যাথা করতেছিল তেমন কোন সমস্যা হচ্ছিল না। এজন্য আর এক্সে করলাম না। আমি কি কখনও ভেবে ছিলাম পরিক্ষা দিতে এসে এভাবে আমার বিপদ হবে। আসলে জীবনে কখন কোন ঘটনা ঘটে যাবে তা কেউ বলতে পারে না। আজ চারটা দিন হলো পায়ের এই ক্ষত নিয়ে ভুগেছি। ভালো মতো হাটতেও পারি না। কিন্তু কি আর করার, এসব তো আর নিজের কন্ট্রোলে না। যদিও নিজের অসাবধানতার কারণেই জীবনের সব দুর্ঘটনাগুলো ঘটে থাকে। এজন্য সব সময় সৃষ্টি কর্তার কাছে আমাদেরকে সব সময় হঠাৎ বিপদ থেকে মুক্তি চায়তে হবে। যাতে তিনি আমাদেরকে হঠাৎ বিপদ থেকে বাচান।

আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, যাতে আমি খুব তারাতারি সুস্থ হয়ে যায়। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন আবারও দেখা হবে আমার নতুন কোনো পোষ্ট নিয়ে।

1000007009.png

1000007010.gif

সবাইকে অনেক ধন্যবাদ আজকের পোষ্টটা পড়ার জন্য।

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Loading...