Betterlife With Steem. || The diary game. (31/05/25).|| My all day activities..

in Incredible India16 days ago (edited)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারোকাতুহ।



গতকালকের মতো আজকের দিনটাও শুরু হয়েছিল রাত ৩ টার দিকে। নিয়ম মতো সাহরি খাওয়ার জন্য আমি এলামের শব্দে উঠে পরি৷ এরপর ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে দাঁত ব্রাশ করে রুমে চলে আসি৷ এরপর খাবার ঘরে চলে আসি খাওয়া দাওয়া করার জন্য৷ আমার সাহরির জন্য মা রাতেই রাইস কুকারে ভাত রান্না করে রেখেছিল। যাতে আমি গরম ভাত খেতে পারি৷ খাওয়া দাওয়া শেষ করে রুমে এসে আমি ঘুমিয়ে পরি। সকাল ৯ টার দিকে ঘুম থেকে উঠে পরি। তারপর হাতমুখ ধুয়ে ভাবতে থাকি আজকের দিনটা কিভাবে কাটানো যায়৷ হঠাৎ মনে পরল, ছোট খালা তাদের বাড়ীর রাইস কুকারের বৈদ্যুতিক লাইনটা ঠিক করে দিয়ে আসতে বলেছিল। এজন্য ভাবলাম আজকে তাহলে খালাদের বাসায় যাওয়া যাক। ভাবতে না ভাবতেই রেডি হয়ে গেলাম। এরপর আমার সাইকেলটা নিয়ে খালাদের বাড়ী যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। আমাদের বাড়ী থেকে ছোট খালাদের বাড়ী যেতে ৩০ মিনিট মতো সময় লাগে।

1000012267.jpg

বাড়ী থেকে বের হবার পর।

বাজারে গিয়ে আমি আগে একটা ইলেকট্রনিক্স এর দোকানে ঢুকি৷ তারপর রাইস কুকার সেট করার জন্য বৈদ্যুতিক তার, সুইচ, সকেট এবং বোর্ড নিয়ে নিলাম।৷ তারপর আবার আমার যাত্রা শুরু করলাম। কিছু ক্ষণের মধ্যে আমি আমার খালাদের বাড়ী চলে গেলাম৷ গিয়ে আমি বসে পরলাম, সার্কিট বোর্ড সেটিং এর কাজে। আমি যেহেতু ডিপ্লোমাতে পড়াশুনা করেছি, এজন্য মোটামুটি বিদ্যুৎ এর কাজ ভালোই পারি৷ সুইচ সকেট বোর্ডের সাথে কানেকশন দিয়ে এবার মেইন লাইনে কানেকশন দেওয়ার পালা। আগে বোর্ডটা যেখানে রাইস কুকারে রান্না করবে সেখানে লাগিয়ে নিলাম। এরপর বৈদ্যুতিক সংযোগ দিয়ে দিলাম। লাইন ঠিক আছে, নাকি এটা চেক করার জন্য রাইস কুকারে কিছু পানি দিয়ে গরম করতে দিলাম।

1000012268.jpg1000012269.jpg
1000012270.jpg1000012271.jpg
1000012272.jpg1000012273.jpg
1000012274.jpg1000012276.jpg

রাইস কুকারের জন্য বৈদ্যুতিক লাইন সংযোগের কিছু মুহূর্ত

কাজ করতে করতে প্রায় ১২ টা বেজে গেল। এরপর আমি হাতমুখ ধুয়ে এসে কিছুটা সময় বিছানায় শুয়ে থাকলাম। আমি যেহেতু রোজা ছিলাম, এজন্য খালাদের বাড়ীতে কিছু খায় নাই। আর বিকেলের দিকে শরীর ক্লান্ত হয়ে যাবে বলে, আমি আর দেরি না করে সাইকেল নিয়ে বাড়ীর দিকে রওনা হলাম। বাড়ীর যাওয়ার পথে কুমারখালি বাজারে আমার এক আঙ্কেলের সাথে দেখা করার ছিল তাকে কল দিলাম। এরপর তার দোকানে চলে গেলাম তার সাথে দেখা করার জন্য। আঙ্কেলের লুঙ্গির দোকান আছে। লুঙ্গি তৈরি করার পর সেগুলো প্রসেস করা হয় দোকানে৷ মূলত আমার সাথে কিছু আলোচনা করার জন্য আমাকে ডেকেছিল।

1000012278.jpg

আঙ্কেলের দোকানের লুঙ্গি।

যোহরের কিছুটা সময় পর বাড়ীতে আসলাম৷ বাড়ী এসে খুব ক্লান্ত লাগতেছিল এজন্য ভাবলাম একটু ঘুমিয়ে নি। এজন্য মেঝেতেই একটা ফ্যান চালিয়ে ঘুমিয়ে পরি৷ ঘুম থেকে উঠে দেখি বাড়ীতে পরিচিত এক ফুফু আসছে, তার সাথে কিছু সময় কথা আললাম, এরপর গোসল করে নিলাম৷ গোসল শেষ করে এসে কিছুটা সময় ফোন চালিয়ে আসরের নামাজ আদায় করতে চলে গেলাম। নামাজ শেষ করে এসে ভাইয়ের মেয়েদের পড়াতে বসলাম। মাগরিবের আগে পড়ানো শেষ হলো।

1000012302.jpg

ভাতিজীর পড়ার মূহুর্ত

এরপর আমি হাতমুখ ধুয়ে ওজু করে আসলাম। এটপর ইফতারি করার জন্য দুইটা আম কেটে নিলাম এবং কয়েকটা বিস্কুট নিয়ে নিলাম। মূলত আমি ইফতারিতে বেশি কিছু খায় না। মাগরিবের নামাজ শেষ করে এসে সরাসরি খাবার খায়৷ আজকে তবুও আম আর বিস্কুট দিয়ে ইফতারি শেষ করে মাগরিবের নামাজ আদায় করতে চলে গেলাম।

1000012303.jpg

ইফতারি।

নামাজ শেষ করে আসার পর, আমার কয়েক জন ছাত্র পড়তে আসল৷ ওদেরকে পড়ানো শুরু করলাম। রাত ৮:৩০ টা পর্যন্ত পড়ানো শেষ করে আমার খুব খুদা লাগছিল তারাতারি খেতে গেলাম। আজকে রাতে আমার পছন্দের ডাউলের বড়া বানানো হয়েছিল আর মাছ রান্না।

1000012332.jpg1000012333.jpg1000012334.jpg

রাতের খাবার৷

খাওয়া দাওয়া শেষ করে রুমে এসে একটু রেস্ট নিলাম। সারা দিন রোজা রেখে খাওয়া দাওয়া করলে শরীর খুব ক্লান্ত লাগে এজন্য একটু বিছানায় শুয়ে ছিলাম। আজকে সারাটা দিন এভাবেই কেটে গেল। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আবারও দেখা হবে আমার নতুন কোন পোষ্ট নিয়ে।

1000007009.png

1000007010.gif

সবাইকে অনেক ধন্যবাদ আজকের পোষ্টটা পড়ার জন্য।

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Loading...