খাবারের কিছু ফটোগ্রাফি।।।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারোকাতুহ।
সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি । আবারও আপনাদের মাঝে হাজির হয়ে গেলাম আমার আরেকটা নতুন পোষ্ট নিয়ে । আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার তোলা কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। আমরা বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন ধরনের, স্বাদের খাবার খেয়ে থাকি। তাদের কত বাহারি নাম। এসব নিয়ে থাকছে আজকের পোষ্ট। আশা করি আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে। চলুন শুরু করি-
প্রথম ছবিতে আসা যাক। এখানে তিন ধরনের খাবারের মেনু দেখতে পাচ্ছেন। যেখানে আছে, সাদা ভাত, মাছের ঝোল আর গরুর মাংস রান্না। অনেকেই হয়ত বুঝে গেছেন এটা কোনো মেহমানের বাড়ীতে খাবার মেনু হবে। হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন, নীলফামারীতে আমার এক বন্ধুর বাড়ীতে ঘুরতে গিয়ে আমি খাবারগুলো খেয়েছিলাম। আমাদের বাড়ীতেও এমন খাবার খায়, তবে তাদের রান্নার আর আমাদের এলাকার রান্নার পদ্ধতি একটু ভিন্ন। যার ফলে খাবারের স্বাদটাও একু ভিন্ন ছিল।
আমরা বেশির ভাগ মানুষই সকালে ঘুম থেকে উঠে চা না খেলে মাথা যেন খারাপ হয়ে যায়। আবার বাংলাদেশে এমনও জেলা আছে, যেখানকার মানুষেরা যেকোনো খাবার খাওয়ার পর চা না খেলে তাদের ভালো লাগে না। এমন জায়গা হলো সৈয়দপুর, নীলফামারী। সেখানে ঘুরতে গিয়ে বিষয়টা আমি জানতে পারি। আর চায়ের কাপের যে ছবিটা দেখতে পাচ্ছেন, তা মূলত সেখান থেকেই তোলা।
তৃতীয় ছবিতে আসা যাক। আসলে ঘুরতে গেলে কত না মজা। নতুন নতুন জায়গায় দর্শন করা হয়, কত শত মানুষের রীতিনীতি সম্পর্কে জানা যায়। বাহারি সব খাবার খাওয়া যায়। বিশেষ করে যখন কোনো মানুষের বাসায় যাওয়া হয়।৷ যাওয়ার কিছু সময় পরই তারা ট্রে ভর্তি করে নিয়ে চলে আসে নাস্তা। নাস্তায় থাকে বাহারি সব মেনু। ভিন্ন ভিন্ন জেলাতে নাস্তা দেওয়ার পদ্ধতি ভিন্ন ভিন্ন। যার ফলে খাবারের স্বাদও থাকে ভিন্ন ভিন্ন। ছবিটা একটা নাস্তার মেনু। যেখানে ছিল মিষ্টি, বিষ্কুট,, ভাজা,, পাউরুটি। এছাড়াও আরও নানা ধরনের ফলও দিয়ে থাকে মেনুতে।
ছবিতে যে খাবারটা দেখতেছেন, এটা আমার সবচেয়ে প্রিয় একটা খাবার। আমাদের বাড়ীতে যখন আমি থাকি, তখন আমার মা প্রায় খাবারটা আমার জন্য তৈরি করে থাকে। আপনারা প্রায় সবাই এটাকে চিনে থাকবেন। এটা হলো ডাউলের বড়া। এটা বাজারেও কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু মায়ের হাতের তৈরির মতো স্বাদ হয় না। বাড়ীতে মা তৈরি করে, আর আমি চুলার পাশে বসেই গরম গরম খাওয়া শুরু করে দেয়। একবারে ১৫/২০ টা বড়া খাওয়া কিছুই না আমার কাছে। খেতেও খুব মজাদার। বেশ মুচমুচে করে ভাজি করে মা। যার ফলে আরও খেতে বেশি ভালো লাগে।
এটা হলো বাটা মাছের তরকারি। এটা একটু ভিন্ন ধরনের জিনিস দিয়ে রান্না করা হয়েছিল। সচারাচর এই ধরনের সবজি দিয়ে মাছ রান্না করা হয় না। আপনারা যারা গ্রামে থাকেন, তারা মেটে আলু দেখে থাকবেন। যেটা বিভিন্ন গাছে লতা আকৃতির গাছের সাথে ঝুলতে থাকে। এটা দিয়েও তরকারি রান্না করে খাওয়া যায়। বেশ সুস্বাদু হয়। তবে সব জায়গায় পাওয়া যায় না বলে এটা সবাই চিনে না। আমাদের বাড়ীতে মাঝে মাঝে আমি শখ করে মেটে আলু দিয়ে নানা ধরনের তরকারি রান্না করি। বেশ কিছু দিন আগে বাসায় গিয়ো মেটে আলু দিয়ে বাটা মাছ রান্না করেছিলাম।তারই ছবি এটা।
এটা হয়ত বেশির ভাগ মানুষই না খেয়ে থাকবেন। এটা হলো পানি ফল দিয়ে তৈরি করা ডালনা। সাধারণত আমরা পানি ফলগুলো এমনিতেই পাকার পর খেয়ে থাকি। আমি যেবার প্রথমবার পানি ফল খেয়েছিলাম। সেবার ভাবলাম, একটু ভিন্ন ভাবে এটা খেয়ে দেখি কেমন লাগে। যার ফলে সেটা দিয়ে ডালনা রান্না করেছিলাম। প্রথমে সিদ্ধ করে নিয়ে তারপর সেটা মসলা দিয়ে কষিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যায়। খেতেও বেশ সুস্বাদু। আপনারাও বাসায় তৈরি করে দেখতে পারেন।
আজকে বেশ কিছু খাবারের ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আশা করি আপাদের সবার কাছে ভালো লেগেছে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আবারও দেখা হবে আমার নতুন কোনো পোষ্ট নিয়ে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আজকে আপনি বিভিন্ন ধরনের খাবারের ছবি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। রকমারি খাবার খেতে আমার তো ভীষণ ভালো লাগে। হরেক রকমের খাবার দেখে আমারও ভীষণ খেতে ইচ্ছে করছে। সুন্দর সুন্দর খাবারের ছবি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
thank you.