২০২৩ থেকে ২০২৫ এর মাঝা মাঝি পর্যায়েও এসে জীবনের সাথে কি কি যে হয়ে যাচ্ছে তা নিজেও হিসাব করেও মিলাতে পারতেছি না। গত আড়াই বছরে আমার জীবনে ঘটে গেল কত ভাবনাহীন ঘটনা। যা আমি কোন দিন কল্পনাতেও আনতাম না। আসলেই ভাগ্য মানুষকে অনেক কিছু শেখায়। আপনারা হয়ত মাঝে মাঝে আমার বিভিন্ন পোষ্ট দেখতে পান, আবার দেখেন মাঝে মাঝে আমি হারিয়ে যায়, কোন পোষ্ট থাকে না। আসলে আমার জীবনে যে কি হয়ছে, জীবনের কোন কিছুই আগের নিয়মে চলে না। সব যেন এলোমেলো। জীবনের প্রতিটা ধাপে ধাপে আমি ধাক্কা খাচ্ছি। যত ভেবে চিন্তেইকোন সিদ্ধান্ত নেই না কেন, তা যেন আমার ভুলের দিকেই যায়। সব সময় খালি হতাশার পোহার গুনতে হয়। আপনাদের সাথেও জীবনের অনেক ঘটনাও শেয়ার করেছি। গত চার দিন ধরে আবারও নতুন সমস্যা নিয়ে জীবন পার করতেছিলাম। তবে আমি বিশ্বাস করি, ইনশাআল্লাহ আমার আল্লাহ খুব তারাতারি আমাকেও সফলতা দান করবেন, এবং সকল সমস্যার সমাধান করে দিবেন। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আমার স্মাট ফোনটা খুব ঝামেলা করতেছিল। মাঝে মাঝেই কাজ করতো না হ্যাং হয়ে যেত। স্কিন দাড়ায়ে যেত, পরে পাওয়ার বাটন অফ করে তারপর আবারও কাজ করা লাগত। প্রথম দিকে কয়েকবার হলেও ধীরে ধীরে সমস্যাটা বাড়তে থাকে। ফোনটাও নতুন গত বছর ডিসেম্বরে ৭ তারিখে কিনেছিলাম। মাত্র ছয় মাস হয়েছে। সময় যায়, দিন পার হয় ফোনের সমস্যা যায় না। আরও বেশি হয়। ভাবলাম ফোন হয়ত আপডেট হয় নাই, এজন্য সমস্যা হচ্ছে পরে, ফোনটা আপডেট দিলাম। তবুও সমস্যা হয়, আবার নতুন সমস্যা হয় মাঝে মাঝে নিজে নিজে ক্যামেরা অন হয়ে যায়। এমনিতেই জীবনের নানা কারণে হতাশা আর দুশ্চিন্তা জীবনটাকে কুরে কুরে খাচ্ছে, তারপর আবার নতুন সমস্যা শুরু হলো।

ছবির উৎস

ভেবে দেখলাম, এভাবে ফোন চালালে আমি ঠিক মতো চালাতে পারব না৷ আবার ফোনের অবস্থাও আরও খারাপ হবে। অনেক ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিলাম ফোনটা বিক্রয় করে দিবো। এটা ভেবেই আমার দুইজন ছাত্রকে নিয়ে চলে গেলাম ৪ তারিখ কুষ্টিয়া। মূলত আমার থেকে ওরা ফোন সম্পর্কে ভালো বোঝে। ভাবলাম ভালো একটা দামে ফোনটা বিক্রি করে দিয়ে সেই টাকা দিয়ে নতুন আর একটা দেখে শুনে কেনা যাবেনে। গিয়ে অনেকগুলো এক্সচেঞ্জের দোকানে দেখালাম, সবাই যা দাম বলতেছিল তা শুনে আমি যথারীতি অবাক হয়ে যাচ্ছিলাম। পরে অনেক ঘুরাঘুরি করেও দাম আর বাড়ল না, ১৯৬০০ টাকার ফোন মাত্র ৬ মাস ব্যবহার করে ১২০০০ টাকায় বিক্রি করা লাগল। ফোন বিক্রি করতে গিয়ে আবার পরলাম আরেক ঝামেলায়। আমার ফোনে আমার কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট ছিল। এবার সেগুলো একটা ফাইল করে আমার এক ছাত্রের ফোনে ট্রান্সফার করে নিলাম। সবগুলে একটা ফাইল করে শেয়ার করে অন্য ফোনে নিতে প্রায় ৩ ঘন্টার উপরে লাগছিল। এতোটা সময় দোকামে বসে একটা বিরক্তিকর সময় পার করেছিলাম যা বলার মতো নয়। অনেক অপেক্ষার পর সকল ডকুমেন্ট পাঠিয়ে নিয়ে ফোনটা রিসেট দিতে যাব, তখন দেখি আমার স্যামস্যাং এর একাউন্ট খোলা সেটা আবার লগ আউট না করলে ফোন রিসেট নিচ্ছে না। সেটা আবার আরেক নতুন ঝামেলা হলো। পরে আবারও জিমেইল লগইন করে পাসওয়ার্ড খুজে দেখে নিয়ে সেটা লগআউট করা লাগল।

এরপর ফোনটা রিসেট দিয়ে মোটামুটি বিক্রির জন্য প্রস্তুত করলাম। ফোনটা বিক্রি করে রাত ৯ টার দিকে বাসায় আসলাম। সেদিন আর ফোন কেনা হলো না। ভাবলাম আগে ভেবে সিদ্ধান্ত নেই কোন ফোন কেনা যায়, আরও সমস্যা ফোন ১২০০০ টাকা দিয়েই কিনতে হবে, আমার কাছে আর কোনো টাকা ছিল না যে বেশি বাজেট দিয়ে নতুন অন্য ফোন কিনব। ভাবলাম এবার একটু আনঅফিশিয়াল পুরাতন ফোন কেনা যাক। ভেবে পাচ্ছিলাম না কোন ফোন কেনা যায়। পরে আমার এক ছাত্র পরামর্শ দিলো Sony Xpria 10 IV ফোনটা কেনার জন্য। এটা নাকি মোটামুটি অনেক ভালো চলে। আমার সেই ছাত্রও ব্যবহার করতেছে। আমিও ভাবতে লাগলাম। খোজও নিতে লাগলাম। আসলে সত্যি বলতে আমি ফোন সম্পর্কে তেমন কিছু বুঝি না। এজন্য অন্যদের কাছে সব সময় জিগাসা করা লাগে কোনটা কিনব। ভাবতে ভাবতে দুই দিন পার করে ফেলেছিলাম। এদিকে ফোন আর ইনৃটারনেট ছাড়া দুই দিন পার করলাম। তৃতীয় দিম সিদ্ধান্ত নিলাম সনি ফোনটাই কেনার জন্য৷ পরে এটা অনলাইনে একটা ফেসবুক পেজে অডার দিলাম। আসলে ২৪ ঘন্টা মতো সময় লাগে। গত পরশু দিন অডার দিয়েছিলাম। সেটা গতকালকে বিকালে কুষ্টিয়াতে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে এসেছিল।

ছবির উৎস

ছাত্রদের সাথে করে গতকাল বিকালে গিয়েছিলাম ফোনটা আনতে। এদিকে ফোন না থাকায় কারুর সাথে যোগাযোগও করতে পারতেছিলাম না। একটা বাটন ফোনে আমার সিমগুলো ঢুকিয়ে রাখছিলাম ফোনটাতেও নেটওয়ার্ক পায় না। সব মিলিয়ে বেশ ঝামেলায় ছিলাম। এদিকে কোন পোষ্ট ও করতে পারতেছিলাম না। অবশেষে আগামি কালকে বিকালে ফোনটা হাতে পেয়েছিল। যদিও ফোনটা কুষ্টিয়া গিয়ে কুরিয়ার থেকে এনে সব সেটিং ঠিক করতে করতে রাত হয়ে গিয়েছিল তাও সব কিছু সেটাপ দেওয়া কমপ্লিট হয়েছিল না, এজন্য পোষ্টটা আজকে শেয়ার করলাম। আশা করি আবারও আপনাদের মাঝে নিয়মিত পোষ্ট শেয়ার করতে পারব। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আবারও দেখা হবে আমার নতুন কোনো পোষ্ট নিয়ে খুব শীঘ্রই।