জীবনে এগিয়ে যেতে হলে দৃঢ়তা, একাগ্রতা এবং শুরুটা ভুলে যেতে নেই।

প্রিয় বন্ধুরা,
হাজির হয়ে গেছি আজ ভোর দুপুরেই কারণ আমার অফিসে বলেই আছে কিছু কাজ আমাকে যাবার আগে সেরে ফেলতে হবে এবং যার বিস্তারিত বিবরণ কালকের লেখাতে জানিয়েছি।
আজ আমি কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলতে এসেছি যেটি জীবনে আমাদের অবশ্যই মনে রেখে পথ চলা উচিত।
দেখুন সফল হতে কে না চায় জীবনে, এমন কোনো মানুষ নেই যিনি বলতে পারবেন না যে, কিছু মুহূর্তের জন্য হলেও তার জীবনে ভালো সময় আসে নি।
কিন্তু ভালো কিছু জীবনে ধরে রাখতে গেলে আমার মনে হয় দৃঢ়তা, একাগ্রতা এবং জীবনের শুরুর দিনগুলো কখনো ভুলতে নেই।
যে সকল মানুষ সফলতা পাবার পর নিজের অতীত ভুলে যান, যে কোন কঠিন জায়গা থেকে কত কষ্ট করে সে উপরে উঠেছে এবং যাদের সাহায্যে সেটা সম্ভব হয়েছে সেটা ভুলে যান;
তাদের সফলতা বেশিদিন তাদের সাথে থাকে না। একটি গাছ যখন চারা থেকে বৃক্ষে রূপান্তরিত হয় তার শিকড় কিন্তু তখনও মাটিতেই থাকে।
আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন থাকলে নিজের পা কে সবসময় মাটিতে রেখে চলতে শিখতে হয়।
আবার দেখুন আপনাকে যদি কোনো বহুতল বাড়ির ছাদে দার করিয়ে দিয়ে বল হয় নিচের দিকে তাকান, আপনার পা কাঁপতে থাকে এটা জেনেও আপনি কিন্তু পরে যাবেন না।
অপরপক্ষে একটা পাখি অবলীলায় সারাটা আকাশ উড়ে বেড়ায়, আবার গিয়ে বসে কোনো উঁচু গাছের ডালে; তার বিশ্বাস কিন্তু ডালের উপরে নয় নিজের ডানার উপরে।
তাহলে এখানে যেটা শিক্ষণীয় সেটা হলো, আমাদের একাগ্রতা এবং বিশ্বাস বজায় রাখতে হবে নিজের উপরে, যদি আমরা এগিয়ে যেতে চাই।
সবার উপরের ছবিটা লক্ষ্য করলে বুঝবেন আকাশ এবং ধরণীর মাঝে মানুষের বাস, মানে আপনি জীবনে যত উপরেই উঠুন আপনার জায়গা কিন্তু মাটিতেই, এই জন্যই হয়তো মার্ধাকর্ষণ শক্তি দিয়ে ঈশ্বর আমাদেরকে বুঝিয়ে দিয়েছেন, যে যত উপরেই উঠুক নে কেনো নিচে তাকে একদিন নামতেই হবে যদি ভারসাম্য রাখতে না জানে পাখিদের মত।



প্রবাহমান নদী এগিয়ে যায় দৃঢ়তার সাথে সমুদ্রে মিলিত হতে, পথের কোনো বাঁধাই তাকে আটকে রাখতে পারে না, আর ঠিক সেই কারণেই পুকুরের জলে শ্যাওলা ধরলেও নদীর জলে কখনো শ্যাওলা জমে না।
নিজের কাজটি করে যেতে হবে, তবে যেটি সবার আগে মনে রাখতে হবে বা সংকল্প নিতে হবে, সেটি হলো নিজের পুরনো সময়কে না ভোলা এবং অন্যেকে নিঃস্বার্থ ভাবে সাহায্যের প্রচেষ্টায় ব্রতী হওয়া।
প্রকৃতি কিন্তু আমাদের সবরকম প্রয়োজনীয় জিনিস যোগান দেয় নিঃস্বার্থ ভাবে, বিনিময় কিছু আশা না রেখে। আজ ঠিক সেই কারণেই পৃথিবীতে একমাত্র প্রাণীকুলের অস্তিত্ব দেখতে পাওয়া যায়।
কেবলমাত্র নিতে নয়, দেবার মনোভাব রাখতে জানতে হয়, অঙ্ক হয়তো হিসেবের জন্য প্রয়োজন কিন্তু জীবনের অঙ্ক তখনই মেলে যখন নিজের কাছে, নিজের বিবেকের কাছে এবং সর্বোপরি ইশ্বরের কাছে নির্ভেজাল থাকা যায়।
নিজে বাঁচতে হলে অন্যকে বাঁচার সুযোগ করে দিতে হয়, আমরা যা কিছু কর্ম করি, সেই অনুসারেই ফল পাই।
তাই কেবল আত্মস্বার্থ চরিতার্থ করতে নয়, বড় হতে হবে কিছু মানুষকে পথ করে দেবার জন্য।
নিজে বাঁচার চাইতেও সবাইকে নিয়ে একসাথে বাঁচার আনন্দ কিন্তু অনেক বেশি।
অবশেষে তাই বলবো কেবল নিতে নয় দিতে শিখুন, সেটা যে অর্থই হবে তা কিন্তু নয়, আপনার জীবন থেকে পাওয়া শিক্ষা, আপনার সদুপদেশ, আপনার ব্যবহার, আপনার এগিয়ে গিয়ে শারিরীক ভাবে পাশে থাকাটাও এর মধ্যে সামিল।
আজ এখানেই ইতি টানলাম, ভালো থাকবেন সবাই এবং সুস্থ্ থাকবেন।
আমি আপনার লেখার অনুরাগী কারণ জীবনের অনেক অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষা আমি আপনার থেকে পাই।
জেনে সত্যি ভাল লাগলো, আমার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নি, যাতে কিছু মানুষ এর সাহায্যে জীবনের পথে সঠিকভাবে এগিয়ে যেতে পারে।