বৃষ্টি স্নাত প্রকৃতি নিশ্বাস নিচ্ছে প্রাণ খুলে যাতে নতুন করে বেড়ে উঠতে পারে।

প্রিয় বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনাদের সকলের দিনটি ভালোভাবেই শুরু হয়েছে। কলকাতায় এখন ঘড়িতে সকাল ৯:৩০ মিনিট, এখনও বাড়িতেই আছি, তার দুটি কারণ আছে।
প্রথম কারণ হলো কাল থেকে অবিরাম বৃষ্টি হয়ে চলেছে, এবং এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি একইরকম। সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা সহ বৃষ্টি হয়েই চলেছে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে, ছাদে গিয়ে বাড়ির গাছে ফোঁটা বৃষ্টি স্নাত ফুলের ছবি দুটি তুলেছি। গতকাল রাতেও বৃষ্টি ছিল এবং রাতের বেলায় গাছের উপরে জলের ফোঁটার ছবি তুলেছিলাম।
প্রথম কারণের পাশাপাশি, সকালে উঠে খবর শোনা আমার অভ্যেস এবং সেই খবরে জানতে পারলাম যে, বিরোধী রাজনৈতিক দলের মিছিলের কারণে যানবাহন সমস্যা তৈরি হয়েছে, অনেক জায়গাতে গাড়ি চলাচল বন্ধ।
কাজেই অফিসে জানিয়ে দিয়েছি আজ কাজ করা সম্ভব নয়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে।
তাই ভাবলাম, আজকের লেখাটা সেরে ফেলি, কারণ যদি দেরিতে কোনো কারণে বেরোতে হয়, তাহলে ফিরতে হয়তো দেরি হবে।
খবর শুনে আমার মাথায় একটাই কথা এসেছে, সেটা হলো রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, উলু খাগড়ার প্রাণ যায়।



যাইহোক, রাজনৈতিক কথা বলতে নয়, আজ আমি এসেছি বৃষ্টি নিয়ে নিজের অনুভূতি ভাগ করে নিতে।
সত্যি বলতে বৃষ্টির অনুভূতি এখনকার ছেলে মেয়েরা সেই ভাবে উপভোগ করতেই শেখেনি।
আমাদের ছেলেবেলায় ইচ্ছে করে ভেজেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। যদিও সাধারণ জীবন যাপন বিঘ্নিত হয় অবিরাম বৃষ্টির ফলে কিন্তু আজ আমাদের পৃথিবী এবং প্রকৃতি যে জায়গাতে দাড়িয়েছে কিছু স্বার্থপর মানব জাতির কারণে, সেক্ষেত্রে এই বৃষ্টির সত্যি এখন প্রয়োজন।
মানব সমজের সুবিধা সবসময় প্রাধান্য পেয়েছে বলেই, গাছ কাটা বেড়েছে, দিন দিন শুষ্কতা বেড়েছে, বর্ষা পেরিয়ে সামান্য বৃষ্টির দেখা পাওয়া যাচ্ছে।
আরে মশাই বেছে থাকলে তবে রোজগারের সুযোগ পাবেন, যদি বৃষ্টি না হয় মানব জাতি সহ সমস্ত প্রাণীজগতের অস্তিত্ব হারিয়ে যাবে এই পৃথিবী থেকে।
কাজেই জীবনযাত্রার সামান্য অসুবিধা মেনে নিন, নইলে এই গ্রহের অস্তিত্ব হারিয়ে যেতে খুব বেশি সময় লাগবে না।
এমনিতেই আমূল পরিবর্তন হয়ে গেছে আবহাওয়ার, যে সময় যে আবহাওয়া থাকার কথা এখন সেরকম কিছুই দেখতে পাওয়া যায় না।
উত্তরোত্তর তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে, বৃষ্টি কমে গেলে শুষ্ক ধরাতে কি ফলবে? আর যদি কিছু না ফলে, সেটা ফসল হোক বা ফল মূল, শাক সবজি যেটাই হোক; সবটাই তো আসে প্রকৃতি থেকে!
নিজের সুবিধা খুঁজতে গিয়ে আমরা আজকে নিজেদের অস্তিত্ব প্রায় হারাতে বসেছি। আজ কত পশু, পাখিদের আমরা হারিয়ে ফেলেছি কেবলমাত্র জঙ্গল কেটে মানবকুলকে জায়গা দেবার প্রচেষ্টায় আবার কখনো উন্নতির নামে প্রকৃতির ধ্বংস লীলায় মেতে।
এছাড়াও নতুন প্রযুক্তির কারণেই হারিয়ে গেছে অনেক পাখি। আশ্চর্যের বিষয়, মানবজাতি এই পৃথিবীতে আসার আগে থেকেই কিন্তু পৃথিবীতে এই সকল পশু পাখিরা এসেছিল।
উন্নতজাতি বলে পরিচিত মানবকুল নিজের বুদ্ধিকে যতটা না সৃষ্টির কাজে লাগিয়েছে তার চাইতে ধ্বংসের কাজে লাগিয়েছে অনেক বেশি পরিমাণে।
কাজেই এইবার নিজের অসুবিধার চাইতে প্রকৃতির স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রাখুন যার কারণে জীবজগতের অস্তিত্ব টিকে আছে এই পৃথিবীতে এখনও পর্যন্ত।
গাছ লাগান, পরের প্রজন্মকে প্রকৃতির উপকারিতা এবং তার অবদান নিয়ে শিক্ষা দিন। শুধু বই পড়িয়ে আর স্কুল, কলেজ এ পাঠানোর পাশাপশি, গাছ লাগাতে অনুপ্রাণিত করুন যাতে তারা প্রকৃতির সাথে পরিচিত হতে শেখে।
আপনার সঞ্চিত ধন- স্বম্পদ তখনই তারা ব্যবহার করতে পারবে, যখন এই পৃথিবীর ভারসাম্য অব্যাহত থাকবে, যে গ্রহ আশ্রয় দিয়েছে আগে তাকে কি ভাবে সুস্থ্ রাখতে হবে সেটা শেখান।
আজ এই পর্যন্তই, বাকি দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে এখানেই ইতি টানলাম।
*Very well written sir. And the pictures of rain wet flowers and trees are great.
We would like to appreciate your presence and activities towards the community. Our community also like to inspire you to participate in the engagement by visiting others post and make insightful comments .
Regards
@sampabiswas(Moderator)
Incredible India
Thank you for verifying my post.
ছবিগুলো সত্যি খুব সুন্দর, আপনার লেখা পড়লেই বোঝা যায় আপনি একজন পরিবেশ সচেতন মানুষ।