সন্ধ্যার কিছু মুহূর্ত ও আমার অনুভূতি।
![]() |
---|
Hello Steemians,
এখন বাংলাদেশ সময় রাত ০২:১৮ বাজে, হয়তো লেখার শুরুটা দেখে অবাক হবারই কথা। কারণ রাত দুইটার সময় অধিকাংশ মানুষই গভীর ঘুমে থাকে। তবে আমার গতরাতে ঘুম না হওয়ার কারণে শরীরটা অনেক ক্লান্ত ছিল। দিনের বেলা অনেক ঘুমানোর চেষ্টা করলেও ঘুম হয়নি।
সন্ধ্যার আগে আগেই ছোটভাই কল করে রাস্তায় বেরোতে বললে আমি দ্রুত রাস্তায় গিয়েছিলাম। সত্যি আমার ও ভালোই লাগছিল, কারণ সারাদিন ঘরে থেকে ভীষণ বিরক্ত লাগছি অন্যদিকে চোখটাও কেমন জানি ভারী ভারী লাগছিল।
দুই ভাই-বোন রাস্তার পাশে বেঞ্চে বসে গল্প করছিলাম। আমরা বর্তমান সময়ের কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলছিলাম। ইতিমধ্যে আমাদের কাকু যুক্ত হয়েছিল আমাদের সাথে। তবে এই সব কিছুর মাঝে আমি একটু অন্যদিকে নজর দিচ্ছিলাম।
![]() |
---|
ইদানিং আমাদের এলাকা না বরং বাংলাদেশের প্রতিটি এলাকায় বৈদ্যুতিক বিভ্রাটের কথা শোনা যায়। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এখন বেহাল যে কারণেই হয়তো বৈদ্যুতিক বিভ্রাট ও বেশি দেখা যাচ্ছে। তবে আমার এটা মনে হয় যে বৈদ্যুতিক ঘাটতির আর একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই মুরগির খামার অন্যান্যভাবে বিদ্যুৎ অপচয়ের মতো।
সম্প্রতি আমি লক্ষ্য করেছি আমাদের বাড়ির সামনেই এক বড় ভাইয়ের মুরগির খামার আছে। কিন্তু সেখানে এই মুহূর্তে মুরগি নেই অথচ গতরাতেও আমি ৭/৮ টি বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বলতে দেখেছিলাম। আমার তো এটাই মনে হয় যে অন্যান্য সব কিছুর পাশাপাশি আমাদের এই খামারিদের সাথে ও কথা বলা উচিত।
আমরা ইচ্ছে করলেই এই ধরনের সমস্যার সমাধান করতে পারবো না। কিন্তু আমরা নিজের পাশাপাশি অন্যদের ও এই বিষয়ে অবগত করতে পারি। নচেৎ আমরা না বরং সমগ্র দেশবাসী এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ক্ষতিকর দিকঃ
✅ বিদ্যুৎ আমাদের ঘরকে আলোকিত রাখে কিন্তু হঠাৎ বিদ্যুৎ বিভ্রাট আমাদের ঘরকে তো অন্ধকার করেই, পাশাপাশি আমাদেরকেই থামিয়ে দেয়। বিশেষ করে প্রতিটা পরিবারে ২/১ জন স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিশু থাকে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে রাতে পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটে। এটা নিশ্চয়ই আমরা জানি এই শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।
এমনকি এই সমস্যা আমি নিজেও অনুভব করেছি। যখন আমাদের এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। যে কারণে কেরোসিনের বাতি ব্যবহার করা হতো। তবে মাঝেমধ্যেই মনে হতো যেন শহরে চলে যাই যেখানে বৈদ্যুতিক সংযোগ রয়েছে। এরপর যখন আমাদের এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ পেলাম মাঝেমধ্যেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট আর ঐ সময়টাতে পড়াশোনার যে বিঘ্ন ঘটতো সেটা বলে বোঝানো অসম্ভব। অনেক দিন তো এতো সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হতো যে চেয়ারে বসেই ঘুমিয়ে পড়তাম।
✅ আমাদের দেশের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড অনেকটা পোশাক শিল্পের ওপর নির্ভর করে। এই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে শিল্প কারখানার কাজে ও অনেক বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রাকৃতিক গ্যাস ও কয়লার ব্যবহার করে জেনারেটর ব্যবহার করা হয়।
✅ অন্যদিকে এই খামার পরিষ্কার করার জন্য বৈদ্যুতিক সংযোগের মাধ্যমে মটর চালানো হয়। যে কারণে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ অপচয় হয়।
![]() |
---|
প্রয়োজনীয় কথা তো খুব কম সময়ই হয়, তাই আমরা দুই ভাই-বোন যে যার বাড়িতে ফেরার সিদ্ধান্ত নিলাম। তবে আকাশের অবস্থা তেমন ভালো লাগছিল না। কারণ হঠাৎ দুইদিন আবহাওয়ায় পরিবর্তন এসেছে কিন্তু মেঘ দেখলেই তো ভয় লাগে। যাইহোক, তখনই আমরা বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম।
আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।