Hello Steemians,
এখন বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ছয়টা, গতকাল লেখাটা আবারো গ্যাপ পড়লো। বাড়িতে ফিরতে ফিরতে রাত বারোটা বেজেছিল, তখন স্নান করে রাতের খাবার শেষ করার পরেই মাথায় ব্যাথা শুরু হয়েছিল। অন্যদিকে শরীর ব্যাথা তো আছেই। যাইহোক, চলুন তাহলে ঐ দিনটার সকল কার্যক্রম দেখে নিই।
যদিও আমারা ডাক্তারের সাথে appointment ছিল সন্ধ্যা সাতটায়, তবে একটু সকাল সকালই বেরিয়েছিলাম। কারণ আমার কয়েকটা পরীক্ষা করানোর ছিল। তাছাড়া, ঐ ডাক্তারের সাথে দেখা করতে করতে অনেক রাত হবে তাই খুলনাতেই এক বন্ধুকে অপেক্ষা করতে বলেছিলাম। পাশাপাশি ছোট ভাইকে সাথে নিয়ে নিয়েছিলাম। ইদানিং হরতাল চলছে তাই, একটু ইচ্ছে করেই আগে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এই যে আমাদের ফয়লা বাজারের বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করছিলাম বাসের জন্য।
আমাদের উদ্দেশ্য ছিল সোনাডাঙ্গার বাস কিন্তু বিলম্ব দেখেই আমরা রূপসার গাড়িতে উঠেছিলাম। প্রচণ্ড গরম এবং যথেষ্ট ভীড় ও রয়েছে। সর্বশেষ যখন এখানে এসেছিলাম তখন এখানে ২/৩ টা সোনাডাঙ্গার বাস ছিল। ওহ! গতকাল মাত্র একটা বাসা ছিল, বিলম্ব না করে আমি বাসে উঠে পড়েছিলাম।
ভালোই হয়েছিল, পাখার নিচে থাকা একটা আসনেই বসেছিলাম। প্রচণ্ড ভীড়, আবার নির্দিষ্ট সময়ে বাস ছাড়বে ইয়ে কারণে পাখার নিচে বসে হাওয়া খাচ্ছিলাম। বাস সময়মতো ছেড়ে দিয়েছিল তবে কিছুসময় পরে বুঝতে পারলাম যে রাস্তার অবস্থা একদমই ভালো না। রক্ষা যে ঐ বাসটা ছিল চেয়ার কোচের না হলে ঐটার জন্যই আলাদা করে ডাক্তার দেখানো লাগতো।
ভাইকে নিয়ে বাস থেকে নেমেই পাশে থাকা একটা দোকান থেকে আমরা এক লিটারের একটা বোতল নিয়েছিলাম। গরমে শরীর থেকে ঘাম ঝরছিল আনলিমিটেড।
পরীক্ষা করানোর জন্য কাউন্টারে বিল পে করে আমরা ঐ নির্দিষ্ট কক্ষের সামনে গিয়ে কাগজ জমা করেছিলাম। আমাদের পরীক্ষার ক্ষেত্রে একটা বিশেষ সুবিধা আমার পেয়েছিলাম, কারণ আমার এক মামার সুপারিশে আমাদের বিলে ৫০% ছাড় ছিল। কোনো ডায়াগনস্টিক সেন্টার কিন্তু কখনোই আপনার বা আমার জন্য লস করবে না। তাহলে, কিছু মানুষের জন্য সুবিধা আর বাকিরা ঠকছিল।
অন্যপাশে গেলাম রক্ত দেওয়ার জন্য। হাসপাতালে গেলেই বোঝা যায় যে মানুষ শারীরিকভাবে কতো সমস্যায় রয়েছে? সবাই একটু সুস্থ্যতার জন্যই এভাবে হাসপাতালে এসে বসে থাকে নিজের জন্য, আবার আপনজনদের জন্য।
ইতিমধ্য, আবার বৃষ্টি শুরু হয়েছিল তাই ইচ্ছে থাকলেও বেরোতে পারছিলাম না। যদিও একটা রিপোর্ট পেলাম তবে গুরুত্বপূর্ণ গুলো হাতে পেলাম। আগামীকাল আবার হরতাল এটা আরো মুশকিলের ব্যাপার। অন্যদিকে খিদে ও পেয়েছিল। টুথপাড়ায় মাসিমণি রয়েছেন তাই সকালেই বলে রেখেছিলাম আমরা দুপুরে ওখানে খাবার খাবো।
প্রায় দুই ঘণ্টার মতো ওখানেই ছিলাম, কারণ আমার বাকি কাজ ছিল সন্ধ্যা সাতটায়। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বেরিয়েছিলাম মাসিমণির বাসা থেকে। পথেই আমাদের এক আত্মীয় অপেক্ষা করছিল। ইতিমধ্যে, আমি তিনটা বইয়ের কথা বলেছি ঐটা নিয়েই আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিল।
সাত রাস্তার মোড়ে পৌঁছালেই দেখলাম বাস কাউন্টারে ঐ ভাই আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিল। আবার বৃষ্টি এখনি পড়বে বলে মনে হচ্ছিল। যাইহোক, দ্রুত আমরা বইয়ের ব্যাগ নিয়েই বেরিয়ে পড়লাম। আমি সুযোগে আমার বাপিকে নক দিলাম যেন দ্রুত চলে আসে। কারণ ডাক্তারের চেম্বার পরিবর্তন হয়েছে, সেই সাথে নিয়ম ও পরিবর্তন হয়েছে। বাপি ইং আমার জন্য সিরিয়াল দিয়ে রেখেছিল।
ডাক্তার দেখানো শেষ, তবে রিপোর্ট না দেখানোর জন্য prescription করেনি ডাক্তার। মায়ের জন্য কিছু ওষুধ কেনার দরকার ছিল। সোনাডাঙ্গায় ওষুধ কিনতে গিয়েই শেষ বাসটা মিস করলাম। পরে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম রূপসা হয়েই ফিরবো।
এভাবে এতো রাতে কখনো আমি রূপসা ট্রলার ঘাট পার হইনি, এটা আমার কাছে একটা নতুন অভিজ্ঞতা। তবে ভালো করে ছবি তুলতে পারলাম না, বাপি রাগ করছিল। কারণ যে কোনো সময় জলের ধাক্কায় বা অন্য ট্রলারের ধাক্কায় মোবাইলটা পড়ে যেতে পারে।
আমার বাড়িতে ফিরতে ফিরতে রাত বারোটা বেজেছিল। তবে মাথায় এতো পেইন হচ্ছিল যে রাত কতো এটা মাথায় ছিল না। আমি ঐ রাতেই স্নান করেছিলাম। ওটাই সমস্যা ঘটিয়েছিল, ঠাণ্ডায় জ্বর চলে এসেছিল যেটা রাতে আমি নিজেও বুঝতে পারিনি।
এভাবেই গতকালকের দিনটা অতিবাহিত করেছিলাম।
Hello there, you have posted a great quality post and we are happy to support you, stay up with good quality publications
Curated by heriadi
Thank you so much 🙏 @heriadi, for your valuable support 💞