Better Life with Steem|| The Diary Game|| 9th April 2025
![]() |
---|
নমস্কার বন্ধুরা,
বন্ধুরা, সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই মোবাইল হাতে নিয়ে নোটিফিকেশন চেক করেছিলাম। কারণ একটা গুরুত্বপূর্ণ অ্যানাউন্সমেন্ট এর অপেক্ষা করতেছিলাম। যদিও জানা ছিল যে অ্যানাউন্সমেন্টটা আরো বিলম্ব করেই প্রকাশিত হবে কিন্তু একটা প্রত্যাশা কাজ করছিল।
![]() |
---|
তারপর ব্রার সাথে নিয়ে বাজারের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম। কারণ মামার বাড়িতে বাৎসরিক কালীপূজা এবং সেই উপলক্ষে কবি গান কিন্তু মোবাইলে ব্যালেন্স ছিল না। সাধারণত এখন বাজারে গিয়ে মোবাইলে টাকা আপলোড করা হয় না কিন্তু বিকাশের ব্যালেন্স শেষ। মামা বাড়িতে দিদিরা এসেছে সাথে ভাইয়েরা এবং মাসীমণি সকলেই, যে কারণে মনটা খুব ব্যস্ত হয়েছিল মামার বাড়িতে যাওয়ার জন্য।
অনেকদিন বাদে রৌদ্রজ্জ্বল একটি সকালের দেখা মিললো। প্রকৃতপক্ষে সকালে আমার ঘুম থেকে ওঠা হয় না যে কারণে এই শীতকালে কুয়াশা দেখতেই পারিনি। যাইহোক বাজারের কাজ শেষ করে ফেরার পথেই মামি কল করেছিল এখনো পৌঁছাইনি এই কারণে।
আমাদের বাড়ি অন্যান্য মাসীমণিদের বাড়ির মতো দূরে নয় যে কারণে মামার বাড়িতে আমাদের বেশি যাওয়া আসা হয়। পাশাপাশি মামার শারীরিক অবস্থা ও বিশেষ ভালো না আবার বয়সও হয়েছে। ইতিমধ্যে ২-৩ বার পার্শ্ববর্তী বন্ধু রাষ্ট্র ভারতে চিকিৎসার জন্য ও নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মামাকে দেখার এবং কিছুটা সময় কাটানোর এই মুহূর্তটা একদমই মিস করতে ইচ্ছে করতেছিল না।
একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। যে কারণে বাড়ি থেকে বেরোতে যথেষ্ট পরিমাণ বিলম্বই হয়েছিল। যখন বাংলাদেশ সময় দুপুর বারোটা তখন স্নান সেরে নিয়েছিলাম। সকালে খাওয়ার সুযোগ হলেও ইচ্ছে করেনি এবং দুপুরের খেতে ইচ্ছা করছিল না। বারংবার দিদির নাম্বার থেকে কল আসছিল মামার বাড়িতে পৌঁছানোর জন্য।
বিগত দুই বছর ধরে এই দিদির সাথে আমি কথা বলি না এক কথায় এড়িয়ে চলি। ওই যে একই পরিবারের সকলের সাথে যে সকল সদস্যের ভালো সম্পর্ক থাকে এমনটা কিন্তু না। তবে যখন আমি কলে মাসিমনির কাছে দিদির কথা জিজ্ঞেস করেছিলাম দিদি শুনেই ছুটে এসেছিল কথা বলার জন্য। এটাই হচ্ছে প্রকৃত সম্পর্ক যে ঝগড়া-বিবাদ সবকিছুই থাকবে কিন্তু প্রয়োজনে সকলেই একত্রিত হতে হবে।
![]() |
---|
যেহেতু বোন এবং ভাগ্নি রয়েছে বাড়িতে তাই মা বাবা আমাকেই যেতে বলেছিল। যাইহোক খাওয়া শেষ করে আর বিলম্ব করিনি, দুপুর দুইটার দিকে বেরিয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত রাস্তাতে একটা গাড়ির দেখা মিললো না। সত্যি বলতে যদিও অনেক আগ্রহ নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলাম কিন্তু একটা দুইটা না মনের মধ্যে কাজ করছিল।
![]() |
---|
আমাদের বাজারের এবার সেই কোন গাড়ি না থাকায় আমি উত্তর পাশের মোড়ে গিয়েছিলাম যেকোনো গাড়ি পাওয়া যায় কিনা। কিন্তু মসজিদের সামনের কালভার্টের উপর গিয়ে দেখলাম কোথাও কোন লোকজনই নেই। আম গাছে প্রচুর পরিমাণে আম ধরেছে, এই আবহাওয়াতে আমগুলো যেন তাকিয়ে রয়েছে। কি আর করা মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল এবং বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম।
![]() |
---|
বাড়িতে ফিরে একটা গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে জয়েন করেছিলাম। দীর্ঘ সময়ের আলোচনার শেষে এক কাপ কফি নিয়েছিলাম। তারপর গরমে অনেকটা ক্লান্তই লাগছিল। যে কারণে বারান্দার খাটে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম এবং ক্লান্তির জন্য কখন যেন ঘুমিয়ে পড়েছে নিজেই বুঝতে পারিনি। যাইহোক প্রায় সন্ধ্যার দিকেই ঘুম ভেঙ্গেছিল এবং একটু রাস্তায় বেরিয়ে ছিলাম।
![]() |
---|
সন্ধ্যায় নিজেকে ফ্রেশ করে এক কাপ কফি নিয়ে বারান্দার কাটে বসে ছিলাম। কিন্তু আমার ভাগ্নির গান দেখতে হবে তাই বেশ ভাব নিচ্ছিলো আমার সাথে। কাল দেখার জন্য চেঁচামেচি শুরু করে দিয়েছিল এবং আমার কাছে চলে এসেছিল। তাকে গান দেখাতেই হবে কোন ছাড়াছাড়ি নেই। ওই দুপুরবেলা বাড়িতে কে বেরিয়ে কেমন অস্বস্তি মনে হচ্ছিল তাই কোন রকম রেখে আমি স্নান করে কম্পিউটারে বসেছিলাম।
![]() |
---|
আমি কম্পিউটার টেবিলে বসার পূর্বেই আমার ভাগ্নি আমার চেয়ারে গিয়ে বসে অপেক্ষা করছিল। কাজ আর করতে পারিনি প্রথমে তাকে গান দেখাতে হবে। কিছুটা সময় ভাগ্নির সাথে বসে বসে গান দেখলাম।
এভাবেই একটি দিন অতিবাহিত করেছিলাম। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।