Better Life with Steem||The Diary Game|| 5th September 2025
![]() |
---|
Hello Steemians,
আজ অন্য দিনের তুলনায় একটু সকাল সকালই ঘুম থেকে উঠেছিলাম। তবে আমার কাছে সকাল হলেও এটা ছিল বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে নয়টা। কারণ ছোট ভাই মাংস নিয়ে আসার জন্য একটু দূরে যাবে তাই তাকে কিছু টাকা দেওয়ার দরকার ছিল। ঐ কারণেই সকাল নয়টায় আমাকে ৪/৫ বার কল করেছিল যে শব্দে ঘুম ভেঙ্গেছিল।
![]() |
---|
![]() |
---|
ভাইয়ের হাতে টাকা দিয়েই মন্দিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কারণ অষ্টমীর ঘট এখনো ডোবানো হয়নি। অষ্টমীর পরদিন প্রসাদ বিতরণ এবং তারপর দিন মঙ্গলবার থাকার কারণেই ঘট ডুবানো স্থগিত রাখা হয়েছিল।
আজ দিনটা ছিল শুক্রবার তাই স্কুল পড়ুয়ার সকল শিশুরাই উপস্থিত ছিল। ইতিমধ্যে অনেকেই মন্দিরের মাঠে খেলার জন্য চলে এসেছিল। যে কারণে ওদের মাধ্যমেই বাড়িতে বড়দের ডাকার জন্য পাঠানো হয়েছিল। একটু বিলম্ব হচ্ছিল তাই আমাদের পুরনো বাড়ির কাকুদের পুকুরের পাশের একটা পুকুরে মাছ ধরা দেখতে গিয়েছিলাম।
![]() |
---|
![]() |
---|
প্রকৃতপক্ষে, ওখানে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। তবে মনে মনে ভালোই লাগছিল। কারণ পৌঁছেই দেখলাম পাশের বাড়ির এক জ্যাঠাবাবু যিনি পুকুরে মাছ ধরার জন্য নেমেছিলেন ঠিকই কিন্তু উঠতে পারছিলেন না। জ্যাঠাবাবু স্ট্রোক করেছিলেন এবং তারপরে শরীরের একটা অংশ অকেজো এখন। পার্শ্ববর্তী বন্ধু রাষ্ট্র ভারতে থেকে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করানোর পর এখন মোটামুটি হাঁটাচলা করতে পারে। তবে সম্পূর্ণ সুস্থ্য না।
যাইহোক, আমার আবার ভারী কিছু ওপরে তুলতে ভালোই লাগে। তবে জ্যাঠাবাবুর এই অবস্থা দেখে মানসিকভাবে একটু খারাপই লাগছিল। যে একজন মানুষ যখন শারীরিক ভাবে অক্ষম হয় এবং অর্থ উপার্জন ক্ষমতা হারায় তিনি সকলের কাছেই যেন বোঝাসরূপ বা মূল্যহীন হয়ে ওঠে। এটা কেমন সমাজ? কেমন নিয়ম?
জ্যাঠাবাবুর একটু ভয় ভয় লাগছিল যে আমি ছেড়ে দিই কি না! একটু ধমক দিয়েই বললাম যে তোমার ভয় নেই, শুধু পায়ে একটু বল দাও। অবশেষে জ্যাঠাবাবুকে টেনে তুললাম। মাঝেমধ্যে এইরকম কাজ করে আমি খুব আনন্দ পাই। মনে হয় এই হয়তো জীবনের আর একটা ভালো কাজ। যিনি সুস্থ্য তাঁকেই কেন? যার প্রয়োজন তাঁকেই সাহায্য করা উচিত।
![]() |
---|
![]() |
---|
ইতিমধ্যে দুপুর একটা প্রায়, তাই আমাদের মন্দিরের ঘট ডোবানোর পর্বটা শেষ করলাম সবাই মিলে।
![]() |
---|
এরপর খাবারের পালা, ঐ প্রসাদ বিতরণের দিন প্রচুর পরিমাণে প্রসাদ ছিল সবাইকে দেওয়ার পরেও। তাই পচনশীল যে যে গুলো ঐ গুলো বাদে কিছু মিষ্টি, জিলাপি ও ফলমূল আমিই নিজ দায়িত্বে সংরক্ষণ করেছিলাম ঘট ডোবানোর জন্য। সকলে মিলে খাবার খেয়ে যে যার বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম।
![]() |
---|
![]() |
---|
মন্দিরের সামনেই রয়েছে আমার বড় কাকুর একটা পুকুর, আমি বাড়ি পৌঁছে জাল নিয়ে চলে এসেছিলাম। কারণ আমার দুপুরের খাবারের জন্য বাগদা চিংড়িই লাগবে। সৌভাগ্যবশত, প্রথমবার জাল ছুঁড়তেই একটা একশত গ্রাম ওজনের বাগদা চিংড়ি পেয়েছিলাম। সচরাচর এতো বড় বাগদা চিংড়ি দেখাই যায় না। যাইহোক, ঐটা নিয়েই বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম।
![]() |
---|
স্নান সেরে গরম গরম বাগদা চিংড়ি ভাজি দিয়ে ভাত খেয়েই একটু বিশ্রাম নেওয়ার কথা ভেবে মোবাইলটা হাতে নিয়ে বারান্দার খাটে শুয়েছিলে। তখনই কাকু ডেকে বললো তিনি বাজারে যাচ্ছেন আমি যেন গাছের নারকেল গুলো দিয়ে টাকা বুঝে নিই।
ইঁদুরের জন্য গাছে নারকেল একদমই রাখা যাচ্ছে না। তাছাড়া ডাব নারকেলের মূল্য ও খারাপ না। এইসব করতে করতেই প্রায় সন্ধ্যা হয়ে আসছিল।
এভাবেই আজকের দিনটা অতিবাহিত করেছি। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
@sduttaskitchen, thank you so much 🙏 ma'am ❤️.