Better Life with Steem|| The Diary Game|| 4th April 2025
![]() |
---|
নমস্কার বন্ধুরা,
সকলকে জানাই বাসন্তী পূজোর শুভেচ্ছা। ইতিমধ্যে অনেক বার মোবাইল হাতে নিয়েছি কিন্তু লেখা আর হয়ে ওঠেনি। এখন বাংলাদেশ সময় রাত চারটা, সবেমাত্র পোস্ট লেখার জন্য বসেছি। দিনে এতো গরম যে ঘরেই থাকা যাচ্ছে না। যে কারণে ইদানিং কাজে অনেক পিছিয়ে পড়ছি।
সকাল সকাল বিদ্যুৎ বিভ্রাট হওয়ায় গরমে ঘুম ভেঙ্গেছিল। উঠেই প্রাতঃকৃত্য সেরে ব্রাশ করতে করতে কল পাড়ে গিয়েছিলাম। আজ ছিল মহা সপ্তমী, অঞ্জলী দিতে হবে তাই স্নান সেরে নিয়েছিলাম।
![]() |
---|
সপ্তমীতে মায়ের চক্ষুদান পর্ব চলছিল আর পাড়ার ছেলে মেয়ে অনেকেই মন্দিরের বারান্দায় অঞ্জলীর জন্য অপেক্ষা করছিল। ভীষণ গরম তাই আমি একটু বটতলায় গিয়েছিলাম আর কিছু সময় সেখানেই ছিলাম।
![]() |
---|
সবাই এই গরমেও অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে অঞ্জলীর জন্য। দীর্ঘ একটি বছর অতিবাহিত হওয়ার পরে এই কাঙ্খিত বাসন্তী পূজো অনুষ্ঠিত হয়। এই সময়টা যেন আমাদের সকলের জন্যই বহু প্রত্যাশিত একটি সময়। প্রতিটা মুহূর্ত আমরা আপনজন ও পাড়া-প্রতিবেশীদের সাথে উপভোগ করি। মায়ের উদ্দেশ্যে পাড়ার ছেলে মেয়েরা ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠেই ফুল সংগ্রহ করে মালা গেঁথে নিয়ে এসেছে।
![]() |
---|
![]() |
---|
রোদ্দুরে কোনো ভেজাল নেই কিন্তু আমাদের অবস্থা বেহাল। এমনিতেই অঞ্জলীর জন্য সকাল থেকে কিছু খাওয়া হয়নি। পাশাপাশি পূজো উপলক্ষে নিরামিষ, মুখে খাবারই উঠতেছে না। কি জ্বালা?
তবে হ্যাঁ পূজোর আনন্দে খুব বেশি সমস্যা হচ্ছে না। আমার খাবার নিয়েই ঘরে একটু ঝামেলা হয়। তাই, দেখেছি বাবাও মা আলাদা আয়োজন করেছে এই পূজোর জন্য। এমনিতেই আমি মাছে ভাতে বাঙালি, অন্যদিকে যেন বেশিই আকর্ষণ আমার মাছের প্রতি।
![]() |
---|
মন্দির থেকে তরমুজ ও কলা নিয়ে খেতে খেতে বেরিয়েছিলাম। জল মনে হয় গলাবধি খেয়েছি কিন্তু পিপাসাই মিটছে না। তাই দোকানে গিয়েই একটা স্পিড নিয়ে নিলাম। আবার মায়ের জন্য ওষুধ নিতে হবে তাই একটু ফার্মেসিতে গিয়েছিলাম।
![]() |
---|
বাজারে পৌঁছাতেই আমার প্রিয় বিড়ালটা পিছু নিয়েছিল। প্রথমেই কেক খাওয়াবার কিন্তু আমার পিছুই ছাড়ছিল না। আমি যখন ফার্মেসিতে গেছি তখন পালিয়েই গিয়েছিলাম। অথচ ফার্মেসিতে গিয়ে বসতেই দেখলাম বিড়াল হাজির। কিছুক্ষণ মাথায় হাত বুলিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে ফিরেছিলাম।
![]() |
---|
বাড়িতে ফিরে কিছুক্ষণ পাখার নিচে শুয়ে বিশ্রাম নিলাম। এরপর বড়'দি কল করলে বড়'দির বাড়িতে গেলাম। পাশেই দিদার ঘর, তরমুজ খাওয়ার আড্ডা চলছিল। আপনারা তলমুজ কে কেমন পছন্দ করেন জানিনা। তবে আমার বিশেষ পছন্দ না, কারণ একবার মামার বাড়িতে গিয়ে ক্ষেত থেকে ইচ্ছে মতো তরমুজ খেয়ে অবস্থা খুবই খারাপ হয়েছি। তরমুজ কিছু গরম প্রকৃতির গ্রীষ্মকালীন ফল।
দুপুরে আবারো স্নান করে একটু মোবাইল হাতে নিয়ে বসেছিলাম। তবে ঐ যে রোদ্দুরে বাইরে গেছি আবার ঠান্ডা খেয়েছিলাম যে কারণে ঠাণ্ডা লেগেছিল।
![]() |
---|
হায় হায়! দোকানদারের থেকে ক্রেতা বেশি বোঝে এই ঘটনা দেখে আমরা কয়েকজন চেয়ারে বসে হাসাহাসি করতেছিলাম। তবে আমাদের দলের ছেলেরা সকলে উপস্থিত ছিল না। তাই, সকলকে কল করে আসার জন্য তাড়া দিচ্ছিলাম। খাবার স্বাদ হবে কি না সেইটা গুরুত্বপূর্ণ না কিন্তু সবাই এক সাথে বলে খেতেই হবে।
![]() |
---|
এ বাবা মুড়ি মাখা নিতছ নিতেই শেষ, আমি একটাও আর ভাগে পেলাম না। কি একটা লজ্জার বিষয়! আবার ধমক দিয়ে ঝাল মুড়ি নিলাম। এবার আর আগের মতো ভুল করিনি। মুড়ি নিয়েই প্রথমে খাওয়া শুরু করেছিলাম। টার্গেটই করে নিয়েছি যে প্রথম আমি খাবো এবং একদম শেষ অংশটাও আমিই খাবো। যদি যুদ্ধ করতে হয় তবে সেইটাই করতে হবে। খাওয়া তো শেষ এবার একটু মন্দিরের সম্মুখে গিয়ে বসলাম সকলে মিলে।
বিভিন্ন কারণে এই বৎসরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি। বিগত বছর আমরা পাড়ার ছেলে মেয়ে একত্রিত হয়ে সাজ কৃত্তন এর আয়োজন করেছিলাম। বিগত বছরের সেই মূহূর্তটা খুব মিস করছি। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও আর এইবার সামনে এগোতে পারলাম না।
কি আর করা, মন্দিরের সামনে বসে আমরা মন্দিরের আরতি দেখছিলাম। ঢাকের তালে তালে পুরোহিত দাদু নেচে নেচে মায়ের সামনে আরতি করছিলেন।
এভাবেই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আমার আজকে লেখাটা এখানে সমাপ্ত করছি।
Congratulations! This post has been upvoted through steemcurator08. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags.
Curated by @miftahulrizky
যেহেতু পূজার কাজ গুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে হবে তাই পাড়া-প্রতিবেশী সবাই মিলে মন্দিরের মধ্যে নিজেদের কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্য এসেছে তবে সকাল সকাল কারেন্ট যাওয়াটা খুবই ভয়ংকর একটা বিষয় ঘুমটা ভেঙে দেয় রোদের শেষ নেই কিন্তু আমাদের গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায় যতই পানি গ্রহণ করি না কেন মনে হয় পিপাসা মিটে না আপনি ঝালমুড়ি নিয়েছেন কিন্তু প্রথম অবস্থায় খেতে পারেননি পরবর্তীতে আপনি আপনার টার্গেট পূরণ করেছেন অসংখ্য ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন।