Better Life with Steem|| The Diary Game|| 3rd April 2025

in Incredible India2 months ago
1000001819.jpg

নমস্কার বন্ধুরা,
পূজো পূজো একটা আনন্দ মনে মনে কাজ করছে। পূজো আজই শুরু হয়েছে। তাই, শেষ রাতে ঘুমাতে গেলেও এটা কিন্তু মাথাতেই ছিল। কখন যেন ভোর হয় আর ঘুম ভাঙ্গে। যাইহোক, সকালে প্রায় দশটার দিকে ঘুম ভেঙ্গেছিল কিন্তু উঠতেই ইচ্ছে করছিল না।

একটু বাদেই বাবার চেঁচামেচিতে বিছানা থেকে উঠেছিলাম। না উঠে উপায় নেই, কারণ বাবা না খেয়ে খাবার নিয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করছিল। বাবা কিন্তু বাবাই হয়! এখানে অন্য কেউই তুলনাযোগ্য নেই।

1000001798.jpg

খাবার খেয়ে বারান্দার খাটে শুয়ে একটু বিশ্রাম নিচ্ছিলাম আর ছোট ভাই উৎসকে কল করেছিলাম মন্দিরে আসার জন্য। কারণ গরমে কোনো কিছুই করতে ইচ্ছে করছিল না, এক কথায় ঘরেই থাকতে ইচ্ছে করছিল না। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম মন্দিরে যাওয়ার জন্য। কিন্তু দলবল ছাড়া কি ভালো লাগে?

যাইহোক, আমি পৌঁছেই দেখলাম একজনের সাথে আরো দুইজন ফ্রি। অর্থাৎ একজনকে আসতে বলেছি কিন্তু সাথে আরো দুইজন এসেছে। সকলের সাথে বসে অনেক সময় গল্প করলাম। কিন্তু গরমে গলাই শুকিয়ে যাচ্ছিল, অথচ মন্দিরের মাঠে থাকা গভীর নলকূপটাও অকেজো। একজনকে পাঠালাম স্পিড নিয়ে আসার জন্য।

1000001796.jpg

আমি সুযোগে মন্দিরের বারান্দায় গেলাম সেখানে মায়ের প্রতিমায় যুক্ত করার একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। বাসন্তী পূজো শুরু আজ বৃহস্পতিবার এবং দশমী বা সমাপ্ত হবে সোমবার। তবে পূজো পূজো বিষয়টা বিগত এক-দেড় মাস থেকেই চলতে অর্থাৎ প্রস্তুতি। আবার এই যে শুরু এখন যেন খুব দ্রুতই সময় চলে যাবে।

1000001802.jpg

আজ আবার মাঠে জল দিতে হবে, এতো বেশি ধূলোবালি যে মাঠ পায়ে হেঁটে পার করলেই যেন পা টা ভারী ভারী লাগে। নয়ন একটা তারের বাণ্ডিল ধরেই নিয়ে এসেছে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য। অন্যান্য সকলে মিলেমিশে মটর ও পাইপ এগুলো ও নিয়ে এসেছে।

1000001797.jpg

রংয়ের কাজ অনেকটা শেষের দিকে, আজ বিকেলের মধ্যেই সমাপ্ত করতে হবে। কারণ সন্ধ্যায় মহা ষষ্টীর মাধ্যমে পূজো শুরু হবে। মায়ের আগমনে মন্দিরটা যেমন প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে তেমনি আমাদের পাড়ার সকলেই এখন প্রাণবন্ত। আবার সকলে দীর্ঘ একটা বছর পর এই মায়ের পূজো উপলক্ষে একত্রিত হবো। অনেক আপনজন যাঁরা চাকরি ও বৈবাহিক কারণে দূরে থাকে তাদের সাথে ও দেখা হবে।

ইতিমধ্যে, ঠাণ্ডা স্পিড চলে এসেছিল, কিছুটা খেয়ে একটু বটের ছায়ায় বসলাম। সময় কিন্তু থেমে নেই, তাই স্নান করার জন্য বাড়িতে ফিরলাম। ঐ যে কাকিমার কথা বলেছিলাম, আজ ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেছে তাই বাড়িটা ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। এখন ছুটির সময় এবং দিনে একবার হলে কাকিমা আমার সাথে যেচে ঝামেলা করবেই। তাই কাকিমা বাড়ি না থাকায় মিস ই করছি।

দুপুরে খাবার খেয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করছিলাম কিন্তু ঘুমই আসছিল না। তবে পাখা ছেড়ে চোখ বন্ধ করেই রেখেছিলাম। ঠিক সন্ধ্যার দিকে আগে আগেই চোখে একটু ঘুম ধরেছিল। মা ডেকেছিল তখন সন্ধ্যা হয়ে গেছে।

1000001805.jpg

মন্দিরের মাঠ সাজানো এবং লাইটিং এখনো শেষ হয়নি। তাই চিন্তা করলাম একটু মন্দির থেকে ঘুরে এবং ষষ্টী পূজো ও দেখে আসি। আমাদের বাড়ির সামনে রাস্তায় বেরোতেই দেখলাম নয়ন বাজারে যাচ্ছে এবং আমাকেও নিয়ে যেতে হবে। অবশেষে আমাদের বাড়িতে এসে আমার কাজের জন্য অপেক্ষা, তারপর আমিও বেরোলাম।

আজ সন্ধ্যায় বাজারে ছিল অনেক লোকজন। আমি তো ভাবলাম বোধহয় কোনো সমাবেশ হতে পারে। যদিও আমি ছবিটা নিয়েছি ঠিক উল্টো দিকের রাস্তার যেখানে লোকজন তেমন একটা থাকে না।

1000001807.jpg

মূলত, হাঁটতেই গিয়েছিল এবং সাথে আমাকেও নিয়ে গিয়েছিল নয়ন। যাইহোক, আমরা হালকা কিছু খাবার খেলাম, তবে যেহেতু নিরামিষ তাই যা ইচ্ছে খেতে পারলাম না। অন্য কোনো কাজ ও ছিল না তাই আমরা বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম। আমি বাড়িতে না গিয়ে সরাসরি মন্দিরে গিয়েছিলাম।

মহা ষষ্টীর প্রাথমিক পর্বটা মন্দিরের বাইরেই হয়ে থাকে।

1000001810.jpg

কিছুক্ষণ মন্দিরে থেকে বাড়িতে চলে এসেছিলাম। নিজেকে পরিস্কার করেই কম্পিউটারের সামনে বসলাম। আমার কম্পিউটার টেবিলের ওপরে দুই প্যাকেট চকোবিন, আগে খেতে হবে তারপর বিচার-সালিশ।

এভাবেই আমি আজকের দিনটা অতিবাহিত করেছি। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি।

Sort:  
Loading...

Thank you for sharing on steem! I'm witness fuli, and I've given you a free upvote. If you'd like to support me, please consider voting at https://steemitwallet.com/~witnesses 🌟

 last month 

আপনাদের পূজা যেহেতু সামনে তাই মন্দিরের কাজগুলো খুব দ্রুত সম্পন্ন করার চেষ্টা করছেন লাইটিং করা থেকে শুরু করে প্রতিটা বিষয়ে আপনি অনেক বেশি গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করছেন দেখে বেশ ভালই লাগলো চকবিন খেতে আমি নিজে অনেক বেশি পছন্দ করতাম কিন্তু এখন আর খাইনা অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার কার্যক্রম আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন।