Better Life with Steem|| The Diary Game|| 30th March 2025

in Incredible India2 months ago
1000001666.jpg

নমস্কার বন্ধুরা,
আজি প্রথম গরমে প্রশান্তির জন্য বাড়ির সকলের আইসক্রিম খাওয়া। তবে সারাটা দিন কিন্তু এমন মূহুর্ত ছিল না। প্রকৃতপক্ষে, সময় তার নিজ গতিতে এগিয়ে যায় কিন্তু আমাদের কাজে পরিবর্তন আসে প্রতিনিয়ত।

আজকে এতোটাই ঝামেলার মধ্যে ছিলাম যে কোনো কাজই হাতে নিতে পারিনি। একটু অসতর্কতা কতোটা দূর্ভোগ বয়ে নিয়ে আসে সেটা হাঁড়ে হাঁড়ে টের পাচ্ছি। তবে কিছু কাজ আছে যেটা হয়তো বয়জ্যেষ্ঠরাই ভালো বোঝেন এখানে আমাদের দক্ষতা অবিকল।

1000001639.jpg
1000001641.jpg

আমার আজকেও ঘুম থেকে উঠতে বিলম্ব হয়েছিল তবে অন্যদিনের তুলনায় একটু আগেই ঘুম ভেঙ্গেছিল। কারণ আমার ভাগ্নির শরীর ভালো নেই। গতকাল বাবাকে পাঠিয়েছি, ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য। তবে জ্বরের জন্য ডাক্তারের কাছে গেলে সমস্যা ছিল মুখের মধ্যে। বাবা সকালেই ওদেরকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে চলে এসেছিল।

বাড়ির সকলেই ভাগ্নিকে খুব আদর করে তাই সকলে এক এক করে আসছিল। কিন্তু শরীর ঠিক না থাকায় কারো কাছেই যাচ্ছিল না। এই যে এসেই আমার কোলে উঠে পড়েছে। আমার কাছ থেকে কেউ টানাটানি করলেও নিবে না । হয়তো এই কারণে এসেই আমার কাছে চলে এসেছে।

1000001642.jpg

প্রথমে একদম চুপচাপ ছিল কিন্তু কিছু সময় বাদেই কান্না শুরু করেছিল। গতকাল থেকেই খাবার খেতে অনেক সমস্যাই হচ্ছিল। মুখে সমস্যার কারণে খাবার দেখলেই পালাচ্ছে। পাশাপাশি, হয়তো যন্ত্রণা ও করছে যেটা বলতে পারছে না। কান্না শুনে আমার বড় কাকু ও দৌড়ে এসেছে। অন্যসময় যখন আসে কাকু আসলেই কাকুর সাথে ঘুরতে যায়। অথচ শরীর খারাপ থাকায় কোনো কথাই যেন তার ভালো লাগছে না।

প্রচণ্ড গরম তার ওপর ভাগ্নির শরীর ঠিক নেই। গাড়ি ঠিক করে বোন, ভাগ্নি ও বাবাকে ডাক্তারের কাছে পাঠালাম। মা ও আমি বাড়িতে বেশ দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ওদের জন্য অপেক্ষা করতে করতে বিকেল তিনটা বেজেছিল।

গরমের মধ্যে মনে হচ্ছিল জলে গিয়ে বসে থাকি। যাইহোক, কিছুক্ষণ পরে স্নান শেষে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। এরপর আর কোনো কাজ পাচ্ছিলাম না কিন্তু গরমে পাখার বাতাসা ও গরম লাগছিল।

1000001399.jpg

আগামীকাল ইদ হতে পারে তবে সকলেই চাঁদ দেখার জন্য অপেক্ষা করছিল। শৈশবে সহপাঠীরা ইদের চাঁদ দেখে হৈ হুল্লোড় করতো সেই শব্দ আর আনন্দঘন মূহুর্ত এখন আর দেখাই যায় না। যাইহোক, রাস্তায় বেরিয়েছিলাম তবে কোনো লোকজন তেমন একটা রাস্তায় ছিল না।

1000001646.jpg

মূলত আইসক্রিম কেনার জন্যই বাজারের উদ্দেশ্যে বেরোনো। বাজারে পৌঁছাতেই প্রায় সন্ধ্যা হয়ে আসছিল। ইফতারির সময় তাই দোকান বন্ধ না থাকলেও দোকানদার উপস্থিত ছিল না। পাশাপাশি, গাড়ির ছেলেটাকে ভাড়া দেওয়া হয়নি। কল করে মোড়ে আসতে বললাম, কারণ দোকানদারের জন্য অপেক্ষা করছিলাম ঐ সুযোগে টাকা দেওয়ার কাজটা সেরে নিলাম।

এবার আর বিলম্ব করতে ইচ্ছে করছিল না তাই ফ্রিজের দরজা খুলে তিনটা কোন ও দুইটা কাপ আইসক্রিম নিয়ে একটা পলিথিনে করে বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম। আমার ভাগ্নির মিষ্টি খাবার খুব পছন্দ ওকে উদ্দেশ্য করেই আইসক্রিম নিয়ে আসা।

শিশুদের খাওয়ানো মনে হয় পৃথিবীর সবচেয়ে কষ্টকর কাজের মধ্যে অন্যতম একটি। বুদ্ধি করে আমরা সকলে আমার ভাগ্নিকে না দিয়ে খাওয়া শুরু করেছিলাম। একটু চালাকি করেই ওকে সকলে লোভ দেখাচ্ছিলাম যাতে ইচ্ছে করে খেতে চলে আসে। তবে কোনো আগ্রহ না দেখে একটু মুখে দিতেই চেঁচামেচি শুরু করেছিল।

প্রকৃতপক্ষে, মুখে সমস্যার কারণে প্রচণ্ড জ্বর এবং এ জন্যই খাবারে বোধ হয় অরুচি হয়েছে।

একটু রাগই হচ্ছে কারণ মুখের সমস্যাটা একদিনে তো হতেই পারে না। অর্থাৎ হয়তো আমার বোন খেয়াল করেনি। যেটা কমতে একদিন ও লাগে না সেইটার জন্য এখন কতোদিন সময় লাগবে সেইটা একমাত্র ঈশ্বরই ভালো জানেন।

এভাবেই আমি আমার আজকের দিনটা অতিবাহিত করেছিলাম। আমার আজকের লেখাটি এখানেই শেষ করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।

Sort:  
Loading...