Better Life with Steem|| The Diary Game|| 30th April 2025
![]() |
---|
নমস্কার বন্ধুরা,
মাঝেমধ্যে তো নিজেকে বন্দি মনে হয়। কোথাও যেন স্বাধীনতার স্পর্শ মাত্র নেই।
নেই কোনো বিনোদন,
নেই কোনো নাম নাজানা খেলায় খেলোয়াড়দের ভীড়।
মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে পাড়ায় আম খাওয়ার গোপন পরিকল্পনা,
সব যেন বিলুপ্ত।
![]() |
---|
আমার আজকের দিনটা শুরু হয়েছিল দুপুর ১২:২৩ এর সময় থেকে। কারণ রাতে ভীষণ মাথা গরম ছিল তাই ঘুম হয়নি। এমনকি ঘুমের ওষুধে ও কাজ হয়নি। যাইহোক, ভোর ছয়টায় ঘুমালে ঘুম ভাঙ্গতে বিলম্ব হবে এটাই স্বাভাবিক। ঘুম ভাঙ্গতেই যেটা দেখলাম তা আর বলছি না।
যাইহোক, আজ আর কারো খাওয়ার কথা বলতে হয়নি। বাজার গরম বুঝেই খাওয়া দাওয়া শেষ করে একটু বাইরে বেরিয়েছিলাম। তবে আবহাওয়া দেখে প্রথমে তো বুঝতেই পারিনি যে দুপুর। মা বললো সকাল থেকেই নাকি এক নাগাড়ে ৩/৪ ঘন্টা বৃষ্টি হয়েছে।
একটু রাস্তায় বেরিয়েছিলাম তখনও মুরগির খামারে বৈদ্যুতিক বাতি জ্বল জ্বল করছিল। তবে পরিবেশটা অনেক শান্ত। মূহুর্তের মধ্যে সূর্যের তাপে উত্তপ্ত মাটি যেন জল পেয়ে তাঁর প্রকৃত রূপে ফিরে এসেছে। পাশাপাশি গাছপালা যেন ফিরে পেয়েছে প্রাণ।
যদিও শস্য এখনো মাঠে, তবে এখানে কোনো মাতব্বরি করবার পথ বেঁচে নেই।
কবি এখানেই নীরব। অজানা
![]() |
---|
মায়ের কল পেয়ে বাড়িতে ফিরেছিলাম, ঠাণ্ডা লেগে অবস্থা খারাপ তাই মা স্নানের জন্য জল গরম করে রেখেছিল যে কারণে চেঁচামেচি করছিল। যাইহোক, এদিক ওদিক না করে আমি বাড়িতে ফিরে স্নান সেরে নিয়েছিলাম। তারপর মায়ের সাথে বৈষ্ণব ভজনে গিয়েছিলাম। তবে পথেই পেলাম একটা আম ঝুম ফল গাছ যেটাতে আম ঝুম পেকে কালো হয়ে রয়েছে।
জানিনা আপনাদের এলাকায় এটাকে কি বলা হয়? তবে আমাদের এখানে বলা হয় আম ঝুম।
![]() |
---|
মা'কে পৌঁছে দিয়ে আমি আবারো রাস্তায় ফিরে এসেছিলাম ঐ আম ঝুম তোলার জন্য। এ বাবা! পৌছেই দেখি আমার আগেই সেখানে হামলা হয়েছে। এই হামলা কারী আমারই ছোট কাকুর ছেলে অর্থাৎ আমার ছোট্ট ভাই তবে হাতে পাচ্ছিল না। কিছুক্ষণ হেসেছিলাম, কারণ ছোট বেলায় ঠিক এইরকম অনেক মূহুর্ত অতিবাহিত করেছি যেটা এখনো স্মৃতিতে গাঁথা রয়েছে।
আমার থেকে যাঁরা বড় ছিল তাঁদেরকে দলে রাখতাম যাতে আমি অন্যদের আগে পাই। একবার তো গাছে উঠে গাছ মালিককে দেখে পাতার মধ্যে লুকিয়ে পড়েছিলাম কিন্তু কখন যেন গাছের মগডালে উঠে পড়েছিলাম নিজেই বুঝতে পারিনি। কোনোরকম চোখ বন্ধ করছ গাছের ডাল ধরে ঝুলে রয়েছিলাম। এরপর বাবা এসে নামিয়েছিল। ঐ যে ভয় পেয়ে জ্বর ঐ বছর আর আমি ঝুম তুলতেই পারিনি।
শৈশব মানেই হাজারো আনন্দময় মুহূর্ত যেটা কখনোই আর ফিরে আসবে না।
![]() |
---|
![]() |
---|
কাঁচা পাকা সব তুলে নিয়েছে সাথে আমিও সামিল হয়েছিলাম। তবে আজ আর খাওয়ার সুযোগ পাইনি। বাড়িতে ফিরে আবারো ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ঘুম থেকে উঠেই আমাদের পশ্চিম পাশের পুকুরে গেলাম।
![]() |
---|
রেণু পোনা ছাড়া হয়েছে আজ আমাদের পুকুরে তাই পুকুরের জল দেখার জন্য গিয়েছিলাম। সত্যি বলতে যাদের জমিতে এখনো ধান কাটা বাকি এবং কাটা রয়েছে তাদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। পাশাপাশি এই মুহূর্তে বৃষ্টির জলের খুব প্রয়োজন রয়েছে। কারণ সমুদ্রের লবণ জল জমিতে প্রবেশ করার পূর্বে যদি প্রচুর বৃষ্টি হয় এবং ওই জল মাটিতে বসে তাহলে ফসল ভালো হয়।
শুধুমাত্র ফসল না বরং মাছ চাষীদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ এখনকার বৃষ্টি। নচেৎ অতিরিক্ত লবণের জন্য লবন জলের মাছও ভালো হয় না। ঐ যে খাবার সহ প্রতিটি ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না ঠিক লবণ জলের ক্ষেত্রেও ঐরকমই।
তাছাড়া গরমের এই ধানে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয় যে কারণে মাটি তার উর্বরতা দিন দিন হারাচ্ছে। এই বৃষ্টির জল খানিকটা সেই উর্বরতা ধরে রাখতে বা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। পুকুরে গিয়ে দেখলাম মোটামুটি বেশ জল হয়েছে। এটা নিশ্চিত হলাম যে পরবর্তী এক সপ্তাহ জোয়ারের জল যদি না আসে এবং বৃষ্টি যদি না হয় তাহলেও পুকুরের জল গরম হয়ে ছোট মাছগুলো মারা যাবে না।
সন্ধ্যা হয়ে আসছিল তাই আমি বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম। এভাবেই আমি আজকের দিনটা অতিবাহিত করেছিলাম।
Enak sekali buah itu, seperti seperti buah jomblang rasanya. Kami di Aceh juga banyak terdapat buah seperti itu.